ম্যাচটা সেভাবে মন ভরাতে পারেনি দর্শকদের। দুই দলই বেশ কিছু শট নিলেও গোলে রাখতে পেরেছে দুই দল মাত্র একটি করে। ক্রোয়েশিয়া অবশ্য শুরু থেকেই সুযোগ পেয়েছিল। প্রথমার্ধে পেরিসিচের শত একটুর জন্য চলে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে, ক্রামারিচের হেডও একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে যায়। তবে ক্রোয়েশিয়ার প্রথম গোলটা আসে অদ্ভুতভাবেই। ৩২ মিনিটে মদ্রিচের নেওয়া কর্নার থেকে হেড করেছিলেন মারিও মানজুকিচ। সেটা পোস্টে ছিল না, কিন্তু নাইজেরিয়ার ডিফেন্ডার ইতেবো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁর গায়ে লেগে দিক বদল করে জড়িয়ে যায় জালে।
গোল খাওয়ার পরেই যেন খানিকটা জেগে ওঠে নাইজেরিয়া। আইওবিরা দূর থেকে গোল করার একটু চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাতে লাভ হয়নি। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ক্রোয়েশিয়া।
৫৫ মিনিটে রাকিতিচের পাস থেকে বল পেয়েছিলেন পেরিসিচ। কিন্তু কয়েক গজ দূর থেকে ভলি করে সেটা পোস্টে রাখতে পারেননি রেবিচ। নাইজেরিয়া অবশ্য সেভাবে সুযোগ পায়নি, এক ভিক্টর মোসেস ছাড়া বাকি কেউ তেমন একটা ভোগাতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া রক্ষণভাগকে।
৭০ মিনিটে দ্বিতীয় ভুলটা করে বসে নাইজেরিয়া। বক্সের মধ্যে মানজুকিচকে ফেলে দেন উইলিয়াম ট্রুস্ট-একন। রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি, তাতে গোল করতে ভুল করেননি মদ্রিচ। পেনাল্টিময় একটা দিনে এটা ছিল পঞ্চম পেনাল্টি, বিশ্বকাপে এক দিনে এর চেয়ে বেশি পেনাল্টি হয়েছে মাত্র একবার, ১৯৯৮ সালের ২৪ জুন। মজার ব্যাপার, মদ্রিচের পেনাল্টিটাই নাইজেরিয়ার জালে ক্রোয়েশিয়ার প্রথম অন টার্গেট শট।
এরপর শেষ দিকে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলেন কোভাসিচ, কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেননি। ২-০ গোলেই শেষ হয়েছে ম্যাচ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন