খাদ্যমন্ত্রী এড. কামরুল ইসলাম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের কোন শক্তি ও স্বাধীনতা বিরোধীদের কোন দিন আর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে দেয়া হবে না। আগামীতে সরকারে থাকবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এবং বিরোধীদলেও থাকবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। তিনি গতকাল রোববার সকাল ১১টায় কেরানীগঞ্জের রোহিতপুর ইউনিয়নের শাহপুর মাদরাসা প্রাঙ্গনে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন। মন্ত্রী বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, নির্বাচন আসলেই বিএনপি নির্বাচন নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি করে। তারা নির্বাচন বাঞ্চালের ষড়যন্ত্র করছেন। গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিএনপি আগাম নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিতর্কীত কথাবার্তা বলছেন। নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। সেখানে তাদের নিশ্চিত পরাজয় জেনে তারা আবল তাবল বক্তব্য দিচ্ছেন। বিএনপির দাবির মুখে আগামী সংসদ নির্বাচনে সংসদ ভেঙ্গে দেয়া হবে না। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরো বলেন, বিএনপির এখন কোন সাংগঠনিক শক্তি নাই। তাই তাদের আন্দোলন করার কোন শক্তি নাই। তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একটি চুরির মামলায় কারাগারে আছেন। তাকে জামিন দিবেন কি দিবেন না সেটা আদালতের বিষয়। এব্যাপারে আমাদের কোন বিষয় না। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে একসময় অনেক দেশ মিসকিন বলত। কিন্তু এখন আর তারা বলতে পারে না। বাংলাদেশের সেই অবস্থা এখন আর নাই। ২০৪১সালে আমরা উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হব। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন সারা বিশ্বের প্রশংসা অর্জন করছেন।বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। মন্ত্রী কেরানীগঞ্জবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন শুধু কেরানীগঞ্জে আমি নির্বাচনের আগে ১২ কোটি টাকা বরাদ্ধ পেয়েছি। এই টাকা দিয়ে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ নির্মান করব। ঢাকা-২ সংসদীয় আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ঢাকা জেলা যুবলীগের সভাপতি শফিউল আজম খান বারকুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামীলীগনেতা ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম, রোহিতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী আব্দুল আলী, আওয়ামীলীগনেতা হাজী আবু সিদ্দিক, রোহিতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সলিমুল্লাহ , আওয়ামীলীগ নেতা সাহাবুদ্দিন সাহা, আইকে শাহীন, জাকি উদ্দিন রিন্টু, মো. আলা উদ্দিন, এডভোকেট এনামুল হক, ইঞ্জিনিয়ার হান্নান ও শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন