এবারের বিশ্বকাপে তাঁর দলের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পরে না কি আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ভাবনা শুরু করে দিয়েছেন সালাহ। লিভারপুলের ফরোয়ার্ড ঘনিষ্ঠ মহলে নাকি এমনই ভাবনার কথা জানিয়েছেন বলে খবর মার্কিন টিভি চ্যানেলটির।
 
বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচে খেলার আগের দিন মিশরের টিম হোটেলে এক অনাহুত অতিথির আগমন অনেকটাই ঘোলা করে দিয়ে যায় পরিস্থিতি। রাশিয়ায় মিশরের ট্রেনিং বেজ চেচেন রাজধানী গ্রজনি। কট্টরপন্থী যে অঞ্চলে দলের বেস ক্যাম্প করা নিয়ে মিসর ও ফিফার সমালোচনা গত ফেব্রুয়ারি থেকেই হচ্ছে। সেখানেই সালাহর সাথে দেখা করে গেছেন ৪১ বছর বয়সী চেচনিয়ার নেতা রমজান কাদিরভ। মিশর দলের জন্য একটি ডিনারের আয়োজনও করেছিলেন তিনি।
 
টেলিগ্রামে শক্তিমান নেতা কাদিরভ সালাহকে তার দেশের নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সম্প্রতি লিখেছেন, 'মোহাম্মদ সালাহ এখন চেচনিয়ার অনারারি নাগরিক! ঠিক আছে না! মিশর ও লিভারপুলের জন্য খেলা এই গ্রেট ফুটবলারের জন্য আজ রাতে আমি এই ডিক্রিতে সই করেছি।'
এর পর থেকেই সেই গুঞ্জণের পালে লেগেছে জোর হাওয়া।
 
এই মৌসুমে লিভারপুলের হয়ে যেভাবে খেলেছেন তাতে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, লিওনেল মেসি ও নেইমারের পরের নামটি হয়ে গেছে সালাহ। ক্লাব ফুটবলে যথেষ্ট জনপ্রিয় হওয়ায় বিশ্বকাপেও তাঁকে ও তাঁর দেশ মিশরকে নিয়ে আশায় ছিল ফুটবল বিশ্ব। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে চোট পেয়ে যাওয়ায় তিনি বিশ্বকাপে অনিশ্চিত হয়ে পড়েন। প্রথম ম্যাচে খেলতেও পারেননি। পরে নেমে পেনাল্টি থেকে গোল করলেও একটি ম্যাচেও জয়ের মুখ দেখেনি মিশর।
 
আজ সোমবার তারা গ্রুপের শেষ ম্যাচে নামতে চলেছে সউদী আরবের বিরুদ্ধে। দুই দলই কোনও ম্যাচে জিততে পারেনি রাশিয়ায়। তাই এই ম্যাচে সান্ত্বনার জয় পাওয়ার একটা শেষ চেষ্টা করবেই তারা। আর সালাহ হয়তো চেষ্টা করবেন শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচে জ্বলে উঠতে। সউদী আরবের কোচ হুয়ান আন্তোনিও পিৎজি বলেই দিয়েছেন, ‘‘দলের যা ফল হয়েছে, তা আমার কাছে অপ্রত্যাশিত নয়।’’ কোচের এই বক্তব্যের পরে তাঁর দল কেমন খেলে, সেটাই দেখার।