স্পেন-মরক্কো
কালিনিনগ্রাদ স্টেডিয়ামে পাল্টাপাল্টি গোলে শুরু থেকে জমে ওঠে লড়াই। চতুর্দশ মিনিটে মাঝমাঠে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ও সের্হিও রামোস নিজেদের মধ্যে বল দেওয়া-নেওয়া করতে গিয়ে তালগোল পাকান। সেই সুযোগে বল কেড়ে দ্রুত ছুটে ডি-বক্সে ঢুকে আগুয়ান গোলরক্ষক দাভিদ দে হেয়ার পায়ের নিচ দিয়ে জালে পাঠান ফরোয়ার্ড খালিদ বুতাইব।
পাঁচ মিনিট পরই সমতা ফেরায় স্পেন। দারুণ ক্ষিপ্রতায় বাঁ-দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে ডিফেন্ডারদের এড়িয়ে কাটব্যাক করেন ইনিয়েস্তা। ফাঁকায় বল ধরে ঠাণ্ডা মাথায় জালে পাঠান ইসকো।
২৫তম মিনিটে আবারও স্পেনের রক্ষণে ভীতি ছড়ান বুতাইব। তবে এ যাত্রায় ডি-বক্সে বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। ৩৭তম মিনিটে ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হেড করেন সের্হিও বুসকেতস।
শুরু থেকে দারুণ খেলতে থাকা ইনিয়েস্তা বিরতির খানিক আগে আবারও বাঁ-দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে গোলমুখে বল বাড়ান। কিন্তু আসরে এখন পর্যন্ত তিন গোল করা দিয়েগো কস্তা পা লাগাতে পারেননি।
পর্তুগাল-ইরান
মরদোভিয়া অ্যারেনায় ভুলেভরা এক ম্যাচে ৪৫তম মিনিটে পর্তুগালকে এগিয়ে নেন রিকার্দো কারেসমা। সেদ্রিচ সোয়ারেসের সঙ্গে ‘ওয়ান-টু-ওয়ান’ খেলে একটু এগিয়ে গিয়ে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে ডান পায়ের বাঁকানো শটে বল জালে পাঠান এই ফরোয়ার্ড।
বিরতির পর ৫৩ মিনিটে রোনালদো পেয়ে যান পেনাল্টি। শুরুতে অবশ্য রেফারি সেটা দেননি, পরে ভিএআর আবারও রঙ্গমঞ্চে। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে রোনালদোর পেনাল্টি ঠিক ঠেকিয়ে দেন ইরান গোলরক্ষক। এবার বিশ্বকাপে গোলটা পাঁচে নিয়ে হ্যারি কেইনকে ছুঁতে পারলেন না রোনালদো, বিশ্বকাপেও কোনো পর্তুগাল খেলোয়াড়ের এটা প্রথম পেনাল্টি মিস।
উল্টো ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে (৯৩ মিনিট) সেদ্রিক সোয়ারেসের হাতে বল লাগায় পেনাল্টি পাওয়া ইরানকে সমতায় ফেরান আনসারিফার্দ। ইরানের তখন আর এক গোল হলেই চলে। অন্যদিকে স্পেনও তখন হারতে বসেছে। সেই সুবর্ণ সুযোগটা পেল মিনিট খানেকের মধ্যে। বক্সের ভেতপর ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন মেহেদি তেরেমি, কিন্তু সেটা লাগে সাইড পোস্টে। একটু পরেই বাজে শেষ বাঁশি, ইরানের খেলোয়াড়েরা হতাশায় লুটিয়ে পড়েন মাটিতে।
মন্তব্য করুন