শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

চাঁদপুরে আলু উৎপাদনে লক্ষ্যভ্রষ্ট

চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০১৮, ১২:০২ এএম

চাঁদপুরে এবার আলু উৎপাদন লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। চাষাবাদ মৌসুমে ৪ দিনের টানা অকাল বৃষ্টিতে আলুর আবাদি জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফলে রোপণকৃত আলু বীজ নষ্ট হয়ে যায়। লোকসানের মুখে পড়ে কৃষক সর্বশান্ত হয়। অথচ চাঁদপুর দেশের আলু উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলোর মধ্যে দ্বিতীয়। আলু উৎপাদনে মুন্সিগঞ্জের পরই চাঁদপুরের অবস্থান। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি চাঁদপুরের তথ্য মতে, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে জেলায় আলু চাষাবাদে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২ হাজার ৮ শ’ ৯০ হেক্টর। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৭২ হাজার মে.টন। জেলার ৮টি উপজেলায় চাষাবাদ হয়েছে ১০ হাজার ৫শ’৭৭ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৭১ হাজার মে.টন। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ১ লাখ ৪ শ’ মে.টন আলু উৎপাদন কম হয়েছে। 

কারণ হিসেবে কৃষি বিভাগ জানায়, চাঁদপুরে চাষাবাদ মৌসুমে ৪ দিনের টানা অকাল বৃষ্টিতে আলুর আবাদি জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। রোপণকৃত আলু বীজ নষ্ট হয়েছে। একদিকে আলু উৎপাদনে ক্ষতিগ্রস্থ অপরদিকে হাজার হাজার টাকা ধার দেনা করে লোকসানে কৃষক হতাশ হয়ে পড়েন। সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মতলব দক্ষিণ উপজেলার নিচু এলাকায় ২ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ।
প্রাপ্ততথ্যে,চাঁদপুর সদরে চাষাবাদ হয়েছে ১হাজার ৯শ’ হেক্টর এবং উৎপাদন হয়েছে ২৭ হাজার ৮শ’৭১ মে.টন। হাইমচরে ২শ’ ১৫ হেক্টরে উৎপাদন হয়েছে ২ হাজার ১শ’ ৯০ মে.টন। মতলব উত্তরে ৯শ’ ৫০ হেক্টরে উৎপাদন হয়েছে ১৪ হাজার ৫শ’ মে.টন। মতলব দক্ষিণে ৩ হাজার ৬শ’ ৫০ হেক্টরে উৎপাদন হয়েছে ৫৭ হাজার ২শ’ ৫০ মে.টন। হাজীগঞ্জে ৯শ’ ৫০ হেক্টরে উৎপাদন হয়েছে ১৩ হাজার ৬শ’ ৩৪ মে.টন। শাহরাস্তিতে ২৫ হেক্টরে উৎপাদন হয়েছে ৪ শ’৭০ মে.টন। কচুয়ায় ৩ হাজার ৪শ’ ৫০ হেক্টরে উৎপাদন হয়েছে ৫৩ হাজার ৪ শ’৬৭ মে.টন। ফরিদগঞ্জে ১শ’ ৪০ হেক্টরে উৎপাদন হয়েছে ২ হাজার ২ শ’ ৪০ মে.টন।
এদিকে চাঁদপুরে ৫টি উপজেলায় কোল্ডস্টোরেজ রয়েছে ১২ টি। সবগুলোর ধারণ ক্ষমতা ৫৪ হাজার মে.টন। এবছরও প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার মে.টন আলু সংরক্ষণের বাইরে থেকে গেছে। কোনো কোনো চাষি বা মধ্যস্বত্বভোগী দৈনন্দিন বাজারে খুচরা বিক্রি করছে। কেউ কেউ ঘরের মাচাঁয় বা মেঝে কৃত্রিমভাবে সংরক্ষণ করে রাখার উদ্যোগ নিয়েছে।
চাঁদপুর কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগ খামারবাড়ির একজন কর্মকর্তা বলেন, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ২-৩ দফায় অসময়ে প্রবল বৃষ্টিপাতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় এবার উৎপাদন কম হয়েছে।’ অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কৃষিবিদরা আলু সংরক্ষণের জন্যে চাষীদেরকে সব ধরণের পরামর্শ দিয়ে থাকে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন