আড়াইহাজারে এক যুবতীকে (২০) অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, উপজেলার মোল্লার চর গ্রামের মামার বাড়িতে বেড়াতে আসার সুবাধে দুই বছর আগে একই এলাকার মৃত তমিজউদ্দিনের ছেলে রবিউল আউয়ালের সাথে যুবতীর পরিচয় হয়। এর মধ্যে যুবতীকে বিয়ের প্রস্থাব দেয় রবিউল। যুবতীর পরিবার বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করলে রবিউল তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়।
রমজান মাসে ওই মেয়েটি মামার বাড়িতে বেড়াতে আসলে গত ২৬ মে সন্ধায় বাড়ির উঠোনে বের হলে ওৎ পেতে থাকা রবিউল আউয়াল জোরপূর্বক অপহরণ করে। পরে মাধবদী এলাকায় একটি বাড়িতে চারদিন আটকে রেখে রবিউল আউয়াল ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর রবিউল আউয়াল ও তার সহযোগিরা মিলে তাকে প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে ধর্ষিতা যুবতীকে কাছ থেকে জোরপূর্বক সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ওই বাড়িতে ফেলে চলে যায়।
ঘটনার পর ওই স্থান থেকে মামার বাড়িতে এসে বিষয়টি তাদের অবগত করলে মামার পরিবার রবিউলের পরিবারের লোকজন জানালে তারা বিষয়টির সুষ্ঠু মিমাংসার আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকে। এমনকি মামলা না করার জন্য মামার বাড়িতে ওই যুবতীকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এক পর্যায়ে রবিউল ওই এলাকার ক্ষমতাসীন লোকদের সহযোগিতায় ধর্ষিতা ও মামার পরিবারকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দিয়ে ঘটনাটি চেপে যাওয়ার জন্য বলে এবং যুবতীকে চট্টগ্রামের তার গ্রামের বাড়িতে চলে যাওয়া জন্য চাপ প্রয়োগ করে। ধর্ষিতা কৌশলে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে মোল্লারচর এলাকা থেকে বেড়িয়ে পড়ে এবং বৃহস্পতিবার বিকেলে আড়াইহাজার থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুল হক বলেন, ধর্ষিতা যুবতীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ধর্ষক রবিউল আউয়ালসহ ৫জনকে আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন