২০ দল জোট দলীয় জোটের কেন্দ্রিয় সমন্বয়কারী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ‘সিলেটে করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও নগর জামায়াতের আমীর এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের ২০দলীয় জোটের সমর্থন প্রত্যাশাকে তামাশা উল্লেখ করে বলেছেন, জামায়াতের নীতি নির্ধারক ও কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে-ই আরিফুল হক চৌধুরীকে মেয়র পদে প্রার্থী করেছে বিএনপি তথা ২০দল। কিন্তু রহস্যজনক কারনে জোটের শরিক দল জামায়াতের সিলেটের স্থানীয় এক নেতা মেয়র পদে প্রার্থীতা ঘোষনা করে, অনড় হয়ে উঠেন। তার এই অবস্থান অদূরদর্শীতার পরিচয় শুধু নয়, জোটের মধ্যে জামায়াতের অবস্থান এখন ধূম্রজালের সৃষ্টি করেছে।
নজরুল ইসলাম খান এব্যাপারে সর্তক থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, কথিত ওই জামায়াত নেতার পাশে বসে শরিক দলের নেতা হিসেবে যারা পরিচয় দিচ্ছে তারা সকলেই এখন নিজ নিজ দল থেকে বহিস্কৃত।
তিনি আরো বলেন, ‘জামায়াত নেতা শুধু মাত্র একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী, কিন্তু দলের পরিচয় বা ২০ দলীয় জোটের সমর্থন প্রত্যাশার দাবী হাস্যকর ও বিভ্রান্তিমুলক। ওই জামায়াত নেতার এ প্রার্থীতা যেমন রহস্যজনক, তেমনি পর্দার আড়ালে উচ্চাকাংখি এক কেন্দ্রিয় জামায়াত নেতার কলকাটি নাড়ার খবর আমাদের নিকট সু-স্পষ্ট।
তিনি বলেন, তাদের এ আত্মঘাতি খেলার পরিনাম তাদেরকেই দিতে হবে।
এদিকে, ইসলামী ঐক্যজোট চেয়ারম্যান, নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি ও ২০ দলের কেন্দ্রিয় নির্বাচন পরিচালনা সমন্বয়কারী এডভোকেট আব্দুর রকিব বলেন, সিলেটের জামায়াতের প্রার্থীতার মধ্যে দিয়ে দলের কেন্দ্রিয় ও স্থানীয় নেতৃত্বের দুরত্ব প্রমানীত হয়ে পড়েছে। তাদের চেইন অব কমান্ড এখন প্রশ্নবিদ্ধ। দেশের রাজনীতিক দলগুলোর নিকট তারা আস্থা ও ভরসাহীন এক সাংগঠনিক দল হিসেব চিন্থিত হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, সিলেটে ২০ দলীয় জোটের একমাত্র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। কেউ ফালতু এমন সমর্থন প্রত্যাশা করলে, তার ব্যাপারে সর্তক থাকার আহবান জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন