রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

সান্তাহারে জমছে পশুর হাট

গো-খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি : খামারিদের লোকসানের শঙ্কা

আদমদীঘি (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৬ এএম

বগুড়ার আদমদীঘিতে ঈদুল আজহাকে ঘিরে পশুর হাটগুলো জমছে। হাটগুলোতে প্রাধান্য পাচ্ছে স্থানীয় খামারের পালিত গরু-ছাগল। তবে ঈদ ঘনিয়ে এলেও ভারতীয় গরুর আমদানি তেমন একটা চোখে না পড়লেও স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীরা বলছেন, আর কয়েক দিন হাটে ভারতীয় গরু আমদানি হবে। ঈদের এখনো ১০ দিন বাকি থাকলেও উপজেলার আদমদীঘি সদর ও সান্তাহার রাধাকান্ত কোরবানির হাট জমে উঠতে শুরু করেছে। শনিবার ও মঙ্গলবার আদমদীঘি ও সান্তাহার বড় দুটি হাট ছাড়াও শুক্রবার-সোমবার নশরতপুর হাট। এসব হাটের সাথে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হাটগুলোতে আগাম কোরবানির পশু আসা শুরু করেছে।
উপজেলার সান্তাহার রাধাকান্ত হাটে গত শনিবার গিয়ে দেখা গেছে, ব্যাপক হারে কোরবানির পশু উঠেছে হাটে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার ব্যাবস্থা রয়েছে বলে হাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। ফলে হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রিতারা স্বস্তিবোধ করছেন। এ বছর রাঁধাকান্ত হাটে পশুর দাম নাগালের মধ্যে থাকায় বিক্রেতারা ও ক্রেতারা উভয়েই খুশি। শনিবারের হাটে একটি গরুর দাম সর্বোচ্চ বিক্রি করতে দেখা যায় এক লাখ ১৫ হাজার টাকায়। হাট ঘুরে দেখা গেছে, বিক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক অনেক ক্রেতারা পশু কিনছেন। ক্রেতারা বলছেন, এবারে পশুর দাম যেভাবে চাওয়া হচ্ছে তাতে পশু কিনতে দামের খুব একটা কমবেশি হচ্ছে না। ক্রেতাদের মতে, ঈদের আরো ১০ দিন বাকি, তাই আগাম বেশি দামে পশু কিনতে অনেক ক্রেতারা নারাজ। তবে ক্রেতা আর বিক্রেতারা উভয়েই বলছেন, আগামী সপ্তাহে হাটে গরুর আমদানি বেড়ে যাবে। আর তখন ক্রেতারা আরো পশু কেনাবেচ করবেন। হাটগুলোতে এখন পর্যন্ত ভারতীয় গরুর আমদানি চোখে পড়েনি বলে জানান ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় অনেকে ।
সান্তাহার রাঁধাকান্ত হাট মালিক নুর ইসলাম জানান, ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে। হাটে এপর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তিনি আরো বলেন, হাট সবেমাত্র জমতে শুরু করেছে। গত হাটের চেয়ে আগামী হাটগুলোতে জমজমাট বেচাকেনা হবে। তা ছাড়া এবারের হাটে ক্রেতারা দেশীয় গরুর কিনছে বেশি। অপর দিকে, স্থানীয় খামারি ও গৃহস্থরা বলেন, এবার গরু পুষতে খরচ পড়েছে বেশি। খড়ের ভুসি, আটাসহ গো-খাদ্যের মূল্য বেড়েছে। বাজারে গরুর দাম কম। এর পর যদি ভারতীয় গরু আসলে স্থানীয় খামারিও গৃহস্থদের প্রচুর লোকশান হবে। সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মুসা মিয়া জানান, ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন