শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালী ইলিশ

ভোলায় ধরা পড়ছে

ভোলা থেকে মো. জহিরুল হক | প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

ভোলায় দেরিতে হলেও ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালী ইলিশ। যাকে সাদা সোনা বলা হয়। জেলেদের মধ্যে বইছে আনন্দের বন্যা। আর এই ইলিশ ধরাকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে ওঠেছে মাছের আড়তগুলো। বিদেশে রফতানি করে আহরিত হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা। ভোলার দৌলতখান, তজুমদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাসন ও মনপুরার বিভিন্ন মৎস ঘাটের আড়তদার ও জেলেদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতা, আড়তদার, পাইকার আর বেপারীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। জেলেদের মুখেও ফুটেছে হাসি। সঙ্কট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় জাল-নৌকা নিয়ে রাত-দিন নদীতে মাছ শিকার করছেন ভোলার বিভিন্ন উপজেলার হাজার হাজার জেলে।
জেলেরা জানায়, জাটকা বড় হয়ে পরিণত হওয়ায় সাগর থেকে নদীতে চলে আসছে, সে কারণেই জেলেদের জালে ধরা পড়ছে এসব রূপালি ইলিশ। উজানের ঢল আর বৃষ্টিপাত বেড়ে গেলে মাছের উৎপাদন আরো বেড়ে যাবে বলে মনে করছে ভোলার মৎস্য বিভাগ। এদিকে, ইলিশ ধরা পড়লেও অভিযান নিয়ে কিছুটা চিন্তিত জেলেরা। নদীতে ডাকাতদেরও উৎপাত বাড়ছে। কিন্তু এমন সময় ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে যে আর কিছুদিন পরেই ইলিশের প্রজনন মৌসুম শুরু হবে। মাছ ধরা বন্ধ হয়ে যাবে। ভোলার বিভিন্ন মাছঘাট ঘুরে দেখে গেছে, নদী থেকে ঘাটে ভিড়ছে হাজার হাজার ট্রলার ও নৌকা। জেলেদের আহরণকৃত মাছ আড়তে তুলে ডাক দেয়া হচ্ছে। নির্ধারিত দামে সেসব মাছ কিনে নিচ্ছেন ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বেপারীরা। জেলেদের হাত থেকে আড়তদার সেখান থেকে পাইকার এবং বেপারীদের হাত ঘুরে এসব মাছ চলে যাচ্ছে ঢাকা, চাঁদপুর ও বরিশালের, যশোর, কাওরান বাজারসহ দেশের বড় বড় আড়তসহ বিদেশেও। সরেজমিন দেখা যায়, দৌলতখানের বিভিন্ন আড়ত থেকে এক কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি হালি চার হাজার টাকা, ভেল্কা ২৫০ টাকা এবং জাটকা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে এসব মাছ ঢাকা-বরিশালে আরো চড়া দামে বিক্রি হয়। দৌলতখান এলাকার জেলে মো. লোকমান মাঝি বলেন, এক সপ্তাহ ধরে নদীতে মাছ ধরা পড়ছে, সকালে ছয় ঝুড়ি মাছ আড়তে বিক্রি করেছি। তজুমদ্দিনের বিভিন্ন জেলেরা বলেন, এতদিন নদীতে মাছ ছিল না, তাই আমরা অনেক হতাশার মধ্যে ছিলাম। অনেক ঋণ হয়েছে, আশা করি এবার মাছ বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করে ঘুরে দাঁড়াতে পারব।
ভোলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, পানি ও জোয়ারের কারণে মাছের পরিমাণ বাড়ছে, ইলিশ বয়সে পরিণত হয়েছে, আকারও বড় হয়েছে, তাই সাগর থেকে নদীর দিকে চলে আসছে ইলিশ। কিছু মাছ আবার ডিম ছাড়তেও আসে। তাই জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ইলিশ। তবে জাটকা ধরা বন্ধ ও মৎস প্রজননের সময় মাছ ধরা বন্ধ থাকলে মাছ আমাদের জাতীয় পর্যায়ে উন্নয়নে আরো জোরালো ভ‚মিকা রাখবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন