সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

উৎপাদন ব্যাহত : জনজীবন দুর্বিষহ

টঙ্গী শিল্পাঞ্চলে লোডশেডিং

টঙ্গী সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

প্রচন্ড গরম আর ঘনঘন লোডশেডিংয়ের ফলে টঙ্গী শিল্পাঞ্চলের উৎপাদন ব্যাহত ও জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে টঙ্গী শিল্পাঞ্চলে রাত-দিন সমানতালে চলছে লোডশেডিং। প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা লোডশেডিং চলছে। কখনো কখনো এই লোডশেডিং ছয়-সাত ঘণ্টার বেশি দেখা যায়। ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে শিল্প-কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার বিঘ্নসহ জনজীবন অসহনীয় হয়ে উঠছে। আসন্ন প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী এবং জেএসসি পরীক্ষার্থীদের নিয়েও অভিভাবক মহল চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
টঙ্গী শিল্পাঞ্চল এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং হওয়ায় প্রচন্ড গরমে হাসফাস করছে নারী, শিশু ও বৃদ্ধ। দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ না থাকায় পরিবারের ছোট শিশুরা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। শিল্পাঞ্চলের আউচপাড়া, দত্তপাড়া, এরশাদনগর, সাতাইস, গাজীপুরা, আরিচপুর, বিসিক শিল্প এলাকা, বড়দেওড়া, মুদাফা, মিলগেট, টঙ্গী বাজার, বৌ-বাজারসহ প্রতিটি এলাকায় বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিং জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। এসব এলাকার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও জেএসসি পরীক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে। দেশের অন্যতম রফতানি খাত পোশাক শিল্পসহ টঙ্গীতে ছোট-বড় অন্তত পাঁচ শতাধিক শিল্প কারখানা রয়েছে। বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে এসব শিল্প কারখানায় উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে শিল্প মালিকরা অভিযোগ করছেন।

টঙ্গী বেক্সিমকো এলাকার সিনকি অ্যাপারেলস কারখানার প্রোডাকশন ম্যানেজার সাইফুল আলম বলেন, দিনের বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় শ্রমিকরা কাজ করতে পারছেন না, ফলে মালিকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। উৎপাদন ব্যাহতের ফলে সময়মতো বায়ারকে মাল সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না।

টঙ্গী আউচপাড়ার একজন জেএসসি পরীক্ষার্থীর অভিভাবক আব্দুল হান্নান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একমাস পরেই ছেলেমেয়েরা জেএসসি পরীক্ষা দেবে অথচ সন্ধায় যখন পড়তে বসবে ঠিক সেই সময় বিদ্যুৎ থাকে না। এভাবে চলতে থাকলে ছেলেমেয়েরা রেজাল্ট খারাপ করবে। সরকার বলছে, দেশে লোডশেডিং নেই, কিন্তু আমরা সারাদিন ঘনঘন লোডশেডিংয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছি এসবের অর্থ কি আমাদের বুঝে আসে না।

এ ব্যাপারে ডেসকো টঙ্গী (পশ্চিম) অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম রব্বানীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইনকিলাবকে বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলাকালীন বিভিন্ন জায়গায় আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাৎক্ষণিক ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে তা মেরামত করা লাগছে। প্রতি এক দুই ঘণ্টা পরপরই কি এমন দুর্ঘটনা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু সময় ঘোড়াশাল গ্রিড থেকেও বিদ্যুৎ সংযোগ ট্রিপ করে বলে জানান। টঙ্গীতে বিদ্যুতের চাহিদার তুলনায় ঘাটতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন