টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখিপুর) আসনে গতকাল আ.লীগ মনোনয়নপ্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার আতাউল মাহমুদ সখিপুর-বাসাইল উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় গণসংযোগ করেছেন।
দুই উপজেলার বিভিন্ন পথসভায় টাঙ্গাইল-৮ আসনে আ.লীগ মনোনয়নপ্রত্যাশী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আতাউল মাহমুদ বলেন, সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়নপ্রত্যাশী হয়ে বাসাইল-সখিপুর এলাকাবাসীর পাশে থেকে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, বিগত উপ-নির্বাচনেও আমি মনোনয়ন চেয়েছিলাম এবারো মনোনয়ন পাওয়ার আশায় নিরলসভাবে এলাকায় কাজ করে যাচ্ছি। এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থেকে এলাকার উন্নয়ন করেছি। এখনো উন্নয়ন কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছি। দল মনোনয়ন দিলে এ আসনে তিনি নিশ্চিত বিজয়ী হবেন এবং বাসাইল-সখিপুর উপজেলাকে বাংলাদেশে রোল মডেল করবেন।
আতাউল মাহমুদ দাবি করেন এলাকার যুব সম্প্রদায় তার সাথেই থাকবে। তিনি বলেন, আমি মনোনয়ন পেলে সবাই আমার সাথে কাজ করবে। আমি এমপি না হয়েও এলাকায় অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো- রাস্তা পাকাকরণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ভবন নির্মাণসহ আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি প্রসারের জন্য বিভিন্ন স্কুলে শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন। এলাকায় পর্যটন নিয়েও ভাবনা রয়েছে তার। তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে বেতুয়া ও বহেড়াতৈলের মাঝে যে সংযোগ সড়কটি রয়েছে, মানুষের বহু আকাক্সিক্ষত বর্ষাকালের বিনোদনের জন্য এখানে দর্শনীয় স্থান করে গড়ে তোলা হবে, সেই সাথে দর্শনার্থীদের কাছে আরো দৃষ্টিনন্দন করার জন্য বাসাইলের বাসুলিয়া নামক দর্শনীয় স্থানটির জন্যও কাজ করা হবে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৮ আসন থেকে মনোনোয়নপ্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার আতাউল মাহমুদের জন্ম টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার বহেড়াতৈল ইউনিয়নের বেতুয়া গ্রামে। তিনি ঢাকা কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি শেষ করে বুয়েট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেন। ১৯৮৬-৮৭ সালে তিনি ঢাকা কলেজের উত্তর ছাত্রাবাসের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৯০-৯১ সালে তিনি বুয়েট ছাত্রলীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক, ৯২-৯৩ সালে সাংগঠনিক ও ৯৩-৯৬ সালে নির্বাচিত হন সাধারণ সম্পাদক। ৯৯-২০০১ সালে তিনি বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও ২০১০ সাল থেকে অদ্যাবধি সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন