শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

চট্টগ্রামে নির্ভার বাংলাদেশ

রুমু, চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

বাংলাদেশ দল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৮ রানে জয় নিয়ে সিরিজ শুরু করেছে। এ জয়ের ফলে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে রয়েছে টাইগাররা। আগামী ২৪ অক্টোবর সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে (দিবারাত্রি) চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। গতকাল উভয় দল চট্টগ্রাম মিশনে আসে বিকেল সাড়ে ৪টায়। এরপর কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে উভয় দলকে রেডিসন ব্লুতে আনা হয়। আজ সকালে বাংলাদেশ দল এবং বিকেলে জিম্বাবুয়ে দল অনুশীলন করবে এ ভেন্যুতে।

এখানে সর্বশেষ ওয়ানডে ম্যাচ হয়েছিল ২০১৬ সালের অক্টোবরে। সে ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ হেরেছিল ৪ উইকেটে। চট্টগ্রামের দর্শক এমনিতেই ক্রিকেট পাগল। ওয়ানডে ম্যাচ হলে কথাই নেই, হুমড়ি খেয়ে পড়ে স্টেডিয়ামে। গ্যালারী কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় দর্শকে। তাদের চাওয়া থাকে প্রতিদ্বদ্বীতাপূর্ণ ম্যাচ এবং বাংলাদেশের জয়। সে দৃষ্টিকোণ থেকে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটিতেও দর্শকরা হবে স্টেডিয়ামমুখী। কেননা এ ভেন্যুতে টিম বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে টাইগারদের লাকি গ্রাউন্ড এটি।

এ ভেন্যুতে এ পর্যন্ত ১৯টি ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ দল ১০টিতে জয় পেয়েছে, হেরেছে সাতটিতে আর বাকি দু’টি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে। জয় পাওয়া ১০টি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটি জয় এসেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, একটি করে এসেছে ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, স্কটল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এদিকে আজ ওয়ানডে ম্যাচের টিকিট বিক্রি শুরু হবে। এমএ আজিজ স্টেডিয়াম কাউন্টার এবং সাগরিকা বিটাক কাউন্টার থেকে টিকিট পাওয়া যাবে। সর্বমোট টিকিট ছাড়া হবে ১৮ হাজার। টিকিটের দাম রাখা হয়েছে পূর্ব গ্যালারী ১৫০ টাকা, পশ্চিম গ্যালারী ১শ’ টাকা। এছাড়া রুফটব ১ হাজার, গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড ১ হাজার এবং ক্লাব হাউস ৫শ’ টাকায় টিকিট বিক্রি হবে।

তার আগের দিনই দু’টি ম্যাচকে সামনে রেখে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা মহড়া দিয়েছে সিএমপি। রেডিসন ব্লু থেকে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম পর্যন্ত এ মহড়ায় ২শ’ পুলিশ অংশ নেয়। বেলা ১১টায় শুরু হয় এ মহড়া রেডিসন ব্লু থেকে। নগরীর পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতাল এলাকায় পৌঁছলে একটি ভ্যান দিয়ে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে খেলোয়াড়দের গাড়িবহরটি আটকানো হয়। সাথে সাথেই পুলিশ প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে ফেলে গাড়িবহর সাগরিকা মোড়ে গেলেই বোমা হামলার মুখে পড়ে। কিন্তু সেই বাধা উপেক্ষা করে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হয় গাড়িবহরকে। এরপর খেলা চলাকালে স্টেডিয়ামে কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ হয়। সাথে সাথেই নেমে আসে পুলিশের উদ্ধারকারী দল। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সোয়াত টিমের সদস্যরাও। খেলোয়াড়দের মাঠ থেকে দ্রুত মিডিয়া বক্সের পাশে একটি এক্সিট পয়েন্ট দিয়ে বের করে নিয়ে আসা হয়। মহড়া শেষে নিরাপত্তার বিষয়ে নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মাসুদ উল হাসান বলেন, ‘হোটেল থেকে মাঠে খেলোয়াড়দের আসা-যাওয়া থেকে শুরু করে সার্বক্ষণিক পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। পুলিশ, র‌্যাবের পাশাপাশি সোয়াত, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল, ফায়ার সার্ভিস ইউনিটও প্রস্তুত থাকবে। সবমিলিয়ে দুই হাজার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মাঠে থাকবে। তিনি জানান, এর আগেও ইংল্যান্ডসহ বড় বড় টিমের নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে। এরপরও নিরাপত্তায় কোনো ত্রুটি রয়েছে কি না কিংবা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তা কীভাবে রোধ করা যাবে, এ জন্য মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে।

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন