শাহিনা কাজল
প্রত্যানয়ন
বৈরি হাওয়ার শূণ্য পথে হাঁটতে গিয়ে
ছন্দহীন উষ্ণতায় যতোবার ফেরত চেয়েছি
শুকনো চোখ দু›টো, ততোবার
ভিজেছি তরতাজা রোদ্দুরে।
চৈত্রের দুপুরে বাড়ী ফেরার পথে সোঁদা মাটির যে গন্ধ
রোজ রোজ তার তৃষ্ণার্ত আবদার পুঁতে রাখতো
আমিই তার চাহনীটা ঘামের দরে বেচে দিয়েছি
বেলেঠোঁট, ড্যাপসানো নাক আজও তার
সযতেœ গুছিয়ে রেখেছি মেঘের উঠোনে
নিঃসঙ্গ নিঃশ্বাসের আগুনে পুড়ে যে ঘ্রাণ আঁকে
ক্লান্ত কাঁচের কাদা মাখা ভেজা কার্ণিশ
রাত ভারী হলে সে কান্না ভেসে আসে
হিংস্র হায়েনার পদভারে, পুকুরপাড়ে
সে ছবিও এঁকে রেখেছি , আদরে-
অবহেলায় চিলেকোঠার ডান পাশে।
স্রোতস্বিনী চলা ওর নিতম্বিনী রোদ
এলোমেলো কাব্য ওর নিঃশব্দের তুষারপাত।
পাহাড়ী ঝর্ণায় ভেজানো চোখ আমার বিস্তৃত সুখ
রাত্রিহীন ঘুমের দেশে জ্বালায় জোনাকির আলো
অথচ ওটুকুই আমার সম্বল!!
পাপিষ্ঠ পথভ্রমে কেটে যাবে হয়তো এজীবন
ভাবিনি সে কথা কোনো মাঘী পূর্ণিমায়
দূরের জানালায় বিকেল নেমে এলে
বাতাসের ডাকবাক্সে জমতে থাকে
রাত্রি শেষের রসহীন লেখা মুঠোমুঠো কবিতা।
জোনাকিরাও হাসে আঁধারের কুহুকিনী পথে
আর আজ নারিকেল ছায়ায় আমি তার গল্প বুনেছি।
খোদেজা মাহবুব আরা
অচেনা সব
চেনা মুখ ক্রমশ অচেনা সব
জীবন তত্তে¡র বিশ্লেষণে মুখোশের অন্তরাল,
স্বার্থ আর লিপ্সা জড়াজড়ি করে আছে প্রভাতের সূর্যোদয়,সখ্যতার ঝরাপাতার শব্দ মুখরতার বিষ পৌঁছে যাচ্ছে বর্বরতার আদিম চূড়ায়,
রেশম সূতোর বন্ধনের কারু কাজ বিচ্ছেদের মর্মযাতনার নিশব্দ বিলাপ, মধুমাখা হৈ হুলোড়,
প্রাণ বন্ত গল্পের প্রান্তহীন ফানুস ফোয়ারা, উচ্ছল আনন্দ উচাটন প্রশান্ত হৃদয় --
জীবন এতটা অনিশ্চিত প্রান্তে ঝুলে
ঝড়ো বাতাসের অচেনা ঝাপটায় যা কখনও ছিলোনা
বিষাদের কারিগর, বাতাসে বাতাসে উড়ছে সময় কাল পেঁজা তুলোর অসহায়ত্বে আর হৃদয়ে রক্ত ক্ষরণ অবিরাম
আরিফ হাসান
ভালোবাসা অথবা বিচ্ছেদের গল্প
আমার ঘরে ফেরার কোনো তাড়া নেই,
সেখানে আমার অপেক্ষায় নেই কেউ।
সবাই অপেক্ষা করে জীবিতদের জন্য,
মৃতদের জন্য কেউ অপেক্ষা করে না।
তবে এই আমি বেঁচে থেকেও কি মৃত!
আকাশকে যেমন যায় না কখনও চেনা,
তেমনি চিনতে পারি না তোমাকে আমি।
আকাশের মতো ক্ষণে ক্ষণে আপনমনে,
কত না রঙ বদলাও গরবিনী তুমি!
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন