শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

লাল-সবুজের সমারোহ বুড়ি তিস্তায়

হাফিজুর রহমান সেলিম, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

বুড়িতিস্তা নদীতে পানি আর পানি। সেই নদীতে চলছে চাষবাস। ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষ। দেখলে মনে হবে বুড়িতিস্তা নদীতে ভাসছে শাকসবজির ভেলা। একদিকে লাল শাকসহ বিভিন্ন জাতের শাকসবজি। অন্যদিকে ভাসছে লাউ গাছের ছাউনি। তাতে ধরেছে সারি সারি লাউ। এ যেন এক অন্য রকম দৃশ্য।
চলতি বছর দুইজন কৃষক উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে বুড়িতিস্তা নদীতে ভাসমান পদ্ধতিতে শাকসবজি চাষাবাদ করে লাভবান হয়েছেন। তাদের পদ্ধতি দেখে এলাকার অনেক কৃষক ভাসমান পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে উৎসাহিত হয়েছে। কৃষকরা জানান, আগামীতে তারাও ভাসমান পদ্ধতিতে কীটনাশক ছাড়াই শাকসবজি চাষাবাদ করবেন। তাদের মতে, দখল হওয়া বুড়িতিস্তা নদীতে আগামীতে দেখা যাবে ভাসমান সবজির সারি সারি ক্ষেত।
সরেজমিন বুড়িতিস্তা পাড়ে গিয়ে কথা হয় আজাদুন্নবী ও রাশেদুজ্জামান নামে দুই কৃষকের সাথে। তারা জানান, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পরামর্শে উপজেলা সদরের অদুরে রামদাস ধনিরাম বলদী পাড়া গ্রামে বুড়িতিস্তা নদীতে ভাসমান বেডের ওপর লাল শাক, করলা, বরবটি ও লাউ চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে বাজারে বিক্রিও শুরু করেছেন। কীটনাশকমুক্ত শাকসবজি বাজারে বিক্রি করতে গেলে ক্রেতাদের আগ্রহ থাকে বেশি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ গবেষণা সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ (ডিএই অঙ্গ) প্রকল্প বাস্তবায়নে বুড়িতিস্তা নদীতে চাষাবাদ এলাকার মানুষকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। অনেকে বিকেলে ক্ষেতের কাছে গিয়ে সবজি কিনতে অপেক্ষা করেন।
বর্তমানে এই প্রদর্শনী দেখে এলাকার অনেক কৃষক আগামীতে এভাবে গোটা বুড়িতিস্তা নদীর ওপর ভাসমান বেড তৈরি করে লতা জাতীয় সবজিসহ বিভিন্ন কৃষি ফসল চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অশোক কুমার রায় বলেন, বিনা খরচে সার কীটনাশক ছাড়াই এভাবে ভাসমান বেডে নানা জাতের সবজি চাষ করা হলে অল্প শ্রমে বেশি লাভবান হবেন কৃষকরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন