ভারীবর্ষন ও ভারতের উজান থেকে আসা পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি ক্রমে বৃদ্ধি পেয়ে লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চলে আগাম বন্যা ও জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
শনিবার সকাল ১০ টায় জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার দোয়ানী তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারেজ দোয়ানী পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২দশমিক ৮০ সেঃমিঃ। ব্যারেজ রক্ষার্থে ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়ে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রন করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।
জানা গেছে গত ৭ দিনের ভারী বর্ষন আর ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারনে তিস্তাা নদীর চর এলাকাগুলোতে লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানি বৃদ্ধির কারনে চরের কৃষকরা ভুট্টা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। এদিকে হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান ও গড্ডিমারীতে ৪ শতাধীক পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন বলে সংশ্লিস্ট চেয়ারম্যানগন জানিয়েছেন।
সানিয়াজান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ গফুর জানান,আমার ইউনিয়নের ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের লোকজন পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিয়র রহমান জানান, গড্ডিমারী ইউনিয়নের ১,২,ও ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অনেকেই পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। পানি বৃদ্দির ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এ এলাকায় নতুন করে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দোয়ানী ডালিয়া’র নির্বাহি প্রকৌশলী রবিউল ইসলাস জানান, বৃষ্টি আর উজানের ঢলের কারনে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চর এলাকার কিছু পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। বর্তমানে তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমার ২০ সেঃ মিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলেও জানান পাউবোর এই কর্মকর্তা। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, শনিবার সকাল থেকে তিসÍা নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেঃ মিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির কারনে চর এলাকার অনেক পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন