রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সাহিত্য

কবিতা

| প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৮ এএম

সাকিব জামাল
নাকফুল

তোর নাকফুলের প্রতিফলিত আলোক,
হৃদয়ের গহীনে পৌঁছে দেয় প্রেমের সলক ।
বিরহ অন্ধকারাচ্ছন্ন মনঃ
উদ্দীপ্ত হয়- পূর্ণ জোছনাসমেত ।
পাঁকা ধানের রঙরূপ মুখশ্রী তোর-
দাগ কেটে দেয় যেন প্রশান্ত মহাসাগর!
বারবার আলোকছটায়-
প্রশান্ত নিয়ম ভাঙ্গে,
উত্তাল হয়,
একাকি নাবিক এই পথে চলতে পারে না!
চোখে ভর করে ক্লান্ত কৃষকের মত-
সোনালী ধান দ্রুত ঘরে তোলার বাসনা ।
ঐ একটি নাকফুলই যথেষ্টঃ
জীবন সুফলা করতে যে আলোর প্রয়োজন-
সে আলোর পূর্ণতারূপ!
নানা ঢঙে সই,
হোক তোর নাকফুলের আলো বিচ্ছুরণ ।

ছালাম শিকদার
তোমাকেই বলছি
তবুও তোমাকে বলছি,তুমি জানবেনা কোনোদিন
কোন দিনের কোন প্রেমে আমায় করেছ চিরঋণী
কোনোদিনও বলিনি বিশ্বাস করো এই ফুল।
শুধু দায়িত্ববোধ থেকে চেয়েছি ঋন শোধ করতে
তাই আমার হৃদয়ের গহিনে
কঠিন ব্যথার সুর
আমার না ছিলো- কোনো কুসুমের মোহ
করেছো মথিত পায়ে।
যেমনটি করে চামার- পাইলে গরু বান্ধা
আর হবেনা দেখা।
তবুও কোনোদিন কোন প্রেমে
আমায় করেছ চিরঋণী।

বাদল বিহারী চক্রবর্তী
কাজলা-কালো বন্ধু আমার
তু হামার সাদা পেরাণের
সাদা মানুষ রে মরদ, হামি তোহার ......
কি, ভুইলে গেইলি বটে? হামি তোহার সেই-
কাজলা-কালো বন্ধু আছে বটে।
বললাম, না না, তা কি কখনো ভুলার?
মনে পড়ে শৈশব, সাজি হাতে প্রতিদিন সকালটা ছিল
তোমার এক অপূর্ব নন্দন কানন; পাঠশালায়-
তুমি ছিলে এক-ধাপ আগে, আমি অনুবর্তী শ্রেণিকক্ষের
সুবোধ বালক, বয়সেও তাই।
বাগানে সংগৃহীত ফুলে গাঁথা মালা পরিয়ে যখন বলতে-
চল্, হামরা মরদ-বহু খেইলি। তোহাক লিয়ে
বোশেখী- মেলায় যাবো রে, তোহার হাতে
কানে দুল পরবো রে মরদ। কি, ঝুঝিস লাই বটে?
বুঝবো না কেনে? মনে যে খু-উ-ব আছে।
পারিজাতপূর্ণ তোমার ঋদ্ধহস্ত, মুগ্ধতায় সেদিন--
প্রতীক্ষার সঙ্গীত ছিল কণ্ঠে আমার--
কাজলা-কালো বন্ধু আমার
আসবে কবে বলরে কাজলা
আসবে কবে বলো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন