ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে পল্লীবিদ্যুৎ সাব জোনাল অফিস উন্নয়ন মেলার স্টলের বিভিন্ন খরচ দেখিয়ে বিল ভাউচার করে সরকারি তহবিল থেকে ১৮ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
গত ৪ অক্টোবর তিন দিনব্যাপী উপজেলা পরিষদ চত্বরে উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার বিভিন্ন অধিদপ্তর ও পল্লিবিদ্যুৎ সাব জোনাল অফিসসহ ৩৫টি স্টল অংশগ্রহণ করে। তার মধ্যে পল্লিবিদ্যুৎ সাব-জোনাল অফিস তিনদিনে স্টলে খরচ দেখিয়ে বিল ভাউচার করে ১৮ হাজার টাকা সরকারি তহবিল থেকে উত্তোলন করে আত্মসাত করেছে বলে ইলেকট্রিশিয়ান রমজান আলী বাদী হয়ে পল্লিবিদ্যুতের এজিএম এহেতাশামুল হক ও জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আ. রহিমের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট মহা-পরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে আরো উল্লেখ রয়েছে, টাকার বিনিময়ে ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহিম ১০টি মিটার সকলের অগচরে মিরডাঙ্গী বাজার হয়ে অন্য স্পটে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার জনগণ তাকে মিটারসহ আটক করে ফেলে। পরে মিটারগুলো উদ্ধার করে সাব জোনাল অফিসে জমা করা হয়। ঘটনাটি ঘটে ২১ অক্টোবর দুপর ১২টার সময় মিরডাঙ্গী এলাকায়। অথচ বর্তমান অফিসে মিটার চাইতে গেলে কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের বলেন, বর্তমানে কোনো মিটার সরবরাহ নেই। বেটারি বদল করে দেয়ার নাম করে আমজুয়ান গ্রামের ওহেদ আলীর ছেলে আমিরুল ইসলামের কাছ থেকে রশিদ ছাড়াই ৪০ হাজার টাকা নিয়েছেন। ভাÐারা গ্রামের উমর ফারুকের স্ত্রী শাহানাজ পারভীনের কাছ থেকে একটি মিটার সংযোগ দেবেন বলে আট হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন। গ্রাহক শাহানাজ ও আমিরুলসহ অনেকে জানান, পল্লিবিদ্যুৎ অফিসে মিটার বা বিদ্যুৎ সংক্রান্ত যে কোনো সেবা পেতে গেলে হয়রানি এবং আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহিম সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তেরে বলেন, উন্নয়ন মেলার বেনার ফেস্টুনসহ বিভিন্ন খরচ বাবদ ১৮ হাজার টাকা অফিসিয়ালি ভাউচার করা হয়েছে, বেটারি বাবদ ৪০ হাজার টাকার বিষয়টি তিনি জানেন না, একটি মিটার বাবদ আট হাজার টাকা এবং ১০টি মিটার ১০ হাজার টাকায় বিক্রির অভিযোগটি মিথ্যা। জেনারেল ম্যানেজার আবু সালে বলেন, এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন