সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিএনপি জোট নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়

ইসিতে ১৪ দলের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম | আপডেট : ১২:৩৯ এএম, ২৪ নভেম্বর, ২০১৮

বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়–য়ার নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।
দিলীপ বড়–য়া বলেন, এক ঢিলে দুই পাখি শিকারের চেষ্টা করছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তারা একদিকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, আবার প্রতিদিন নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে মনগড়া ও বানোয়াট অভিযোগ করে সংশ্লিষ্টদের মনোবল ভেঙে দেয়ার অপচেষ্টা করছে। তারা যাতে নিরপেক্ষভাবে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করতে না পারে। তিনি বলেন, বিএনপি প্রতিনিয়ত নির্বাচনী আইন ও আচরণবিধি লঙ্ঘণ করে বক্তব্য রাখছে অথচ ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ড. কামাল হোসেন একজন আইনজ্ঞ হয়েও এ বিষয়ে কিছুই বলছেন না। বিএনপি যে দাবিগুলো উত্থাপন করছে সেগুলো উদ্দেশ্যপ্রনোদিত এবং তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। তিনি বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ অস্থিতিশীল করে তারা তাদের গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়। নির্বাচনের আগে ও পরে যাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর কোন ধরনের নির্যাতন না হয় এবং নির্বাচনে তারা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তা নিশ্চিত করার আহবান জানান। দিলীপ বড়–য়া বলেন, বিএনপি মহাসচিব ভোট কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণের কথা বলে নির্বাচনকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
প্রশাসনের রদবদল সম্পর্কিত বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া বিএনপির কথামতো যেন এ ধরনের রদবদল করা না হয়, এ বিষয়ে আমরা কমিশনকে জানিয়েছি। জোটের অপর নেতা জাতীয় পার্টি (জেপি) মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশনকে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। বিরোধী রাজনৈতিক জোটগুলো নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে প্রতিনিয়ত আচরণবিধি লঙ্ঘণ করছে। এ ব্যাপারে কমিশনকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে দেয়া এক চিঠিতে তারা উল্লেখ করেন, বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বানচালের অংশ হিসেবেই প্রতিদিন অসত্য ও মনগড়া অভিযোগ ইসিতে নিয়ে আসছে। চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক দল ও জোটকে সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং আইন বহিঃর্ভূত কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য কর্তব্য। অথচ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন একজন দন্ডিত ও পলাতক আসামী হওয়ার পরও তিনি দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। সংবিধান অনুযায়ী দন্ডপ্রাপ্ত কোন আসামী জাতীয় সংসদের সদস্য পদ প্রার্থীদের বাছাই করতে পারেন না। এ ধরনের কর্মকান্ড সংবিধানের প্রতি চরম অবমাননা এবং রাষ্ট্রীয় বিধিবিধানের সম্পূর্ণ পরিপন্থি। তারেক রহমানের এ ধরনের বেআইনী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইসির প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন