সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

এসডিজির শর্ত-১৬ মেনে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় জাতিসংঘ : মিয়া সেপ্পো

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৯:৪৭ পিএম

বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে সহিংসতার ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু আমি মনে করি, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ১৬ নম্বর শর্ত অনুযায়ী, আসন্ন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে। তিনি বলেন, আজকে আমরা নিকট অতীত থেকে অনেক ভালো আছি। বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনুষ্ঠিত সংলাপ নির্বাচন নিয়ে অনেক টেনশন দূর করে দিয়েছে। তবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন তখনই সম্ভব হয় যখন ভোটাররা নির্বিঘেœ তাদের নেতা নির্বাচন করতে পারে। এক অনলাইন মিডিয়াকে দেয়া সাক্ষাতকারে মিয়া সেপ্পো বলেন, এসডিজির ১৬ নম্বর শর্তটি (শান্তিপূর্ণ নির্বাচন) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের উন্নয়ন নীতির ক্ষেত্রে ১৬ নম্বর শর্তটি কিভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তা আমরা খুব মনযোগের সঙ্গে লক্ষ্য রাখছি। ১৬ নম্বর শর্তটি শান্তিপূর্ণ এবং অংশগ্রহণমূলক সমাজ গঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এসডিজির এই বিষয়টি পুরোটাই শান্তিপূর্ণ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত। কেন না নির্বাচন অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণ হলেই অহিংসমূলক সমাজ গঠন করা সম্ভব। বাংলাদেশ এখন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে। নির্বাচনকে ঘিরে সবগুলো দলের কর্মকান্ড দৃশ্যমান। সবগুলো দলই নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের মনোনয়ন দিচ্ছে।
জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে, আজকে আমরা নিকট অতীতের সময় থেকে অনেক ভালো আছি। নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনুষ্ঠিত সংলাপ অনেক টেনশন দূর করে দিয়েছে। ভোটের আগে বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনুষ্ঠিত সংলাপ খুবই ইতিবাচক। এই সংলাপকে স্বাগত জানাই। এর মধ্য দিয়ে কিছু ভালো ফলও পাওয়া গেছে।
সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে মিয়া সেপ্পো বলেন, নির্বাচন সবসময়েই অংশগ্রহণমূলক হতে হয়। আর অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অঙ্গীকার জরুরি। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সঙ্গে সকলের স্বার্থ জড়িত। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন তখনই সম্ভব হয় যখন ভোটাররা নির্বিঘেœ তাদের নেতা নির্বাচন করতে পারে। বড় বিষয় হচ্ছে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন একটি দেশের উন্নয়ন কর্মসূচির লক্ষ্য নির্ধারণে সহায়তা করে। উন্নয়ন এজেন্ডাগুলো যাতে নির্বিঘেœ এগিয়ে নেওয়া যায় সে জন্যও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রয়োজন। এ জন্যই আমরা নিরেপক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানকে গুরত্ব দেই।
তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারের সঙ্গে উন্নয়ন কর্মসূচি নিয়েই কাজ করি। এবং নিশ্চিত হতে চাই যে কোনো সময় যেন নষ্ট না হয়। কেননা নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে বা নির্বাচনের পরের পরিস্থিতি ইতিবাচক না হলে একটি রাষ্ট্র সামনের দিকে এগুতে পারে না। ভবিষ্যতের জন্য অর্থনৈতিক বা উন্নয়নের লক্ষ্য ঠিক করতে পারে না।
আগামী সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে সহিংসতার ইতিহাস রয়েছে। বাংলাদেশ এখনো গণতন্ত্র উন্নয়নের পথে রয়েছে। আমি মনে করি, আসন্ন নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার সুযোগ রয়েছে। কেন না নির্বাচনে সকলের মত প্রতিফলিত হয়। এই মত প্রতিফলিত হবে নির্দিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মধ্য দিয়ে, যার কেন্দ্রে অবস্থান করছে নির্বাচন কমিশননির্বাচন কমিশন ভোটাধিকারের রক্ষক হিসেবে কাজ করে, আবার নাগরিকদের আস্থাস্থল হিসেবে কাজ করে।
মিয়া সেপ্পো আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে এবং শক্তিশালী গণতন্ত্রের ভিত্তি গড়তে এই নির্বাচনে পরিষ্কার সুযোগ রয়েছে। এই দিক থেকে আশা করব নির্বাচনে যতোটা সম্ভব সহিংসতা কম হবে, যেখানে বাংলাদেশের নির্বাচন মানেই সহিংসতার চিত্র ফুটে ওঠে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohammad Maniruzzaman ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১০:৪৭ এএম says : 0
People wants to vote. Do you want another 2014 marka election? Can we afford it if we want democracy? What did CEC and our PM said? No more arrest, No more mamla. But what see now? Are you all blind? Nobody can full the people. Why so many many nomination cancelled. Is proof of neutrality of EC or of the administration supposed to be under the control of EC?. People are aware. Let people vote freely. AL is sure to win. Don't miss this chance to stay in power with free and far, inclusive and participatory election.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন