মীরসরাইয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য প্রাণনাশের হুমকির প্রতিকার চায় দরিদ্র অসহায় পরিবার। নিরীহ সিএনজিচালক যুবক তার ও তার পরিবারের নিরাপত্তায় যুবক সুমন চন্দ্রের স্ত্রী স্বপ্নরানী অশ্রæসিক্ত নয়নে স্বামীর প্রাণ রক্ষায় গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের হস্তক্ষেপের আকুল আবেদন জানান। আবার উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে ন্যায়সঙ্গত আইনি সহযোগিতা এবং জীবনের নিরাপত্তা প্রার্থনা করেন মীরসরাই থানার ওসি জাহিদুল কবিরের কাছে।
মীরসরাইয়ে আপন চাচাতো ভাইয়ের জমি কব্জা করতে ভুক্তভোগীকে প্রকাশ্যে জিম্মি করে জমি বায়নার নামে জোরপূর্বক ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। মীরসরাই প্রেসক্লাবে গতকাল বৃহস্পতিবার ৬ ডিসেম্বর দুপুরে লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন ভুক্তভোগী মীরসরাই উপজেলার ১১ নম্বর মঘাদিয়া ইউনিয়নের মধ্যম মঘাদিয়া তিনঘরিয়া টোলার মৃত দ্বিজেন্দ্র কুমার নাথের ছেলে সুমন চন্দ্র নাথ। এ সময় তিনি লিখিত অভিযোগ পাঠ করে বলেন, তার বাড়ির পাশের তিন শতক জমি জোরপূর্বক লিখে নিতে প্রতিপক্ষ মৃত যাত্রামোহন নাথের ছেলে সুনিল চন্দ্র নাথ (৪৮) ও দিলীপ চন্দ্র নাথ (৫৫) গং আবুতোরাব বাজারে একটি দোকানে আটকে রাখে। সেখানে তাকে মারধর করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ১০০ টাকা করে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে বায়নানামা বাবদ স্বাক্ষর নেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সুমন প্রতিকার চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে গত ৮ নভেম্বর মিস মামলা নম্বর-৯৮৭/১৮ দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য আদালত থেকে মীরসরাই থানাতে পাঠানো হয়। থানার এসআই আমিরুল মুজাহিদ মামলাটির তদন্ত করছেন। পরে মামলার বিষয়টি বিবাদী পক্ষ জানলে তারা সুমনকে মামলা উঠিয়ে নেয়ার জন্য নিজেরা এবং প্রভাবশালীদের দিয়ে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি-ধামকি দেয় বলে সুমন অভিযোগ করেন। এই ঘটনায় বাদীপক্ষের সাক্ষী স্থানীয় পল্লিচিকিৎসক জনৈক রাখল চন্দ্র নাথকেও বিএনপি আখ্যায়িত করে হুমকি দেয় বলে রাখাল চন্দ্র সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে বিবাদীপক্ষের সুনিল চন্দ্র নাথের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তার জমি নিতে চাইনি। তার টাকার প্রয়োজন বলে সে-ই আমার কাছে জমি বিক্রয়ের চেষ্টা করে। তাকে কোনো প্রকার হুমকি-ধামকি দেয়া হয়নি বলেও তিনি জানান। এই বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মীরসরাই থানার এসআই আমিরুল মুজাহিদ বলেন, বিজ্ঞ আদালতের আদিষ্ট হয়ে মামলার তদন্ত করার জন্য সরেজমিন যাই। প্রাথমিক তদন্তে আমি জানতে পারি, বিবাদীপক্ষ ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে সুমন থেকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়েছে। তবে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে কি-না তা এখনো প্রমাণিত হয়নি। বিষয়টি আরো তদন্ত করে উভয় পক্ষের সাক্ষী-প্রমাণসহ প্রয়োজনীয় প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান। এই বিষয়ে মীরসরাই থানার ওসি তদন্ত বিপুল দেবনাথ বলেন, কেউ কোনো প্রকার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে বা হুমকির সম্মুখীন হলে আমাদের সহযোগিতা চাইলে বা থানায় ডায়েরি করলেই আমরা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন