নিজ বাসায় বিয়ের দাওয়াত দিতে আসা এক অতিথিসহ ২৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুন্ড) আসনের বিএনপির প্রার্থী মো. ইসহাক কাদের চৌধুরী। এ ঘটনায় সীতাকুন্ড থানা পুলিশের বিরুদ্ধে রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ইসহাক চৌধুরী বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর সোমবার নেতাকর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করি। এ সময় সীতাকুন্ড থানা পুলিশ এসে আমার ছোট ভাই নেজাম চৌধুরীসহ বিএনপির ২৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। সেসময় পুলিশ আমার বাড়িতে বিয়ের দাওয়াত দিতে আসা একজন অতিথিকেও আটক করে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, গ্রেফতারের পর থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলা না থাকলে গ্রেফতারকৃতদের ছেড়ে দেবেন বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু গায়েবি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে সীতাকুন্ড মডেল থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাড়ি থেকে বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। সীতাকুন্ডের জলিল নগর এলাকা থেকে ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকান্ড পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে বিএনপির ভোট ব্যাংক খ্যাত নগরীর বাকলিয়া থেকে ইয়াকুব চৌধুরী নাজিম (৪৫) নামে এক বিএনপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান বাকলিয়া থানার ওসি প্রণব কুমার চৌধুরী। ইয়াকুব চৌধুরী নাজিম বাকলিয়া এলাকার আলী আফজাল চৌধুরীর ছেলে। তিনি ১৯নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, কোতোয়ালী এলাকা থেকে ইয়াকুব চৌধুরী নাজিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি তিনটি নাশকতা মামলার পলাতক আসামি। বিএনপি অভিযোগ করেছে, গায়েবি মামলায় বেছে বেছে নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।