শনিবার, ২৫ মে ২০২৪, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিএনপি মিডিয়ায় আছে মাঠে নেই

পথসভায় ওবায়দুল কাদের

নোয়াখালী ব্যুরো ও ফেনী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৮ এএম

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘এ হলো ধোঁকাবাজ, উপরে একটা, ভিতরে আরেকটা। আমাদের উপরে নিচে, সব সমান, আমরা মিথ্যা কথা বলতে জানি না। তিনি আবারও মিথ্যাচার করছেন। তারা কিছু হলেই মিডিয়া ও সাংবাদিকদের দারস্থ হয়। বিএনপি মিডিয়ায় আছে মাঠে নেই। জনসমর্থন নেই বলে তারা ভোটের মাঠে যেতে পারছে না।’

গতকাল শনিবার বিকেলে নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনের কবিরহাট উপজেলার নবগ্রাম এলাকায় এক নির্বাচনী পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের তার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সম্পর্কে বলেন, মওদুদ সাহেব বলেছিলেন, একমাসের মধ্যে রাজনীতির চেহারা বদলে যাবে। কিন্তু এখন আমরা কী দেখছি। কই কোনো চেহারাইতো বদল হলো না। মানুষ এখন ভোটের আমেজে আছে, ভোট উৎসবের অপেক্ষা আছে।
ওবায়দুল কাদের ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, সব দলের কাছে বলতে চাই, দলীয় লোক দিয়ে নয়, নোয়াখালী খালের কাজ সেনাবাহিনীর তত্ত¡বাধানে হচ্ছে। এছাড়াও আমাদের সময়ে নোয়খালীর অধিকাংশ এলাকায় শতভাগ বিদ্যুৎ পেয়েছে। সড়কের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। নোয়াখালীতে দুই ফোরলেনের কাজ চলমান রয়েছে। আগামীতে আরো বড় রড় উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হবে। যার সুফল সকল দলের লোকজন ভোগ করবে। এই বিজয়ের মাসে নৌকার জয় হবেই।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. জাফর উল্লা, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল আমিন রুমি, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জহিরুল হক রায়হান প্রমুখ।
এর আগে গতকাল সকালে দাগনভূইয়া উপজেলা সদরে সড়কের কাজের পরিদর্শন কালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা দেশে নৌকার গণজোয়ার দেখে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বেশামাল হয়ে পড়েছেন। ড. কামাল হোসেন ড্রাইভারের মত বেপরোয়া আচরণ শুরু করেছেন। তিনি ‘খামোশ’ এই পুরাতন পাকিস্তানী ভাষা ব্যবহার করেছেন। গতকাল তিনি জাতির সামনে তার স্বরূপ ঢাকতে পারেননি খামোশ বলার মধ্যে দিয়ে। তিনি এতো নীতি-নৈতিকতার কথা বলেন, নষ্ট রাজনীতির বিরুদ্ধে বলেন, কিন্তু গতকাল তিনি প্রমাণ করলেন তিনিই বাংলাদেশের নষ্ট রাজনীতির মূল প্রবক্তা।
মন্ত্রী বলেন, শক্তি কমলে তাদের মুখের বিষ উগ্র হয়। বিএনপি ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের আচার-আচরণের ভাষা প্রমাণ করে তারা দুর্বল হয়ে পড়েছেন। সে জন্য তাদের মুখের বিষ উগ্র হয়ে উঠেছে। মির্জা ফখরুল বা বিএনপির সাথে ১০ জন লোকও নেই। কিন্তু আ.লীগের সাথে আছে ৯০ শতাংশ লোক। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির জন্য বিএনপি নিজেই দায়ী।
তিনি আরো বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা অবনতির জন্য একমাত্র ঐক্যফ্রন্টই দায়ী। তারা পল্টনে পুলিশের উপর হামলা করে সন্ত্রাসী কর্মকাÐের উদ্বোধন করেছেন। তারা নিজেদের সঙ্গে গÐগোল করে নিউজ তৈরি করতে চাইছে। নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে বিএনপির অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, এসব অভিযোগ অসহায়ের সংলাপ।
বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে থাকবেন কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সময়মত সরে যাবেন। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন দাগনভূইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, পৌর মেয়র ওমর ফারুক খানসহ আ.লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীসহ সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
guiltymeah ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:১৩ এএম says : 0
Bodhro lok er ki motibibhrom hoyechey? eto boro miththabadi r nirlojjo kibhabey ekjon daittobaan manush hoi? onader bichar ki Allah ei duniya tey korben na?
Total Reply(0)
Md. Mofazzal Hossain ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৯:২২ এএম says : 0
As you like such circumstances! When Mirza Abbas & Khokon attacked by your cadre how people attend the publicity? so this is the best time to become election as a political party not like terrorist.
Total Reply(0)
haris ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:১৫ পিএম says : 0
polise bestani take onek kicho bala jay
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন