রোববার, ২৬ মে ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের নির্বাচন ভাবনা

মীর রাসেল, চবি থেকে : | প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

নির্বাচন এগিয়ে যতই আসছে তার হাওয়া লেগেছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝেও। ৩০ ডিসেম্বর সামনে রেখে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় যাওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছেন বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রী। ভোট যুদ্ধে প্রথমবারের মতোই তারা শামিল হচ্ছেন। নবীন তরুণ এই ভোটারদের আবেগের যেমন কমতি নেই তেমনি ভোটের দিন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে বাড়ছে শঙ্কা-উদ্বেগও। ক্যাম্পাসে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা চলছে বর্তমান নির্বাচনী উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে।

ক্যাম্পাসে ঘুরে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অধিকাংশ শিক্ষাথী এবার নতুন ভোটার হয়েছেন। আবার অনেকে আছেন যারা ভোটার হয়েছেন আগেই। তবে ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। তবে এবার সব রাজনৈতিক দল বিশেষ করে দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক পক্ষ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট এবং বিএনপির নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট নির্বাচনে অংশগ্রহণের ফলে একটি প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ ভোটযুদ্ধের প্রত্যাশা করছেন সবাই।
তবে অধিকাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন, দেশে এখনও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা নেচে-গেয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারলেও অন্য কোনো দলের প্রার্থীরা প্রচারণা-গণসংযোগে সম-অধিকার পাচ্ছেন না। সরকারের বিপক্ষ দলের প্রার্থীরা প্রচারে নামলেই তাদের ওপর ক্ষমতাসীনরা হামলা চালাচ্ছে। বিএনপি জোট কর্মীরা পুলিশি হয়রানির মধ্যে রয়েছে। যা প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় বাধা। তবে অনেকেই মনে করছেন অন্য দলের প্রার্থীদের বাধা না দিয়ে বরং বর্তমান সরকারের আমলে যেসব উন্নয়ন হয়েছে সেসব চিত্র মানুষের সামনে তুলে ধরা উচিৎ। তাহলে জনগণই বিচার-বিবেচনা করে রায় দেবেন।
সবদলের প্রার্থীরা নির্বাচনী অঙ্গীকার নিয়ে ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে যাবেন। দেবেন নানা প্রতিশ্রæতি। ভোটাররা পছন্দ অনুযায়ী প্রার্থীকে ভোট দেবেন। এমন পরিবেশ সৃষ্টি না হলে তরুণ শিক্ষার্থীরা ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন।
এই তরুণ ভোটারদের চাওয়া জনগণের ভোটে যারাই জয়ী হবেন তারা যেন অসংখ্য বেকারের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেন। দেশের সকল নাগরিকের মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেন। মাদকের কালো থাবা থেকে দেশের তরুণ সমাজকে মুক্ত করেন। দেশের সকল স্তরে সুসাশন প্রতিষ্ঠা এবং মেধার ভিত্তিতে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ প্রদান নিশ্চিত থাকতে হবে। ময়মনসিংহ থেকে আসা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসাইন সুমন বলেন, আমরা তরুণ প্রজন্ম অবশ্যই ভোট দিতে চাই। কিন্তু যদি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয় তাহলে আমরা ভোট কেন্দ্রে যাবো না। আমরা চাই না নির্বাচনকে ঘিরে কোন মায়ের কোল খালি হোক।
যশোর থেকে আসা বুলবুল আহম্মেদ বলেন, এবার নতুন ভোটার হয়েছি। ভোট দেয়ারও খুব ইচ্ছে আছে। তবে বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে মনে হচ্ছে না সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারব। আর এমন পরিস্থিতি যদি শেষ পর্যন্ত থাকে তবে ৩০ তারিখ সারাদিন ঘরে বসেই কাটাবো। অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, খোজ খবর রাখছি। সবকিছু দেখছি আর ভাবছি নির্বাচন কি এমন হয়! সন্ত্রাস, মারামারি, রক্তারক্তির রাজনীতি চাই না। সন্ত্রাস হানাহানি করে জনসমর্থন মিলবে না। সবারই মনে রাখা উচিৎ ভয় দেখিয়ে গায়ের জোরে মানুষের মন জয় করা যায় না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন