ক্ষণে ক্ষণে পাল্টাচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমে ভোটের মাঠের চিত্র। সার্বিক পরিবেশ এই মনে হচ্ছে স্বাভাবিক, আবার পরক্ষণেই উত্তপ্ত। এই ভালো এই মন্দ অবস্থায় এবারের নির্বাচনী পরিস্থিতি বিরাজ করছে প্রায় ডিসেম্বর মাস জুড়ে। কখনো আশার ঝিলিক কখনো বা অন্ধকারের হাতছানি। কোথাও সুন্দর শান্তিপূর্ণ পরিবেশ। আবার কোনো কোনো আসনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। তবে সামগ্রিকভাবে টুকিটাকি সংঘাত সংঘর্ষ, উল্টাপাল্টা প্রতিটি নির্বাচনে কম-বেশি ঘটে থাকে। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে তুলনামূলক বেশি ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১- জেলার ৩৬টি আসন এলাকায়।
মনোনয়নের আগে থেকেই একটা গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করে। চ‚ড়ান্তভাবে ভোটের মাঠে নামার পর বলা যায় ইলেভেন আাওয়ারে সাতক্ষীরা ও যশোরের দুইজন প্রার্থী আটক এবং ঝিনাইদহে প্রার্থী নির্বাচন করার যোগ্যতা হারানোর ঘটনা ঘটেছে। ৩জনই ধানের ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষের প্রার্থী। আর হামলা, বোমা হামলা, ধাওয়া, ভাঙচুর, মারপিট, পোস্টার ছেঁড়ার অসংখ্য ঘটনা জনসাধারণ ত্যক্তবিরক্ত। কারোরই এসব কাম্য নয়। সবারই সুন্দর শান্তিপুর্ণ পরিবেশে একটা ভোট প্রত্যাশা। অবিস্মরণীয় স্বতঃস্ফুর্ততা ও খুশির বন্যায় ভেসে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে যোগ্য দক্ষ ও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন প্রলোভন জয় করা পছন্দের প্রার্থী নির্বাচিত করতে পারে সেই পরিবেশ সৃষ্টি করার তাগিদ প্রশাসনের কাছে। এ পর্যন্ত যত ভোটারের সঙ্গে কথা হয়েছে, অভিন্ন সুরে সবার বক্তব্য, লোভজর্জর ব্যক্তি যেন অন্তত জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ না পায়। অবশ্য একটা ম্যাসেজ ভোটের মাঠে ভেসে বেড়াচ্ছে সেটি হলো, ভোটাররা ভাবাবেগে নয়, সচেতনভাবেই দেখে শুনে বুঝে যাচাই বাছাই করেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতাই পারে সাধারণ মানুষের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি আনতে। তাই নির্বাচন নিয়ে সচেতন প্রতিটি মানুষের ভাবনার অন্ত নেই।একইসঙ্গে প্রচন্ড আগ্রহ জন্মেছে।
ভোট পন্ডিতরা নির্বাচনের সামগ্রিক বিষয় গভীরভাবে পর্যালোচনা, পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করছেন। এ অঞ্চলের আসনগুলোর সার্বিক অবস্থা কী, মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে কী পরিস্থিতি দাঁড়াবে এসব হিসাব নিকাশ করছেন। রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতা, শিক্ষক, সাংবাদিক ও আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে তুমুল প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ। দুই পক্ষই অস্তিত্বের লড়াই।হিসেবেই ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হচ্ছে।
যশোর, খুলনা, ঝিনাইদহ, কুস্টিয়া, মেহেরপুর, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা ও সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন প্রার্থীর সঙ্গে কথা বললে তারা তাদের কর্মকৌশল বলতে রাজি নয়। তবে তাদের মাঝ দিয়ে যেসব বিষয় বেরিয়ে এসেছে তা হলো সবাই এবার সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন তরুণ নতুন ভোটা এবং নির্দল ভাসমান ভোটারদের দিকে। তাছাড়া নির্বাচন দোরগোড়ায় এখন তালবেতাল পরিস্থিতির মধ্যে ভাসমান ভোটারদের সামাল দেওয়ার বিষয়টিও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যাবতীয় পরিবেশ তৈরী করা হচ্ছে যাতে শেষ সময়ে বেগ পেতে না হয়। এই পলিসিতে মহাজোট এবং ঐক্যফ্রন্ট কতটুকু সফল হবে তা এখন বলা যাচ্ছে না। তবে ঐক্যফ্রন্ট বেশ এগিয়ে গেছে নানা কৌশলে। তাদের প্রার্থী, কর্মী সমর্থকদের প্রতি অত্যাচার নির্যাতন যত বাড়ছে ততই তারা একট্রা হয়ে মাঠে নামছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন