শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

সেনাবাহিনীর প্রতি আমজনতার প্রত্যাশা

রাজনৈতিক ভাষ্যকার | প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম | আপডেট : ১২:৫৪ এএম, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে সেনাবাহিনী মাঠে নামছে আজ। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা নির্বাচন নিয়ে দেশময় যে ভীতি-আতঙ্ক বিরাজমান বাহিনীটির সদস্যরা নামলে তা কেটে যাবে। ৯ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর থেকে বহুদলীয় প্রার্থীর ভোটের মাঠে যে এক দলীয় প্রচার-প্রচারণা চলছে তার অবসান ঘটবে। স্টেকহোল্ডার সব পক্ষই প্রচারণার সমান সুযোগ পাবে; আতঙ্কিত মানুষের মধ্যে ভোট কেন্দ্রে যাওয়া নিয়ে ভীতি ও ভোট দেয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে যাবে।
আইন শৃংখলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ বাহিনীর কিছু কর্মকর্তার দুর্নীতি, গ্রেফতার বাণিজ্য, ক্ষমতাসীন দলের দাসত্ব ওপেন সিক্রেট। এখন নির্বাচনী মাঠে সরকারি দলের প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের মাঠে নামতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় প্রতিষ্ঠানটির ইমেজ তলানীতে। অপ্রিয় হলেও সত্য গত কয়েক বছরে পুলিশ প্রশাসনে দলীয়করণ এবং ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছামতো ব্যবহারের কারণে সাধারণ মানুষ বাহিনীটির উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। নির্বাচনী প্রচারণার মাঠে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীটির বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তার আইন বহিভূত ও পক্ষপাতিত্ব ভূমিকায় সব দলের প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় নামতে ভয় পাচ্ছে। অনেক প্রার্থী এখনো ঘর থেকে বের হতে পারছেন না; অনেকেই রয়েছেন পলাতক।
এখনো গভীর রাতে বিএনপির প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকদের বাসায় বাসায় গিয়ে তল্লাসী চালানো হচ্ছে। সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। সেনাবাহিনী মাঠে নামলে পুলিশ এই বিতর্কিত ভূমিকা পালনে সাহস পাবে না এবং পালিয়ে থাকা প্রার্থীরা প্রকাশ্যে প্রচারণায় নামবে এবং মানুষের ভয় কেটে যাবে। এতে সব দলের প্রার্থীরা নির্বিঘেœ নির্বাচনী প্রচারণায় নামাতে সাহসী হবেন এবং ভোটাররাও নির্ভয়ে ভোট দেয়ার ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে উঠবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠের একপক্ষীয় প্রচারণার চিত্র ওপেন সিক্রেট। মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে সব খবর মানুষের নখদর্পনে। ইতোমধ্যেই ভোটের অনেক অপ্রীতিকর খবর ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেছে। সেসব খবর নিয়ে চলছে তর্ক-বিতর্ক। নির্বাচনকে দেশের মানুষ উৎসব মনে করলেও এখনো অনেক এলাকায় ভয়েই ধানের শীষের প্রার্থী ও সাধারণ মানুষ প্রচারণায় নামতে পারছেন না। ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষ্যের লোকজনকে গ্রেফতার-হামলা-মামলা চলছে ফ্রি-স্টাইলে।
ঐক্যফ্রন্ট তথা বিএনপির ১৭ জন প্রার্থী বর্তমানে কারাগারে। তসফিল ঘোষণার পর এদের অনেককেই গ্রেফতার করা হয়। কয়েকজন প্রার্থীর প্রার্থীতা নজীরবিহনীভাবে আদালত থেকে বাতিল করা হয়। কারো কারো প্রার্থীতা স্থগিত করা হয়। আবার পুলিশ এমন ভাবে ধানের শীষ প্রতীকের কর্মী-সমর্থনদের গ্রেফতার করছে যে ভোটের দিন পুলিং এজেন্ট দেয়াই তাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। অথচ ইসি নির্বিকার। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কর্তা নিত্যদিন বাক-বাকুম করে যাচ্ছেন।
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের রাস্তা-ঘাট, বিল্ডিংয়ের দেয়াল, অফিস-আদালত পাড়া, গাছগাছালি নৌকার প্রতীকের পোষ্টারে ঢেকে দেয়া হয়েছে। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে একই চিত্র। নাম সর্বস্ব কিছু দলের প্রার্থীদের পোষ্টার চোখে পড়লেও নৌকার প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী ধানের শীষের কোনো পোষ্টার চোখে পড়ছে না। বহুদলীয় গণতন্ত্রের দেশে এ কেমন চিত্র! পাকিস্তান আমলেও এই অঞ্চলে নির্বাচনের এমন একপক্ষীয় প্রচারণা দৃশ্য দেখা যায়নি।
প্রার্থীরা অভিযোগ করছেন ধানের শীষের পোষ্টার লাগাতে বাধা দেয়া হচ্ছে। এই বাধা যেমন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কর্মীদের পক্ষ থেকে আসছে; তেমনি আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীও বাধা দিচ্ছে। এমনকি ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। সিইসি ভোটের নিরপেক্ষ পরিবেশ তৈরি হয়েছে দাবী করলেও নির্বাচন কমিশনের ভুমিকা কার্যত প্রশ্নবিদ্ধ। নির্বাচন বিশেষজ্ঞ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন বলেছেন, জীবনে এতো অসমতল মাঠে নির্বাচন আমি দেখিনি। ইসির সব ভুমিকাই প্রশ্নবিদ্ধ। মাঠ সমতলের বদলে ইসি এক পক্ষকে জিতিয়ে দেয়ার জন্য যেন মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
অধ্যাপক তোফায়েল আহমদ, ‘সুজন’ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমিন মুর্শিদ প্রায় অভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন। সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ইসির অনেক কিছুই করার ছিল; কিন্তু তারা কিছুই করছে না। এতে ক্ষমতাসীনরা সুবিধা নিচ্ছে। অংশগ্রহণমূল নির্বাচন হলেই যে তা নিরপেক্ষ হয় না সেটা মাঠের চিত্র দেখেই বোঝা যায়। ইসি চরমভাবে ব্যর্থ। সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেছেন, এ অবস্থায় সেনাবাহিনী ভুমিকা রেখে সকল প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা বাধাহীন করতে পারে। দেশের মানুষ সেনাবাহিনীর কাছে ভোাাট দেয়ার অধিকার নিশ্চিতকরণ প্রত্যাশা করে।
সিইসি কে এম নুরুল হুদা দাবি করছেন নির্বাচনের ‘চমৎকার পরিবেশ’ সৃষ্টি হয়েছে। অথচ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার সংশ্লিষ্টদের নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে ‘বিবেকের’ কাছে প্রশ্ন করার আহবান জানিয়ে বলেছেন, মাঠ এখনো অসমতল। সিইসি দাবি করছেন আইন শৃংখলা বাহিনী ইসির কথামতো চলছে। বাস্তবে আইন শৃংখলা বাহিনী ইসিকে পাত্তাই দিচ্ছে না। রিটানিং অফিসারের দায়িত্ব পালনরত ডিসিদের ‘ভূমিকা’ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। রিটানিং অফিসার, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসন, আদালত সর্বত্রই একই অবস্থা।
একটি দলকে জিতিয়ে দেয়ার সিন্ডিকেট যেন তৈরি হয়ে গেছে। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসছে অথচ সাধারণ মানুষ কোথাও আস্থা পাচ্ছেন না। ভোট দিতে যাবেন কিনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। ভীতি আতঙ্কে শুধু বিপুল সংখ্যক প্রার্থীরাই নয়, ভোটারদের মধ্যেও। সাধারণ ভোটার তো বটেই বিশেষ করে যারা ভোট দিতে গিয়ে ঝামেলায় পড়তে চান না সেই তরুণ ভোটার, নতুন ভোটার, মহিলা ভোটার এবং স্যুয়িং ভোটাররা ভোট দিতে যাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন। এই অবস্থায় সেনাবাহিনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির লক্ষ্যে ভোটের মাঠে নামছে।
অপ্রিয় হলেও সত্য যে দেশের পুলিশ বাহিনীর কিছু উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিতর্কিত ও দলবাজী ভূমিকায় জনগণের ট্যাক্সের অর্থে পরিচালিত বাহিনীটিকে মানুষ প্রতিপক্ষ ভাবতে শুরু করছে। দেশের বিপুল সংখ্যক ভোটার ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বললে তারা নিজেদের এই অভিমত জানান। ফলে সেনাবাহিনীর প্রতি মানুষের প্রত্যাশা বেড়ে গেছে অনেক বেশি। মানুষ এখনো মনে করে সেনাবাহিনী সব সময় দেশের দুর্যোগ মুহুর্তে মাঠে নেমে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। এবারও তার ব্যাতিক্রম হবে না। বহুদিন থেকে মানুষ ভোট দিতে পারেন না। সেনাবাহিনী জনগণের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ভুমিকা রাখবে।
ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, ’৭১ সালে পাকিস্তানীদের বর্বরোচিত হামলা শুরু হলে রাজনৈতিক নেতারা যখন প্রাণ বাঁচাতে পালাতে ব্যাতিব্যস্ত হয়ে পড়েন, পরিবারের সদস্যদের নিরাপদে নেয়ার জন্য ঘাম ঝড়ান; তখন সেনাবাহিনীই পাকিস্তানী বর্বরদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। সেনাবাহিনী আমাদের পাশে রয়েছে বুঝতে পেরে পাকিস্তানী বাহিনীর বন্দুকের নলের মুখে বিপন্ন মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। মুক্তিযুদ্ধে সেনাবাহিনীর নতৃত্ব ও গৌরবোজ্বল ভুমিকার কথা মানুষ ভোলেনি। সেই ’৭১ থেকে এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনী দুর্যোগ, সময়-অসময়ে জনগণের পাশে থেকেছে। দেশের রাজনৈতিক দুর্যোগময় মূহুর্তে এবারও সেনাবাহিনী মানুষের পাশে থাকবে এবং ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় ভুমিকা রাখবে সে প্রত্যাশা আমজনতার।
এবারের নির্বাচনের নিরপেক্ষতার ওপর নির্ভর করছে বিশ্বদরবারের দেশের ভাবমূর্তি অর্থনীতি গতিধারাসহ অনেক কিছুই। আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অনেক উন্নয়ন সহযোগী বার্তাও দিয়েছে। জাতিসংঘ, ওআইসি, কমনওয়েলথ, দাতাদেশ-সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী দেশ-সংস্থা সবাই তাকিয়ে রয়েছে নির্বাচনের দিকে। তাদের সবার প্রত্যাশা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন যেন গ্রহণযোগ্য হয়। সব দল যেন সমান ভাবে প্রচারণা এবং ভোটাররা যেন নির্বিঘে্ন ভোট দেয়ার সুযোগ পায়। পাতানো নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন নয়; মানুষের ভোটে যেন এবার সরকার গঠিত হয়। ভোটের মাত্র ৫দিন বাকী অথচ কে এম নুরুল হুদা কমিশনের নজীরবিহীন ব্যর্থতা ও আইন শৃংখলা বাহিনীর পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণের কারণে সে পরিবেশ এখনো সৃষ্টি হয়নি।
বহুদল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও চলছে এক দলীয় প্রচারণা। টিভি মিডিয়া বিজ্ঞাপনের নামে ক্ষমতাসীন দলের স্তুতি গাইছে। এ অবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের মাঠে সেনাবাহিনী প্রত্যাশা করে। অনেক দিন থেকে বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল সেনাবাহিনীর অধিনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। নির্বাচন কমিশনে লিখিতভাবে এ দাবি জানানো হয়েছে। তাদের বক্তব্য সেনাবাহিনী দেশের জনগণের পাশে যেমন সব সময় থেকেছে; তেমনি জাতিসংঘের হয়ে বিশ্বের দেশে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সুনাম অর্জন করেছে। আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টির মধ্যেই জনগণের প্রত্যাশিত সেনাবাহিনী মাঠে নামছে। ফলে তাদের প্রতি মানুষের প্রত্যাশার পারদ একটু বেশি বৈকি।
পুলিশী বাধার মুখেই নির্বাচনের মাঠে প্রচারণা চলছে। ঘনিয়ে আসছে ভোটের দিন। পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষপাতিত্ব আচরণের মাধ্যমে বিশ্ব সম্প্রদায়ের চোখে ধূলা দিয়ে এক পক্ষ্যকে জিতিয়ে দেয়ার যেন সব আয়োজন সম্পন্ন। হাজারো চাপাচাপির পরও নির্বাচনী মাঠের রেফারি (ইসি) মাঠ নিরপেক্ষ করার চেষ্টা করছেন না। উল্টো স্ববিরোধী কথাবার্তা বলে বাতাস গরম করছে। আবার এক পক্ষ্য বিপুল প্রচারণা চালিয়ে কৌশলের মধ্যেদিয়ে বিজয়ের জন্য অপেক্ষা করছে; অন্যপক্ষ্যের বিপুল সংখ্যক প্রার্থীর প্রার্থীতা করে রাখা হয়েছে দোদুল্যমান।
নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে কিনা তা হয়ে গেছে অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটের মতোই। খেলার শেষ মুহুর্তে হাতে এক বল আর জিততে প্রয়োজন ৬ রান। দুই পক্ষ্যেই অনিশ্চয়তা। খেলোয়ার তো বটে; মাঠের দর্শকদের মধ্যেও টান টানা উত্তেজনা। কে হারে কে জেতে বলা মুশকিল। বর্তমান নির্বাচনের অসমতল মাঠের যুথসই উদাহরণ ক্রিকেট খেলার মতোই। ক্রিকেট দর্শকের মতোই সাধারণ মানুষের মধ্যে টান টান উত্তেজনা। নির্বাচনে কে জিতবে কে হারবে তার চেয়ে মানুষের উত্তেজনা ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবে কিনা তা নিয়ে? গ্রেফতার-হামলা-মামলার ভয়ে পলাতক প্রার্থীরা ভোটের আগে দু’চারদিন প্রচারণা চালাতে পারবেন তো?
আমজনতার প্রত্যাশা সেনাবাহিনী মাঠে নামলে পালিয়ে থাকা প্রার্থীরা প্রকাশ্যে এসে প্রচারণায় নামার সুযোগ পাবেন। ভোটের পরিবেশ কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হবে। প্রবাদে আছে ‘যে যায় লংকা সেই হয় রাবণ’। নির্বাচনের মাঠে ক্ষমতাসীনদের আচরণ দেখে মানুষ প্রবাদটি স্মরণ করছে। সেনাবাহিনী মাঠে নামলে ক্ষমতাসীনদের হুন্ডা-গুন্ডা ও আইন শৃংখলা বাহিনী যারা প্রবাদের রাবণের মতো প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করছেন; জনগণের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করছেন; তারা কিছুটা হলেও হোচট খাবেন। সেনাবাহিনীর কাছে আমজনতার সে প্রত্যাশায় রয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (22)
তাজ খান ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫২ এএম says : 0
অভিনন্দন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী,আপনারা নিজের শ্রেষ্ঠ সম্পদ জান কুরবানীর শপথ নিয়ে দেশ সেবার কাজে আত্ননিয়োগ করেছেন। দলমতের উর্দ্ধে উঠে দেশ রক্ষায় আপনাদের সর্বত্তোম খেদমত আল্লাহ কবুল করুন। অতীতে কোন দলীয় অবস্থান নিতে দেখা যায়নি বরং দেশের জান বাজি রেখে ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। তাই নির্বাচন কেন্দ্রেক ঘনিভূত সমস্যা সমাধানে সেনাবাহিনীই কান্ডারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারেন বলে সর্বমহলের আশাবাদ ব্যাক্ত হচ্ছে। এমনকি মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীও আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন সুষ্ঠু নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক তিনি মেনে নিতে প্রস্তুত। দলীয় সঙ্কীর্ণতার উর্দ্ধে উঠে সুষ্ঠু নির্বাচনে সহযোগিতা ও দেশ গঠনে ভূমিকা রাখাই তো আসল দেশপ্রেমের পরিচায়ক। রাজনৈতিক মধ্য থেকে কেউ দেশ গঠন- উন্নয়নে ত্যাগ স্বীকার করলে অন্য দল তা থেকে শিক্ষা নিয়ে আরো বেশি ত্যাগ দিতে এগিয়ে আসবে। সেক্ষেত্র জনগনও দলগুলোর মধ্যে শ্রেয়তর পরিমাপ করতে পারবে। দলগুলোর পেশি শক্তি ব্যবহারের পথ বন্ধ হয়ে আসবে। এক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর দৃঢ় নিরপেক্ষ অবস্থানের কোন বিকল্প নেই। ২০০৬ সালের প্রথম দিকে সেনাবাহিনীর প্রতি জনসমর্থন থেকেই তা বুঝা যায়। সেনাবাহিনীর প্রতি জনতার এমন সুদৃঢ় আস্থাকে সর্বোচ্চ ত্যাগের মাধ্যমে ামাদের দামাল সেনারা তা সত্যে পরিণত এই প্রত্যাশা সকল দেশপ্রেমিক জনতার।
Total Reply(0)
Hsm Hazrat Ali ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৩ এএম says : 0
সারা বিশ্বে এমনকি শান্তি রক্ষী বাহিনীতেও আপনাদের কর্মতৎপরতার অনেক প্রশংসা শুনতে পাই। আর এ তো আপনার আমার প্রিয় স্বদেশ!! স্বদেশ জন্মভূমির শান্তি, অগ্রগতি, সমৃদ্ধি এবং বহু আকাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আজ পুরো জাতি আপনাদের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। তাই আপনাদের নিরপেক্ষতা দিয়ে দেশমাতৃকার তথা দেশের বঞ্চিত মানুষদের পাশে আপনারা দাঁড়াবেন এই আশাই করছি। আল্লাহ আপনাদের অনেক ভাল করুন, আমিন।
Total Reply(0)
Adnan Numan ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৪ এএম says : 0
ইতিহাস সাক্ষী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জীবন দিয়েছে কিন্তু সততা বিক্রি করেনি.ইনশাআল্লাহ এইবার নির্বাচনেও সেনাবাহিনী তাদের মান ধরে রাখবে। আলহামদুলিল্লাহ বিশ্বাস, ভালোবাসা আর আস্হা তোমরাই বাঙ্গালী জাতির গৌরব। দীর্ঘ দশ বছর পরে বাঘের থাবা থেকে দেশ ও দেশের জনগন মুক্তি পাবে ইনশাল্লাহ,,
Total Reply(0)
Sonali Sorjo ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৫ এএম says : 0
৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর। তারা স্বাধীনতার বিপক্ষীয়দের কখনো ক্ষমতায় চাইতে পারে না।আমদের গরব বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
Total Reply(0)
Nizzal Islam ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৬ এএম says : 0
আমাদের একমাত্র বিশ্বাস সেনাবাহিনী
Total Reply(0)
Aloran Chakma ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৬ এএম says : 0
সুস্বাগতম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে।
Total Reply(0)
Masud Rana ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৭ এএম says : 0
তরুণ প্রজন্মকে নির্ধারণ করতে দিন তাদের ভবিষ্যৎ ।।।এর জন্য প্রথমে সুষ্ঠু ভোটের আয়োজন করুন।।।
Total Reply(0)
Mohammed Salah Uddin ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৭ এএম says : 0
আপনাদের কাছে মিনতি করি জাতির সূর্য সন্তান,আমাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিন। আমরা ভোট গণনার সময়ও আপনাদের সহযোগিতা চাই।
Total Reply(0)
আবদুল হক সাফওয়ান ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৮ এএম says : 0
জনতার আশা, ইসি না পারলেও অন্তত সেনাবাহিনী একটি সুষ্ঠু ভোটাধিকারপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে মাজাভাঙ্গা ইসিকে সহায়তা করবে। সরকারের আদেশ সেনাবাহিনীর কাছে, যেকোনো মূল্যে গদি চাই, বিনিময়ে যা চাও তাই পাবা। নির্বাচনবিহীন অবৈধ সরকারকে ভুলে গেলে চলবে না; দেশের প্রতিটি জনতা একেকজন সেচ্ছাসেনা।
Total Reply(0)
Mohammad Tasrif ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৯ এএম says : 0
at the end of the day "sobar e higher command" follow kora lage.and police army rab, era alada kisu na. Human being just like you and me.And bengali so stop labeling them as creatures from other planet.
Total Reply(0)
JA Razib ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:১০ এএম says : 0
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নীতিবাক্য : "In War, In Peace We are Everywhere for our Country" অর্থ: সমরে আমরা শান্তিতে আমরা সর্বত্র আমরা দেশের তরে| ইয়েস, বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা তোমরাই পারো তোমরাই পারবে|আমরা আশা করি, সেনাবাহিনী জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে না, কোন গোষ্ঠির এজেন্ডা বাস্তবায়নেরও চেষ্টা করবে না |নিরপেক্ষ থেকে নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করে সশস্ত্র বাহিনী তার ইমেজ অক্ষুণ্ণ রাখবে| সেই পরিবেশ টা হলো উৎসবমুখর পরিবেশে জনগণ নির্ভয়ে হাসিমুখে তার ভোটধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে একটি জনকল্যাণকর সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে|
Total Reply(0)
মোহাম্মদ নুরে আলম ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:১১ এএম says : 0
খুবি ভাল লেগেছে, সংবাদ টা পড়ে, সংবাদ হবে,নিরপেক্ষ, দল,মত,নিরবিস্যাসে,সব সময়,নেয়,বলার,জন্নে।
Total Reply(0)
Abdullah Al Mamun Talukdher ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:১৩ এএম says : 0
প্রিয় সেনাবাহিনী, দূরন্ত যৌবনের সেই সোনালী দিনগুলোতে মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তান, আত্মীয়-স্বজনদের হাজারো চাওয়া উপেক্ষা করে তোমাদের সাথে থেকে দীর্ঘ ২৪টি বছর বাংলাদেশকে সার্ভিস দিয়েছি। এমনকি দুর্গম পার্বত্য এলাকা থেকে বাবার মৃত্যু সংবাদ পেয়েও শেষবারের মতো বাবাকে দেখতে পারিনি। সন্তানদের জন্মের সময় কোনদিনও পাশে থাকতে পারিনি। সবসময় নিজের ওপর অর্পিত সরকারি কর্তব্যকে বড় মনে করেছি। জাতিসংঘ মিশনে গিয়ে দেশের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি বজায় রাখতে সর্বতোভাবে চেষ্টা করেছি। সেই আমি যখন অবসরে এলাম তখন আওয়ামী সরকারের দুঃশাসন, দূর্নীতি, অরাজকতা, ব্যাংক ডাকাতি, গুম-খুন এবং হিংসাত্মক রাজনীতির প্রতিবাদ করার কারণে হয়ে গেলাম দেশদ্রোহী! তোমাদের সাথে যখন ছিলাম তখনও নিজের পরিবারকে সময় দিতে পারিনি, আর এখনতো দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসতে হয়েছে কারণ আমি দেশদ্রোহী। রাতের পর রাত এক বিভীষিকাময় জীবন পার করে বিদেশে পারি দিয়েছি। তাও ভাল যে আমি তোমাদের সাথে ছিলাম বলেই হয়তো সম্মান দেখিয়ে জার্মান এ্যাম্বাসি আমাকে ভিসা দিয়ে দিয়েছে, কিন্তু আমার লক্ষ লক্ষ ভাই আজ কেবলমাত্র আওয়ামী দুঃশাসনের প্রতিবাদ করার অপরাধে দেশদ্রোহী হয়ে কারাগারে আছে, কেউবা পলাতক জীবন যাপন করছে আবার কেউ কেউ পুলিশ বা আওয়ামী গুণ্ডাদের হাতে জীবন দিয়েছে। ওদের পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই, ওরা এক অসহায় অন্ধকারে দিনাতিপাত করছে। তোমরাও হয়তো অবসরে এসে একদিন আওয়ামীদের কবলে পড়বে, পুলিশ তোমাদের বাসায় গিয়েও পরিবারের লোকজনের সাথে খারাপ আচরণ করবে। আমরা কি এজন্যই এই দেশটির জন্য শপথ নিয়েছিলাম? আমরা কি এমন বাংলাদেশ চাই? তাহলে আমাদের করণীয় কী? দেশের মানুষ আমাদেরকে নিজেদের অভিভাবক ভাবে। আমরা আবারও দায়িত্ব পেয়েছি। আমি নেই তাতে কী? আমার লক্ষ ভাই আজ তোমরা সুযোগ পেয়েছো বাংলাদেশের জন্য কিছু করার। তোমাদের যা করা দরকার সেটিই তোমরা করো, এই হতভাগা দেশটি যেন কারো লিপ্সার খোরাক না হয়। তোমাদেরই আমি সার্জেন্ট (অবঃ) মীর জাহান ইঞ্জিনিয়ার্স।# Meer Zahan
Total Reply(0)
MD Anarul ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:১৩ এএম says : 0
সেনাবাহিনীকে বলতে চাই দেশে একটি সুন্দর নির্বাচন করে দেন আওয়ামী লীগের পাতা ফাঁদে পা দিবেন না । তা না হলে সেনাবাহিনীদের উপর থেকেও মানুষের আস্থা হারিয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ দশটি বছর বহুৎ জ্বালিয়েছে মানুষকে সংবিধানের দোহাই দিয়ে দিয়ে কেন এখন তো সংবিধানের কথা একবারও বলে না ভোট সংবিধানের কাছে যে যাক দেশের জনগণের কাছে নয়।
Total Reply(0)
Dawud Islam ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:২০ এএম says : 0
বীর সেনাবাহিনীর কাছে আনুরোধ,বিদেশে শান্তি রক্ষায় অনেক কাজ করছেন,এবার দেশের শান্তি প্রতিস্ঠায় কাজ করুন নিরপেক্ষ নির্বাচনে সহায়তা করুন।
Total Reply(0)
M Rahman Siddique ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:২২ এএম says : 0
সবাই যেন কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। কে কোন্ দলের কর্মী সেটার দিকে খেয়াল না দিয়ে কেউ যেন কোনো প্রকার গোলমাল করতে না পারে সেটা খেয়াল রাখবেন। যেহেতু আপনারাই জনগনের শেষ আস্থা, সুতরাং সেটারও মূল্যায়নে রাখবেন।
Total Reply(0)
Emon Khan Rajib ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:২৪ এএম says : 0
বাংলার শ্রেষ্ঠ মায়ের শ্রেষ্ঠ সন্তান, সেনাবাহিনী, জাতি আজ আপনারদের দিকে তাকিয়ে আছে , আপনাদের প্রতি হাজার সালাম, ✋✋✋
Total Reply(0)
Faruque Al Hasan ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:২৫ এএম says : 0
স্বাগতম আপনাদের..কোন দলের হয়ে নয় ন্যায়ের পক্ষে আপনাদের কাজের উপর আমাদের যে বিশ্বাস নিরপক্ষ থেকে সেটা রক্ষা করবেন এটাই চাওয়া
Total Reply(0)
Sadekul Islam ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:২৬ এএম says : 0
সেনাবাহিনী কোন দলের নয়। সেনাবাহিনী এই দেশের সাধারন, নিরীহ মানুষের বিশ্বাস। তাই সেনাবাহিনীকে বর্তমানে ৯৫% মানুষ সমর্থন করে। আর সেনাবাহিনী সাধারন মানুষের সেই বিশ্বাসকে অবশ্যই সম্মান এবং রক্ষা করবে।
Total Reply(0)
Hasan ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১০:০৬ এএম says : 0
সততা ও আমানতদারীর সাথে দায়িত্ব পালিত হবে; বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে আমাদের সাধারন জনগণের আমনটি-ই প্রত্যাশা।
Total Reply(0)
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১০:৪০ এএম says : 0
সম্মানিত সেনাবাহিনী আমরা ভোট গননার সময়ে অ আপনাদের সাহায্য কামনা করি।
Total Reply(0)
সাদ্দাম ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১১:২৬ এএম says : 0
ভাল লাগল নিউজটি পড়ে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন