সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিএনপি ভোট পাবে না জেনেই সহিংসতা করছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

ভোট পাবে না জেনেই বিএনপি সহিংস পরিস্থিতি তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জনগণ নৌকায় ভোট দিতে উদগ্রীব, তাই ঐক্যফ্রন্ট দেশজুড়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে।
এ সময় তিনি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের খারাপ আচরণের জন্য নিন্দা জানান। গতকাল বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে তার বাসভবন সুধাসদন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চাঁদপুর, কুচ্ছিা ও নওগাঁয় নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় এসব জেলার আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন তিনি। প্রথমে কুচ্ছিা জনসভায় কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। চাঁদপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার বি এম হান্নান জানান, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করছে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ নৌকায় ভোট দিতে উদগ্রীব, তাই ঐক্যফ্রন্ট দেশজুড়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যেহেতু বাংলাদেশের মানুষ নৌকায় ভোট দিতে উদগ্রীব, তাই ঐক্যফ্রন্ট সন্ত্রাস করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে চায়। এক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ধৈর্য্য সহকারে কাজ করতে হবে। যেহেতু তারা সন্ত্রাস করে নেতা-কর্মীদের খুন করছে তাই নিজেদের নিরাপত্তা নিজেদের নিয়ে রাখতে হবে। বিএনপি-জামায়াত জোট এরা সন্ত্রাসী বিশ্বাস করে। এরা হত্যা, সন্ত্রাস ও গুমের রাজনীতিতে অভ্যস্থ। তারা জানে বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট দিবে। এ জন্যা তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে।
আজকে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার করে যাচ্ছে, বোমা হামলা করে যাচ্ছে, নির্বাচনী প্রচার মিছিলের ওপর হামলা করছে, আমাদের নির্বাচনে অফিস পোড়াচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় আমাদের ৪৫ জন আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হয়েছেন ঐক্যফ্রন্ট, বিএনপি-জামায়াত জোটের হাতে।
তিনি বলেন, যেখানেই সুযোগ পাচ্ছে তারা সেখানেই হামলা করে যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন সংসদীয় আসনে বিএনপি- জামায়াত জোটের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে যাচ্ছে। এটাই তাদের চরিত্র, সেটাই তারা করে যাচ্ছে। এবার হামলায় আমাদের পাঁচজন নিহত ও বহু আহত হয়েছে যেটা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এসেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তারা (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি-জামায়াত) জানে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী মানি লন্ডারিং দুর্নীতি অগ্নিসংযোগকারীদের মানুষ ভোট দেবে না। আর সেই কারণে তারা তাদের পেশী শক্তি দেখানোর চেষ্টা করছে। অতীতে তারা যেভাবে মানুষকে আক্রমণ করেছে ঠিক সেভাবে এখনও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে।
দেশের মানুষের উদ্দেশে তিনি বলেন, জনগণের কাছে আহ্বান জানাবো, নির্বাচন জনগণের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার সুযোগ। আপনারা যারা ভোটার সকলে ভোট দেবেন। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। আমরা এখানে দেখেছি- ঐক্যফ্রন্ট তাদের আচার-আচরণ থেকে কেউ-ই রেহাই পাচ্ছে না।
ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনের দিকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তিনি নির্বাচন কমিশনে গিয়েও পুলিশকে গালিগালাজ করে এসেছেন। তার যে অকথ্য ভাষা- তিনি নাকি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন। তার মুখ থেকে অকথ্য ভাষা নোংরা গালি এটা নিশ্চয়ই কেউ আশা করে না। এ রকমই তার চরিত্র। কোর্টে বসে আমার অ্যাটর্নি জেনারেলকে নোংরা গালি দিয়েছে। এখন আবার পুলিশ বাহিনীতে নোংরা গালি দিয়ে বসেছেন। সাংবাদিকদের খামোশ বলে দেখে নেব হুমকি দিয়েছেন। এই আচরণ থেকে বোঝা যায় তাদের নেতা কর্মীদের আচরণটা কতটা জঘন্য। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই।
চাঁদপুরের ভিডিও কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ। সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মজিবুর রহমান ভুঁইয়ার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর-১ আসনের নৌকার প্রার্থী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, চাঁদপুর-২ আসনের নুরুল আমিন, চাঁদপুর-৩ আসনের ডাঃ দীপু মনি, চাঁদপুর-৪ আসনের মুহম্মদ শফিকুর রহমান ও চাঁদপুর-৫ আসনের নৌকার প্রার্থী মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। এছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রান ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ আবু নঈম পাটওয়ারী দুলালসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা জানান, নওগাঁ জেলার ৬টি আসনের আওয়ামীলীগ মনোনীত এমপি প্রার্থীদের এবং জেলার মানুষের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা বলেন। বুধবার বিকেলে নওগাঁ নওজোয়ান মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় নওগাঁবাসীর কাছে তিনি বলেন, বিগত ১০ বছরে সারাদেশসহ নওগাঁ’র উন্নয়নের কথা তুলে ধরে আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে নওগাঁ জেলার ৬টি আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহবান জানান।
তিনি আরও বলেন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়নের জন্য কাউকে তাগাদা দিতে হয় না। আওয়ামীলীগ উন্নয়নের রাজনীতি করে। দেশের জন্য, দেশের জনগনের জন্য কাজ করে। এই দশ বছরে যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নসহ সব ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নয়ন সাধন করেছে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হলে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে আবারো সরকার গঠন করার সুযোগ দিন। তিনি আবারও ক্ষমতায় আসলে নওগাঁয় একটি ইকোনমিক জোন, একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, নওগাঁ শহরকে যানজট মুক্ত করতে পৃথক বাস ও ট্রাক টার্মিনাল নির্মান এবং গ্যাস সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
সারা দেশের এই সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীদের নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহবান জানান এবং তাদের পরিচয় করিয়ে দেন। এসময় তিনি নওগাঁ জেলা আওয়ামীগের সভাপতি আব্দুল মালেক এমপি, নওগাঁ-৫ আসনের (সদর) প্রার্থী ব্যারিষ্টার নিজাম উদ্দীন জলিল জন, নওগাঁ-১ আসনের প্রার্থী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও নওগাঁ-২ আসনের প্রার্থী জাতীয় সংদের হুইপ শহীদুজ্জামান সরকারের সাথে সরাসরি কথা বলেন।
এ সময় নওগাঁ-৪ আসনের আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী মুহঃ ইমাজ উদ্দীন, নওগাঁ-৩ আসনের প্রার্থী ছলিম উদ্দীন তরফদার, নওগাঁ-৬ আসনের প্রার্থী ইসরাফিল আলম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ, কে, এম ফজলে রাব্বীসহ জেলার ও উপজেলার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Mohammed Kowaj Ali khan ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০১ এএম says : 0
তুমার জিহবায় কত যে মিত্যা।? অপারেশনের মাধ্যমে তুমার জিহ্বার মিত্যা বাহির করা হইবে। ইনশাআল্লাহ। ********* তুমরা ভোট এবং সিট পাইবায় ০০০।
Total Reply(0)
Mohammed Ismael ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৩:১৫ এএম says : 0
You are laid
Total Reply(0)
Khandaker Firoze Hassan ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৯:৩৩ এএম says : 0
আপনার মুখে এ কথা মানায় না । বুকে সৎ সাহস থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে দিন। দেখুন জনগন আপনাকে কিভাবে ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আপনি সর্বোচ্চ 30 টি আসন পাবেন। যেভাবে দেশে আওয়ামী সন্ত্রাসি এবং পুলিশ দিয়ে নির্যাতন চালাচ্ছেন তাতে আপনি নিযে ভোটের আশা করেন কিভাবে। উপরওয়ালা একজন আছে,সে সব দেখছে,......
Total Reply(0)
Zakir hossain ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১০:০৫ এএম says : 0
জিহ্বা যে কি দিয়া তৈরি করেছে আল্লাহ ।
Total Reply(0)
sm mozibur ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৯ পিএম says : 0
যে গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে এ ভাবে নির্বাচন করা যায়। সে গণতন্ত্রের মুখে থুথু মারি। আরো থুথু মারি এ গণতন্ত্রের ধারক বাহকদের উপর। আর যে সংবিধান এভাবে মানুষের ভোটাধিকার হরন করতে সহয়তা করে সে সংবিধান পবিত্র নয়। যে জাতি ব্যক্তি সার্থকে প্রাধান্য দিয়ে অন্যের অধিকারকে পদদলিত করে। তারা জাতি হিসাবে উন্নত নয়। সমাজে জাহেলিয়াত আবার ফিরে এসেছে। আল্লাহ তুমি সবার উপর রহম করো। আমিন।
Total Reply(0)
রুবেল ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৩৩ পিএম says : 0
কোথায় দেখেন গণতন্ত্রর এর নামেই কি গণতন্ত্রর মানুষকে তার মত প্রকাশ করতে না দেওয়া যে যখনই ক্ষমতায় থাকে তা প্রতিপক্ষের মানুষের উপর জুর জুলুম করা । কেউ ক্ষমতায় যাওয়ায় জন্য মানুষ হত্যা করে নির্যাতন করে! আবার কেউ ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য বা আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য সাধারণ মানুষের উপরে নির্যাতন করে মানুষ হত্যা করে এ কেমন গণতন্ত্রর এ কেমন গণতন্ত্রর যে ৪৭ বছর পরেও মানুষ স্বাধীনতাকে খুঁজছে!! এরিই নামই কি গণতন্ত্রর যে/যাঁর ক্ষমতা আছে তাদের ক্ষমতার দাপটে সাধারণ মানুষের অধিকার কেরে নিবে সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন করবে প্রতিহিংসার আগুনে মানুষ মারবে। আমরা আজও স্বাধীনতারকে খুজছি গণতন্ত্র খুজছি স্বাধীনভাবে বাঁচার উপায় খুজছি আমরা আজও জুলুম কারীদের আতে নির্যাতনের শিকার গণতন্ত্র। গণতন্ত্র আজ বাক্স বন্দী। আজকে যদি প্রশ্ন করি স্বাধীনতা তুমি কার উত্তর আসবে জোর যার আমি স্বাধীনতা তার! যদি প্রশ্ন করা হয় গনতন্ত্র তুৃমি কার সে উত্তরে বলবে ক্ষমতা যাঁর তার ।। আজকে কেউ, রাজ বন্দী, কেউবা গৃহ বন্দী, দেশের একতৃতীয়াংশ জনগণ আজ বাক বন্দী।
Total Reply(0)
রুবেল ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:১৮ পিএম says : 0
আল্লাহ উনাকে হেদায়েত করুন
Total Reply(0)
রুবেল ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৪:২২ পিএম says : 0
রাব্বানা লা তাঝআ`লনা ফিতনাতাল লিল ক্বাওমিয যা-লিমিন। ওয়া নাঝঝিনা বিরাহমাতিকা মিনাল ক্বাওমিল কাফিরিন।)
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন