শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কুমিল্লা-৩ আসনের বিএনপি প্রার্থী নিরাপত্তা চেয়ে সিইসির কাছে চিঠি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

কুমিল্লা-৩ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র মনোনিত প্রার্থী কে, এম, মজিবুল হক পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ এনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি দিয়েছে। একই সঙ্গে নিরাপত্তা চেয়ে ৪ জন পুলিশ চেয়ে আবেদন করেছেন। গতকাল শুক্রবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার কমিশনারকে এ চিঠি দিয়েছেন কে, এম, মজিবুল হক।
চিঠিতে বলা হয়, কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) নির্বাচনী আসনের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং ধানের শীষের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার পর মামলা ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সশস্ত্র সন্ত্রাসী ক্যাডারদের তান্ডবে মুরাদনগর জুড়ে সৃষ্ট অরাজক পরিস্থিতি সংক্রান্ত নানা বিষয়ে আপনাকে ইতোমধ্যে জানিয়েছি। আমি গত ১৪ ডিসেম্বর/২০১৮ ইং তারিখে মুরাদনগরে অনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারনা শুরু করি। আপনি জানেন ওই দিনই আমার উপর হামলা হয়। মুরাদনগরের থানা ফটকের সামনে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ওই হামলায় সাংবাদিকসহ বেশকয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। আমাকে বহনকারী গাড়ীটি ভাংচুর করা হয়।
চিঠিতে তিনি বলেন, দুঃখজনক হচ্ছে, এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য প্রতিপক্ষরা ফটোশপে একটি ছবি বানিয়ে আমার নির্দেশে আমার ছোটভাই কাজী জুন্নুন বসরীর নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে বলে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করে। অথচ, আমার ভাই ওইদিন দেশের বাইরে ছিল। মুরাদনগরে এখন কার্যত ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুলিশ প্রশাসন সরাসরি নৌকার পক্ষে অবস্থান নিয়ে ধানের শীষের নেতাকর্মী, ভোটারদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। বাড়ী বাড়ী তল্লাশি চলছে। গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর এই ৫ দিনে আমার প্রায় ৫০০ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নতুন করে ৭টি মামলা করা হয়েছে। ৬৫ জন নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমার সহস্রাধিক নেতাকর্মী ও ভোটারদের বাড়ি গিয়ে হানা দিয়েছে। গত ২১ ডিসেম্বর ধানের শীষের প্রচারকালে আমার ১১জন নেতা কর্মীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা। পরে মুরাদনগর থানার ওসিকে খবর দেয়া হলে তিনি ফোর্স পাঠিয়ে নেতা কর্মীদের থানায় নিয়ে যান। পরে তাদেরকে মামলা দিয়ে কোর্টে চালান করা হয়। এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর মুরাদনগরের পাহাড়পুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তোফায়েল শিকদারকে রাতের আধাঁরে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তার কাছে ১০টি ককটেল পাওয়া গেছে এমন কাল্পনিক, সাজানো অভিযোগে মামলা দেয়া হয়েছে।
প্রতিদিনই এমন ঘটনা ঘটছে। মুরাদনগর থানা ও বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত রয়েছে। ওই দুই ওসি বলে বেড়াচ্ছে, ২৫ ডিসেম্বরের পরে বিএনপির নেতাকর্মীদের কেউ এলাকায় থাকলে ভয়াবহ অবস্থা হবে, পুলিশের এমন একপেশে ভূমিকার পাশাপাশি গত ২০ ডিসেম্বর থেকে নৌকার প্রার্থীর ক্যাডাররা বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপর নানাভাবে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার হুমকী দেওয়া হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন