সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

আজ শুক্রবার যানজটের চর্তুথ দিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক নিয়ে ফেইসবুকে সমালোচনার ঝড়

চান্দিনা (কুমিল্লা) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০১৯, ৫:৫৭ পিএম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলছে অস্বস্তিকর যানজট। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গত কয়েক দিনের যানজট স্বচক্ষে না দেখলে বিশ্বাস করা কষ্টকর যে দেশের একমাত্র চার লাইনের মহাসড়কে এত অস্বস্তিকর যানজট হতে পারে ? এ যানজটের দুর্ভোগটা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, এখন এই সড়কে চলাচলকারীদের আতঙ্কের নাম হয়ে দাড়িয়েছে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক। মহাসড়কের মেঘনা ও গোমতী সেতুর টোলপ্লাজায় গত কয়েকদিন ধরেই ভয়াবহ যানজট লেগেই আছে। ভুক্তভোগিদের অভিযোগ, মহাসড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠা, সড়কের ওপর গাড়ি থামিয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি, সড়কে যান চলাচলে অব্যবস্থাপনা এবং টোলপ্লাজার কাজের ধরিগতি এ যানজটের প্রধান কারন। গত মঙলবার সৃষ্টি হওয়া যানজট কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না এই সড়কে চলাচলকারীদের। এদিকে মহাসড়কে ধীর গতিতে গাড়ী চলাচলের কারণে ভিড় বাড়ছে রেল স্ট্রেশনগুলোতে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লা রেল ষ্ট্রেশনে প্রচুর লোকের সমাগম দেখা গিয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ বিভাগ ভয়াবহ যানজট পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে বলেন, যানজট নিয়ন্ত্রণে হাইওয়ে পুলিশের সংখ্যা বাড়েনি বলে উল্লেখ করেন। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, ফিটনেসবিহীন ট্রাক, বাস, চলাচল বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ, ট্রফিক আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ততক্ষণিক জরিমানা, যত্রতত্র বাস-ট্রাক থামানো বন্ধ করা গেলে যানজট সমস্যার সমাধান হবে।
তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় প্রতিদিন যানজট নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়ালেও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় বা সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে নির্বিকার থাকায় পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ২৫০ কিলোমিটার দূরত্ব যেখানে পাঁচ ঘণ্টায় অতিক্রম করার কথা সেখানে বর্তমানে ১৪ থেকে ১৮ ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে। আটকে পড়া যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। দীর্ঘ এ যানজটে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্সেই মারা গেছে বেশ ক’জন রোগী। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সারাদেশে কাঁচামাল ও পণ্য সামগ্রী ঠিক সময়ে পৌঁছাতে না পারায় বন্ধ হয়ে গেছে অনেক কারখানার উৎপাদন। বেড়ে গেছে ভোগ্য পণ্যসহ সব ধরনের পণ্যের দাম। আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রাক ভাড়া যা ছিল ৭ হাজার টাকা অবস্থার কারণে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার থেকে ১১ হাজার টাকায়। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঠানো রফতানি পণ্য ঠিকমত চট্টগ্রাম না পৌঁছায় গার্মেন্টসসহ বহু রফতানি চালানের শিপমেন্ট ও অর্ডার বাতিল হয়ে যাচ্ছে। এভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সৃষ্ট অচলাবস্থার কারণে গত এক মাসে জাতীয় ক্ষতির পরিমাণ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে বলে সংশ্লি¬ষ্টরা জানিয়েছেন। যানজটের কারণে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা ও দাউদকান্দিতে বাসে বসে শতশত কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। যানজটের কারণে প্রায় সবারই নাজেহাল অবস্থা। বিশৃঙ্খলভাবে গাড়ি চলাচলের কারণে মহাসড়কে যানজটে স্থবির জনজবীন আর প্রচন্ড শীতে আটকে পরা যাত্রীবাহী ও রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স আটকে পড়ে দুর্ভোগের কারনে বেড়েছে ভোগান্তি। এদিকে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে টানা ক’য়েক দিনের যানজটে আটকে থাকা গাড়ীতে ছিনতাইয়ের ঘটনাও করছে অহরন।
গত বৃহস্পতিার মহাসড়কের ভবেরচর এলাকায় যানজটে আটকিয়া থাকা একটি মাক্রোবাসে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায় ছিতাইকারীরা। কুমিল্লার এলাকা থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুর আহসান মুন্সী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবস্থাকে ভয়াবহ বলে উল্লেখ করে বলেন, ভয়াবহ যানজট লেগে আছে। এতে দেশের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এভাবে জনগণকে তো কষ্ট দেয়া যায় না। তাই বলছি, জরুরি ভিত্তিতে দ্রুত যানজট নিরসন করুন।
এব্যাপারে সারোয়ার, নাইমুল, মহাসীন, ফরিদ নামের কয়েকজন অভিভাবক শঙ্কা প্রকাশ করে দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় চারলেনের মহাসড়কে দিনের পর দিন যদি এভাবে যানজটে আটকে থাকতে হয় তাহলে সামনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী আমাদের সন্তানেরা যানজটে বসে যদি স্কুলের সময় রাস্তায় পাড় করতে হয় তাহলে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যত কি হবে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
কুমিল্লার ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা হাজী এমরান ভূঁইয়া দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে টানা কয়েক মাস ধরে সৃষ্ট অচলাবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্বিকার ভূমিকা পালনে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এভাবে কোন কিছু চলতে পারে না। পুরো মহাসড়ক অচল হয়ে গেছে। আন্তজেলা ট্রাক মালিক সমিতির সদস্য ইকবাল হোসেন বলেন, ২ ঘণ্টার পথ ৪ ঘণ্টায় অতিক্রম করা যায় না। ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডের অবস্থা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। নির্ধারিত সময়ে পণ্য পৌঁছে দিতে দেরি হওয়ায় অনেক সময় ভাড়ার পুরো অর্থ পাওয়া যায় না। এশিয়া লাইন পরিবহনের চালক মোঃ আলমগীর বলেন, গন্তব্যে দেরিতে পৌঁছা এখন নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে শুধু ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কের দুরবস্থার কারণে। বেলা এগারটার গাড়ি ছাড়তে হয় দুপুর একটায়। সড়কের বেহাল দশার কারণে পথে পথে গাড়ি আটকে যায়। আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সদস্য মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডের করুণ অবস্থার জন্য বিপুল অংকের ক্ষতির মাশুল গুনতে হচ্ছে বাস মালিকদের। পথে দেরি হওয়ার কারণে যাত্রীদের হাতে চালক হেলপাররা লাঞ্চিত বা মারধরের শিকার হন প্রায় সময়।
যানজট দিশেহারা যাত্রীসাধারনেরা। যাত্রীরা প্রায় তারা মহাসড়কের যানজট নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা তাদের ফেইসবুকে স্ট্যাটাস চিচ্ছে আবার অনেকে জ্যামে বসে নিজের ছবির পাশাপাশি দীর্ঘ গাড়ীর সারির ছবি আপলোড দিতে দেখা যায়। গতকাল রবিবার ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের যানজট নিয়ে রাকিব নামের এক ব্যক্তি সে তার নিজস্ব ফেইসবুকে লিখেছেন, যারা চট্রগ্রাম বিভাগ থেকে ঢাকা যাবেন ভাবছেন তারা যেন অত্যন্ত সামনের কয়েকদিন দাউদকান্দি হয়ে না আসার জন্য সবার কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, সকাল ৮ টায় তিনি কুমিল্লা থেকে রত্তনা হয়ে দাউদকান্দি টোল প্লাজায় এসে পৌছেন ২ ঘন্টায়। ঢাকায় তার জরুরী মিটিং শুরু হবার বিকাল ৩ টায়। তিনি তখনও জানেন তিনি ঢাকা মিটিংয়ে গিয়ে অংশগ্রহন করতে পারবেন কিনা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শাহপরান নামের অপর ব্যাক্তি সে তার ফেইসবুকের স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে চলাচলরত বাসচালকদের শৃঙ্খলার মধ্যে এনে যেখানে সেখানে পার্কিং ও যাত্রী ওঠানো নামানো বন্ধ করা প্রয়োজন। পাশাপাশি মহাসড়কে টহলরত হাইত্তয়ে পুলিশ আরো শক্তিশালী হলে এই সড়কে যানজট বন্ধ করা সম্ভব বলে তিনি উল্লেখ করে বলেন না হয় এই সড়ক চার লেন কেন ! আট লেনে উন্নত করলেও এই সড়কে যানজট বন্ধ করা যাবে না পাশাপাশি তিনি কিছুটা হতাশা প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং প্রশাসন এ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণই ব্যর্থ এবং এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগও নেই! তানভির আহমেদ নামের এক ব্যক্তি লিখেন সমগ্র দেশ আজ উন্নায়নের জোয়ারে ভাসছে! কিন্তু এই যদি হয় উন্নয়নের নমুনা তাহলে দেশ আরো পিছিয়ে পড়বে। একটি দেশের জাতীয় মহাসড়কটি যদি টানা চারদিন এভাবে যানজটে আটকিয়ে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাহলে তো দেশ অচল হয়ে পড়বে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া বলে মন্তব্য করেন। ওয়াসিম নামের এক ব্যবসায়ী ফেইসবুকে যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রীর নাম উল্লেখ করে লিখেন, ওবাদুল কাদের সাহেব এখন সড়ক নিয়ে নয় ব্যস্ত রাজনীতি নিয়ে। তাই দেশের সড়কগুলো এখন বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। চান্দিনা মহিলা কলেজের অধ্যাপক শ্রীধর বৈনিক তিনি ফেইসবেুকে লিখেন ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানজট শুধু তীব্র নয়, জগন্য ও বটে, রাতের জট আরও ভয়াবয়, সুযোগ পেলেই মুহূর্তের মধ্যে যাত্রীদের যান মালের উপর হামলা করে রোড ডাকাতরা। পৃথিবীর কোন সভ্য দেশে এমন হয় কিনা জানা নেই। যাত্রীরা যখন একের পর এক সর্বশান্ত হয় নীরু (ওকে) তখনো বাঁশি বাজায়, হায়রে নীরু তোর এই মরণ বাঁশি সুরে রাধিকা -বিশাখার সাথে সাথে আম জনতার ও প্রান যে ওষ্ঠাগত প্রায়, তবুও তুই ভাল থাকিস নীরু। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের বাসের চালক জামির হোসেন, বান্দরবান থেকে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের বাসের চালক হারুন অর রশিদ, রাঙামাটি থেকে শ্যামলী পরিবহনের বাসের চালক তাজুল ইসলাম, ডলফিন পরিবহনের বাসের চালক মজিবুর রহমান ও যাত্রী সঞ্জয় তঞ্চঙ্গ্যাও রাত তিনটা থেকে যানজটে আটকে আছেন। শনিবার রাতে কুমিল্লা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্মরত শাফিন জোবায়ের। তিনি বলেন, ১৪ ঘণ্টা পর দুপুর ২টায় তিনি ঢাকা পৌঁছেছেন। ভবেরচর, মদনপুর এলাকায় ছিলেন প্রায় ১০ ঘণ্টা। ওই দিন সকাল ৮টায় ঢাকা থেকে শিক্ষক আব্দুর বাশার কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা হন। দুপুর সোয়া ২টা পর্যন্ত যানজটে আছেন ভবেরচর এলাকায়। তিনি বলেন, এক মিনিট গাড়ি একটু সামনে চললে পরে আধাঘণ্টা এক জায়গায় থাকে। এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে অসহ্য লাগছে। যানজটের কারণে মহাসড়কের ফোরলেনের সুবিধা এখন কেউ পাচ্ছে না। ঢাকাগামী লোকাল বাসের যাত্রী হাজীগঞ্জের স্কুলশিক্ষক মো. শাহজাহান বলেন, বাসটি উল্টো পথে যাওয়ার পরও দাউদকান্দির মেঘনা-গোমতী সেতু এলাকায় কয়েক ঘণ্টা ধরে যানজটে আটকে আছে। মহাসড়ক একেবারেই স্থবির।
এদিকে বিভিন্ন সড়কের যানজটের কারণে লোকসান গুনতে হচ্ছে বাংলাদেশ বিমানকেও। এমন তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষ। বিমান কর্তৃপক্ষ বলছে, যানজটের কারণে অনেক যাত্রী সময়মতো ফ্লাইট ধরতে পারেন না। এ কারণে কিছু ক্ষেত্রে বিমানের আসন ফাঁকা থাকে। বাংলাদেশ বিমানের কর্তৃপক্ষের দাবি, দেশের বাইরের রুটে ভ্রমণের জন্য যাত্রীরা দেশের বিভিন্ন প্রতন্ত অঞ্চল থেকে সড়ক পথে ঢাকায় আসেন। বিভিন্ন সড়কে অতিরিক্ত যানজটের কারণে যাত্রীরা ঢাকা আর্ন্তাজাতিক বিমানবন্দরে যথাসময়ে পৌঁছাতে পারেন না। ফলে তাঁদের আসন ফাঁকা রেখেই বিমান চলে যায়। তাঁদের আসনগুলো ফাঁকা থাকে।
দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, গত মঙলবার সৃষ্টি হওয়া যানজটটি কখনো কমছে, কখনো বাড়ছে। নোয়াখালী, লাকসাম, কক্সবাজার, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকাগামী একাধিক যানবাহনের চালক দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, দাউদকান্দির রাজারহাট এলাকায় এসে তাঁরা একটানা তিন ঘণ্টা যানজটে আটকে আছেন। এই রির্পোট লিখা শুক্রবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত যানজট অব্যাহত ছিল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন