সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

মামলার মহাজট

বিচারাধীন ৩৫ লাখের বেশি

মালেক মল্লিক | প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

মহাজোটের শাসনামলে আদালতে যেন মামলার মহাজট লেগে গেছে। নিম্ন আদালত ও উচ্চআদালতে বিচারাধীন মামলার শুনানি ও নিষ্পত্তি নিয়মতান্ত্রিক ভাবে চলছে। তারপরও প্রতিদিন প্রায় তিনশ বিচারাধীন মামলা জটতালিকায় যুক্ত হচ্ছে। নিত্যদিন দায়ের হচ্ছে নতুন নতুন মামলা। নিষ্পত্তির হার তুলনামূলক অনেক কম। বর্তমানে দেশের (উচ্চ ও নিম্ন) আদালতগুলোয় বিচারাধীন মামলার সংক্যা ৩৫ লাখেরও বেশি। অথচ ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ৩৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৫৩টি। গত ৬ মাসে আদালতগুলোয় মামলার সংখ্যা বেড়েছে ৫৪ হাজার ৫৪৫টি। যা দেশের ইতিহাসে আদালতগুলোয় মামলা জটের সর্বোচ্চ রেকর্ড। সংবিধান বিশেষজ্ঞ, আইনজীবী, মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুশাসনের অভাব এবং প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ক্ষমতাসীনদের দমন-পীড়ন মামলা জটের অন্যতম কারণ। এছাড়া প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারক না থাকা সর্বপরি নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে পৃথক না করায় আদালতগুলোয় মামলা জট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে ন্যায়বিচারের পথ সংকুচিত হয়ে আসছে। মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী অ্যাডভোটে মনজিল মোরসেদ ইনকিলাবকে বলেন, সুশাসনের অভাবে মামলা জট বাড়ছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠা হলে মামলার দায়ের সংখ্যা কমে যাবে। সাবেক আইনমন্ত্রী সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় জরুরী। মামলা জটে ন্যায়বিচার ব্যাহত হচ্ছে। তবে আদালতের বাইরে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে মামলাজট কমিয়ে আনা সম্ভব। সংবিধান বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, নতুন আইন করে মিথ্যা মামলা দায়েরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মামলার সংখ্যাও বাড়লেও বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়নি। ভূয়া মামলাা করার প্রবণতা বন্ধ করা হলে মামলা জট ক্রমান্বয়ে কমে আসবে।
সুত্র জানায়, মামলা জটের অনেকগুলো কারণ থাকলেও তিন’টি কারণ প্রণিধানযোগ্য। প্রথম কারণ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের উপর জুলুম নির্যাতনে মামলা সংখ্যা বৃদ্ধি। দ্বিতীয় কারণ বিচারকের সংখ্যা কম। তৃতীয়ত নিম্ন আদালতের ওপর নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপ। সুত্রের দাবি গত কয়েক বছরে মামলার দায়ের সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। মামলা দায়েরের ভয়াবহতার চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে একজন আইনজীবী বললেন, ২০০৪-৫ সালে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ক্রস ফায়ার সংস্কৃতি শুরু হয়। ওই সময় ক্রস ফায়ারে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা নিহত হওয়ার পর প্রচার করা হতো অমুক শীর্ষ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা, তমুক শীর্ষ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে ২২টি মামলা রয়েছে। অথচ এখন বিএনপির একজন নেতার বিরুদ্ধেই দুইশ সোয়া দুইশ মামলা রয়েছে। এমনকি ওই দলটির মহাসচিবের বিরুদ্ধে ৮৮টি মামলা রয়েছে বলে দলটি দাবী করছে। একযুগ আগে একজনের বিরুদ্ধে ১৫ থেকে ২০টি মামলা দায়ের হওয়াকে অস্বাভাবিক মনে করা হতো; অথচ এখন একজনের বিরুদ্ধে একশ থেকে দেড়শ মামলা দায়েরের পরও ঘটনাকে স্বাভাবিক হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
সারাবিশ্বের বিচার ব্যবস্থায় বাংলাদেশে মামলার তুলনায় বিচারকের অনুপাত খুবই কম। বাংলাদেশে প্রতি এক লাখ মানুষের জন্য বিচারক মাত্র একজন। পরিসংখ্যানে দেখা যায় বাংলাদেশে প্রতি ১০ লাখ লোকের বিপরীতে যেখানে বিচারক ১০ জন, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রে ১০৭ জন, কানাডায় ৭৫জন, ইংল্যান্ডে ৫১ জন, অস্ট্রেলিয়ায় ৪১ জন এবং এমনকি ভারতেও ১৮ জন। ভারতে একজন বিচারকের বিপরীতে এক হাজার ৩৫০টি মামলা বিচারাধীন এবং একজন বিচারক বছরে ৫১৬টি মামলা নিষ্পত্তি করছেন। বাংলাদেশে একজন বিচারকের বিপরীতে দুই হাজার ১২৫টি মামলা রয়েছে। বিশ্লেষণে দেখা যায়, আমাদের দেশে একজন বিচারক বছরে নিষ্পত্তি করছেন ৭০০ মামলা। বিচারক স্বল্পতার কারণে গত এক যুগে শুধু ঢাকার ৪০টি আদালতে মামশা বেড়েছে চারগুণেরও বেশি। সেখানে এখন মোট মামলার সংখ্যা ৪ লাখ ৪১ হাজার ৪৭১টি। আর নিম্ন আদালতের বিচার ব্যবস্থার প্রতি হস্তক্ষেপ ওপেন সিক্রেট।
মামলার সব থেকে বেশি জট জেলা জজ আদালতগুলোতে। আইনজ্ঞরা মনে করেন, মামলা জটের কারণে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে প্রচলিত আইনি পদ্ধতিতে মামলা নিষ্পত্তিতে বছরের পর বছর সময় লেগে যায়। নিষ্পত্তির দীর্ঘসূত্রিতায় মামলার জট যেমন বাড়ছে তেমনি বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তিও বাড়ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে সুশাসন থাকলে যেমনিভাবে মামলা দায়ের সংখ্যা কম হত ও তেমনিভাবে জটও কম হত।
জানতে চাইলে বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় না থাকাকে মামলা জটের অন্যতম কারণ বলে জানালেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। তিনি বলেন, বর্তমানে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় জরুরী। সচিবালয় থাকলেও আদালতগুলোর তদারকি বেশি হত। মামলার বেশি নিষ্পত্তি করা যেত। তিনি বলেন, প্রতিদনই নতুন মামলা দায়ের হচ্ছে। কিন্তু নিষ্পত্তি তুলনামূলক কম। স্বাভাবিকভাবেই মামলার জট হচ্ছে। আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা নিষ্পত্তিতে বছরের পর বছর লাগছে। ফলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ব্যাহত হচ্ছে। আদালতের বাইরে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে মামলাজট কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, দেশে মামলার সংখ্যাও বাড়লেও সেই অনুপাতে বিচারক বিচারালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়নি। এরপরও আবার নতুন নতুন আইন করার কারণে বিভিন্ন ধরণের মামলার হচ্ছে। ভুয়া মামলা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এসব মামলার বিচারকার্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাক বিচারক ও আনুসাঙ্গিক ব্যবস্থা নেই। তিনি আরো বলেন, মিথ্যা মামলা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এতে কিছুটা হলেও মামলা জট কমবে।
পর্যাপ্ত বিচারক ও প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগের তাগিদ দিয়ে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, মামলাজটের অন্যতম কারণ বিচার ব্যবস্থায় লজিস্ট্রিক সার্পোটের ঘাটতি। তিনি বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা হলে মামলার দায়ের সংখ্যা কমে যেত। সকল ক্ষেত্রে আইনানুগ অনুযারী চলতে থাকলে বিষয়টি আদালতের আসবে না; মামলাও হবে না।
এর আগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাও মামলা জট নিরসনের নানা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বিশেষ করে মাসদার হোসেন মামলার আলোকে বিচারকদের জন্য গেজেট প্রকাশ, বিচারকদের কর্মঘন্টা বাড়ানো,রেজিস্ট্রার জেনারেল অনুমতি ছাড়া কর্মস্থল ত্যাগ না করা। বর্তমান প্রধান বিচারপতি দায়িত্বে নেয়ার পর জট নিরসনে পুরানো মামলা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানি করার তাগিদ দেন। মামলার সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ বলেছেন, বিচারাধীন ৩৪ লাখ মামলার বিপরীতে আমাদের বিচারক মাত্র ১ হাজার ৬৪৭ জন। ভারতে বিচারাধীন তিন কোটি মামলার বিপরীতে বিচারক ২৩ হাজার জন।
গত বছর ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের আদালতগুলোতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ৩৩ লাখ ৯৫ হাজার ৬৪৯টি। গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ৩৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৫৩টি। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা এখন ৩৫ লাখ ৭ হাজার ৮৯৮টি, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এরপর গত ছয় মাসে এ সংখ্যা বেড়েছে ৫৪ হাজার ৫৪৫টি। শুধু ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার সংখ্যা ৭৩ হাজার ৮৯৯টি।
সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে ৫ লাখ ২৭ হাজার মামলা বিচারাধীন। গত বছরের পযন্ত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন দেওয়ানি মামলার সংখ্যা ১৩ হাজার ২৬টি, বিচারাধীন ফৌজদারি মামলা ৬ হাজার ৩ শ ৫১টি মামলা। অন্যান্য মামলা ১১৬টি।
হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন দেওয়ানি মামলার সংখ্যা ৯৪ হাজার ৪৯২টি। বিচারাধীন ফৌজদারি মামলা ৩ লাখ ১২ হাজার ২০৫টি মামলা। রিট ৭৮৯৩৯টি আদিম রিট ৯৭৭৯টি মামলা। আর জেলা ও দায়রা জজ আদালতসহ অন্যান্য আদালতে ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৫৮৪টি, হাইকোর্ট বিভাগে ৫ লাখ ৭ হাজার ৬৯৫টি এবং আপিল বিভাগে ১৯ হাজার ৬১৯টি। দেশের সর্বোচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে সব মিলিয়ে বর্তমানে বিচারাধীন মামলা ৩৫ লাখ ৭ হাজার ৮৯৮টি। যার মধ্যে দেওয়ানি ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬২৫টি, ফৌজদারি ২০ লাখ ১৭ হাজার ৯১৪টি এবং অন্যান্য ৯০ হাজার ৩৫৯টি।
নিষ্পত্তিতে ধীরগতি: গত বছরের সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, অধস্তন আদালতসমূহে বর্তমানে লক্ষাধিক মামলা বিচারাধীন এবং ক্রমান্বয়ে মামলাজট বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিচারাধীন মামলার মধ্যে পাঁচ বছরের অধিক পুরাতন মামলার সংখ্যাও কম নয়। ফলে মামলা নিষ্পত্তির হার বৃদ্ধিসহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৫ বছরের অধিক পুরাতন মামলা নিষ্পত্তি করে ক্রমবর্ধমান মামলাজট নিরসনের বিকল্প নেই। এমতাবস্থায় দেশের সকল অধস্তন আদালত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৫ বছরের অধিক পুরাতন মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ প্রদান করা হলো। এতে আরো বলা হয়, মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রত্যেক আদালত ও ট্রাইব্যুনালে পাঁচ বছরের অধিক পুরনো বিচারাধীন মামলা ও নিষ্পত্তির বিবরণী সুপ্রিম কোর্টে পাঠাতে হবে। ৬ বছরের অধিক সময় ধরে বিচারাধীন মামলাই নয়, কয়েক দশক ধরে বিচারাধীন মামলাও এখন চলছে বলে জানান আইনজীবীরা।
সুপ্রিম কোর্টের উদ্যোগ: মামলা জট নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। প্রধান বিচারপতির পরামর্শে বিগত বছরের মামলার আধিক্য কমাতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দ্রতই সফলতা পাওয়া যাবে বলে মনে করে কোর্ট প্রশাসন। বছরের শুরুতেই মামলার আধিক্য কমানোর জন্য বিচারাধীন মামলাগুলো নিষ্পত্তিতে জোর দেন প্রধান বিচারপতি। ইতোমধ্যে প্রধান বিচারপতি হাইকোর্টের ১৪টি বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন পুরনো ফৌজদারি মামলাগুলোর শুনানির জন্য। সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার পুরনো মামলাগুলো শুনানির জন্য রাখা হয়। কোর্টের নিজস্ব তহবিলে দেশের কয়েকটি নিম্ন আদালতে কম্পিউটার সরবরাহ করেছে প্রশাসন। আপিল বিভাগের মামলা নিষ্পত্তি করতে দুটি পৃথক আপিল বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি। আর নিম্ন আদালতের মামলাগুলো নিষ্পত্তি করতে বিচারকদের কর্মঘণ্টা পুরোপুরি ব্যবহারের বিষয়টি নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রেখেছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সুপ্রিম কোর্টের (মুখপাত্র) স্পেশাল অফিসার সাইফুর রহমান বলেন, নতুন বছরের শুরুতে মামলার জট খুলতে কার্যকরী উদ্যোগ হাতে নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। প্রধান বিচারপতির পরামর্শে বিগত বছরের মামলার আধিক্য কমাতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (18)
Al Mahjab ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪২ এএম says : 0
উকিলগুলা ঠিক হলেই মামলা নিস্পত্তির রেট অনেক বেড়ে যাবে। ইচ্ছে করে সাক্ষী উপস্থাপন না করে তারা মাসের পর মাস মামলা চালিয়ে নেয়। মামলা না চললে তো তাদের পেটে ভাত জমবে না। সাথে দুর্নিতি পরায়ন জনগনতো আসেই। হয়রানিমূলক বা মিথ্যা দেওয়ানী মামলার বাদীদের শাস্তির বিধান আনা যেতে পারে, কিছু প্রভাবশালী জনগন থাকা যারা অন্যের সমত্তি জবর দখল করে মামলার অযুহাতে তা ভোগ করে। এদের জন্য শাস্তির বিধান করা যায় কিনা দেখা উচিৎ, এদের কারনে মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়
Total Reply(0)
Sharmin Mou ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৩ এএম says : 0
Very bad
Total Reply(0)
Mujibur Rahman ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৩ এএম says : 0
জটের রোলমডেল?
Total Reply(0)
Md Hassan ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৩ এএম says : 0
ভাই ৩৫ বছর একটা মামলা জজকোর্ট রায়ের পর আজ ২বছর হাইকোটে কোন শুনানি ডেট ছাড়া কেবল এসটে করে। ভাই কি করবো একটু বলুন এই মামলাটা নিমনকোট সহ ৪০ বছর হলো। একটা জালদলিলে কবলে পড়ে আমি সহ মোট ১৪ জনে জীবন জীবিকা ধংস করে দিল। নিমনকোট ও জজকোর্ট জালদলিল বলার পর আবার হাইকোট।
Total Reply(0)
Md Mortuza Chowdhury ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৭ এএম says : 0
এর জন্য দেশের আইন স্রিংখলা বাহীনি + বিচারক + রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা দায়ী আমার মনে হয়
Total Reply(0)
Md Tosruzzaman ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫১ এএম says : 0
সহকারী জজ ও সিনিয়র সহকারী জজদের স্টেনো টাইপিস্ট দিলে তাদের নিষ্পত্তি দ্বিগুণ হয়ে যাবে। দেওয়ানী বিচারকদের প্রতিদিন মামলার শুনানি গ্রহন শেষ করে প্রচারিত রায় বা আদেশ সহস্তে লিখতে অথবা কম্পিউটারে টাইপ করতে হয়। মামলার শুনানি, নিষ্পত্তির জন্য অপেক্ষমাণ নথি স্টাডি করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং তা নিজ হাতে লিখে রায় এবং আদেশ প্রস্তুতকরন সবই বিচারক এর নিজেকেই করতে হয়। জেলা- উপজেলা পর্যায় এমন কিছু কিছু অফিস খুজে পাওয়া যেতে পারে যেখানে দিনে হয়ত একটি নথির কাজও হয়না বা সেবা নিতে তেমন কেউ যান না। অথচ সেখানে অফিস সরঞ্জামাদি থেকে শুরু করে টাইপিস্টসহ অনান্য জনবল আছে। কিন্তু দেশের প্রতিটি আদালতে বিচার প্রার্থী মানুষ এর উপচে পড়া ভীড় থাকলেও জনগণ কে বেশি বেশি সেবা প্রদান এর জন্য তাদের লজিস্টিকস, টাইপিস্ট দেয়া হয় না। মামলাজট কমানোর জন্য দ্রুত দেওয়ানি বিচার পদ্ধতি চালু, মামালার স্থর ( stage) হ্রাস, সাক্ষ্য গ্রহনের নামে নালিশি জমির একশ বছরের ইতিহাস লেখার মাধ্যমে মামলায় মুল চাওয়া বা বিচার কি তা হারিয়ে বাদী-বিবাদীর কেসের নামে বাদির কেস, ডিনাইল, কাগজ পত্র এক্সিবিট, জেরা এবং একই ভাবে বিবাদীর কেস, ডিনাইল, কাগজ পত্র এক্সিবিট, জেরায় একই কথা ঘুরে ফিরে বার বার পাতাকে পাতা হাতে লিখে বিচারে অহেতুক সময় ক্ষেপনের চলমান নিয়ম পরিবর্তন না করলে বিচারক বা বিচার বিভাগের দোষ দিয়ে লাভ নাই। দেশের সকল সেক্টরে জনসেবাকে সহজীকরন ও হয়রানিমুক্ত করার মহোৎসব চলছে। অথচ জনগণ এর বিচার সেবা দেয়ার দায়িত্ব নিয়ে আমরা নিজেরাই হয়রানিমুলক দেওয়ানি বিচার প্রকৃয়া হতে বের হওয়ার উপায় বিচারকদের জন্য করছি না। সবাই শুধু নিষ্পত্তি বাড়াতে বলেন। আমরাও তাই চাই। কিন্তু বিচার প্রকৃয়ায় আমুল সংস্কার প্রয়োজন। আমরা প্রতিদিন যেভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা পাতাকে পাতা হাতে লিখে সাক্ষীর জবানবন্দি ও জেরা গ্রহণ করি আবার ঘন্টার পর ঘন্টা কম্পিউটার টাইপ করি। এভাবে আমার অফিস সময় ৯.০০-৫.০০ টা চোখের নিমিশেই শেষ হয়ে যায়। কিন্তু বিচারিক এই প্রক্রিয়া আয়ুহ্রাসী একটি প্রকৃয়া। অনেক সময় এটাকে দু পা উচু করে দাড়াতে বলার মতই মনে হয়।
Total Reply(0)
ABDUL MAJID QUAZI ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫১ এএম says : 0
Withdrawing murder cases will be worst record in history. Whether Awamileague rule whole life all actions and decisions will remain part of history forever.
Total Reply(0)
Kibria Dipu ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫১ এএম says : 0
উন্নয়নের স্বার্থে মামলা প্রত্যাহারের প্রয়োজন আছে।
Total Reply(0)
Shakib Khan ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫১ এএম says : 0
বিচারের নামে অবিচার সইবে না উপর ওয়ালা
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৩ এএম says : 0
যখন কোন দেশে মানুষের নাগরিক অধিকার ও স্বাধীনতা গায়েব হয়েযায় তখন গায়েবী মামলা গুলো দেখতে পাওয়া যায়।
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৩ এএম says : 0
সরকার না বললে কি পুলিশ গায়েবি মামলা দেয় ????
Total Reply(0)
রিপন ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৩ এএম says : 0
এতো দিন মানুষ গায়েব হত, এখন গায়েবি মামলা ! বুঝলাম না, প্রমোশন না ডিমোশন !!!
Total Reply(0)
Shameer Ahmed ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৪ এএম says : 0
controlling opposition party is OK but using Police , RAB or others forces frequently will loose the credibility among general people gradually. Let everyone play as long its not harmful directly to people. Winning every time doesn't mean you will not give an opportunity to play others.
Total Reply(0)
Masud Parvez ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৪ এএম says : 0
বাংলাদেশ পুলিশ নির্লজ্জতার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে, তা তাদের ইতিহাসকেই কলঙ্কিত করছে। যে কলঙ্ক কালো টিপ হয়ে তাদের কপালে ঝুলে থাকবে বহু বছর।
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম says : 0
সেদিন আর দূরে নয়, সাংবিধানে আইন হবে, আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য দল করলে তার শাস্তি ফাঁসি।
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১০:৫৩ এএম says : 0
ইনকিলাব পত্রিকার প্রতিবেদক মালেক মল্লিক সাহেব খুবই সুন্দর সময় উপযোগি ও তথ্য বহুল একটি প্রতিবেদন লিখেছেন। মাত্র একদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মামলার জটনিয়ে কথা বলেছেন আর তারই পরদিন এই প্রতিবেদন আমাদের বুঝার ও এটা নিয়ে ভাবার বিষয় করে দিয়েছেন যেটা একজন সাংবাদিকের করা দরকার। তাই আমি আমাদের পক্ষথেকে মালেক মল্লিক সাহাবকে জানাই যুদ্ধ করে আমরা যে লাল সবুজের মালিক হয়েছি সেই লাল সবুজের সালাম। আমি লিখক সম্পর্কে এতটুকুই বলবো যে তিনি একজন বিচক্ষন ও দক্ষ সাংবাদিক। এই প্রতিবেদনের উপর মুক্তিযোদ্ধা বা গাজী হিসাবে আমার বক্তব্য হচ্ছে, এখানে অনেক বিজ্ঞ ব্যক্তিদের বক্তব্য রয়েছে সবই ঠিক আছে কোনটাই কোনটার চেয়ে কম যুক্তি সম্পন্ন নয় সবই বাস্তব। তবে আমি একজন মুসলমান সেদিক থেকেই আমি দুটা কথা বলতে চাই সেটা হচ্ছে আল্লাহ্‌ ইসলাম ধর্মে প্রথমেই বলেছেন সত্য কথা বলতে, সত্য জানতে, সত্য উপলব্ধি করতে, সত্যের উপর চলতে। আমাদের দেশের উকিলরা বেশীর ভাগ মুসলমান ওনারা যদি এই কথাগুলো মানে সত্য শব্দটার উপর চর্চা করে এবং সেটাকে প্রতিফলিত করে তাহলেই সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এটাই আমার বিশ্বাস। আমি আরো বলতে চাই, আমাদের বেশীর ভাগ জনগণের ধারনা বিচারকরাই বিচার কার্য্য সমাধান করে থাকেন তাই বিচারের নিষ্পত্তি তাদের উপর বর্তায় কাজেই বিচারক বৃদ্ধি করা হউক। কিন্তু না আমি মনে করি বিচার কার্য্য নির্ভর করে উকিলদের উপর, উকিলরাই বিচারকে ঝুলিয়ে দেন তারিখের পর তারিখ নিয়ে। আবার এই উকিলেরা তাদের পকেট ভড়ার জন্যে মোয়াক্কেলদেরকে মিথ্যা কথা বলতে শিখান যাতে করে মামলার কাজে বিভ্রান্তের সৃষ্টি করা যায় আর নিজের মোয়াক্কেলকে সেই মিথ্যার জালের উপর আদালতকে বিভ্রান্ত করে তার মোয়াক্কেলকে জয়ী করে আনে। তাই আমি বহুদিন ধরে বলে আসছিলাম একটা দেশকে পুরোপুরি আইনের দেশ বানাতে হলে দু’টা শ্রেনীকে নিয়ন্ত্রিত করতে হয় এর একটা হচ্ছে এই উকিল। এনারা বুদ্ধি বিক্রয় করে জীবিহা নির্বাহ করে থাকেন কথা হচ্ছে সেই বুদ্ধিটা কি সত্যের উপর নাকি মিথ্যার উপর নির্ভরশীল এটাই দেখার বিষয়। আর এইসব উকিলরাই একদিন পর্যায়ক্রমে হয়ে থাকেন বুদ্ধিজীবি তাই আমাদের দেশ হয়ে যায় মিথ্যা নির্ভর দেশ। এই অঞ্চলের উকিলরা মিথ্যাকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন এবং মিথ্যাকেই অবলম্বন করেই মামলা পরিচালনা করে তাদের পকেট মোটা করে থাকেন। যেহেতু আমাদের আইনমন্ত্রী নিজেই একজন উকিল তাই এখন সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকেই এদিকে একটু নজর দিতে হবে তাহলেই আমি বলতে পারি আমাদের দেশে আইনের শাসন আসতে সময় নিবেনা। আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে সত্য বলা, সত্য বুঝা এবং সত্যের উপর চলার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১১:১৭ এএম says : 0
@ Mr. Md Tosruzzaman, আপনার কথা খুবই যুক্তি সম্পন্ন কথা এটা মানতেই হবে। তবে মামলার কাজে উকিলের যে দায়িত্ব সে সম্পর্কে আপনি কিছুই এখানে আনেন নি। আমার নজরে উকিলই মামলার বিষয়ে সমস্ত অপকর্মের জন্যে দায়ী, কারন উকিলেরা যদি মিথ্যাকে প্রশ্রয় না দেয় তাহলে মামলার জন্যে তারিখের প্রয়োজন হয় না। কাজেই আমি মনে করি মামলা তখনই কম সৃষ্টি হবে যখন একজন উকিল মামলার কাজে কোন মিথ্যার জন্ম দিবেন না বরং তার মোয়াক্কেল মিথ্যা নিয়ে মামলা করছে বুঝতে পারলে উকিল সাহেব সেটা প্রত্যাখ্যান করবেন। অন্যান্য দেশের মত আমাদের দেশে যেদিন এই নীতিতে উকিলরা চলবে আমার বিশ্বাস সেইদিন থেকেই মামলার সৃষ্টি হবে না... তাছাড়া আমি যা বুঝি সেটা হচ্ছে, আদালত সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যেই স্থাপিত হয়েছে কাজেই আদলতের সাথে যারা জড়িত তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ সত্যকে প্রতিষ্টিত করা। কাজেই এখন আমাদের সবার আগে দরকার উকিলদেরকে নিয়ন্ত্রণে আনা। আমারা যেভাবে বাদী বা বিবাদী মিথ্যা কথা বললে আমাদের শাস্তির বিধান রয়েছে, তেমনি উকিল যদি মিথ্যা শিখায় কিংবা জেনে শুনে মিথ্যাকে প্রশ্রয় দেয় তাহলে উকিলের মিথ্যার সাথে জড়িত হবার জন্যে সাজার ব্যাবস্থা করলেই উকিলরা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে এটা আমার বিশ্বাস। আর যদি এটা হয় তাহলে অবশ্যই আমাদের দেশে মামলার সংখ্যা কমে যাবে এটাই সত্য। কাজেই আসুন আমরা সবাই মিলে উকিল নিয়ন্ত্রণে নামি...... আল্লাহ্‌ আমাকে সহ আমাদের দেশের উকিলদেরকে মিথ্যা বলা, মিথ্যা চর্চা করা, মিথ্যা বলে অন্যের ক্ষতি করা, মিথ্যা বলে নিজের পকেট মোটা করা সর্বপরি আমাকে সহ উকিলদেরকে মিথ্যা বর্জন করার ক্ষমতা প্রদান করুন। আমিন
Total Reply(0)
khan mashrequl ২৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ৬:১৩ এএম says : 0
আমাদের সিভিল কোড এবং ক্রিমিনাল কোড নূতন করে যুগের উপযোগী করতে হবে। স্মল ক্লেইম কোর্ট সৃষ্ট করে স্থানীয় ভাবে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাবি সমূহের বিচার নিষ্পত্তি করা যেতে পারে। জুভেনাইল কোর্টে ১৭ বছরের নীচের ক্রিমিনাল কেস মিউনিসিপালিটির কোর্টে নিষ্পত্তি করা যেতে পারে।(ড্রাগ কেস সাধারণ ক্রিমিনাল কোর্টে যাবে)। সকল কেসের সময় নির্ধারণ করা থাকতে হবে।কোন কারণেই কেসের তারিখ পরিবর্তন করা যাবে না ।যে পক্ষ সময় চাইবে, আদালত তাইলে এজাহারের ভিত্তিতে তাদের সময় দিতে পারবেন তবে কেস না সুনেই রায় ও দিয়ে দিতে পারবেন। তবে তা ৩ বছরের উপর জেল টার্ম নয় এবং ১৫ লক্ষ টাকার উপর জড়ি- মানা নয়। কোন আদালতের রায়ের উপড়ে আপিল করতে চাইলে সারটিফাইড প্রশ্ন থাকতে হবে যা নিম্ন আদালত নিষ্পত্তি করতে পারে নাই। তা ছাড়া কোন আপিল চলবে বা । কোন কেস সিস্টেমে থাকলে, ক্রিমিনাল কেস ৩ বছরের মাঝে নিষ্পত্তি করতে হবে।তা না হলে ঐ জাজের চাকুরী যাবে । সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের সংখ্যা ১৩ জন করা যেতে পারে। এইগুলি প্রাথমিক ভাবে কার্যকর হলে, কেসে যানজট কিছুটা খুলে আসবে।তা ছাড়া বিভিন্য ট্রাইবুনাল ও সামারি কোর্ট সৃষ্টি করে আউত অফ কোর্ট সেটেল্মেন্ট এর বেবস্থা করা যেতে পারে। এ ছাড়া উপ জেলা আদালত সৃষ্টি করে স্থানীয় ভাবে কম গুরুত্বপুর্ন কে নিস্পত্তি করা যেতে পারে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন