ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান মঈন তালুকদার, আওয়ামী লীগ নেতা খসরু নোমান ও এশিয়ান টিভির দুই সাংবাদিকসহ ৯ জনের নামে মামলা হায়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল সাইবার ট্রাব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন ঝালকাঠি পৌরসভার মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদারের ছেলে শফিকুল ইসলাম টিটু। আদালতের বিচারক গোলাম ফারুক মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ঝালকাঠি থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। মামলার সাক্ষি করা হয়েছে পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার, তাঁর ছেলে ঠিকাদার মনিরুল ইসলাম তালুকদার, আওয়ামী লীগ নেতা দিপু লস্কর ও মনির হোসেন পলাশকে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঝালকাঠি পৌরসভার মেয়র মো. লিয়াকত আলী তালুকদার ও তাঁর ছেলে মনিরুল ইসলাম তালুকদারের সঙ্গে আসামিদের ব্যবসায়ীক বিরোধ চলছে। এ অবস্থায় মেয়র পরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য এশিয়ান টেলিভিশন ‘এশিয়ান সার্চ’ নামের একটি অনুষ্ঠানে মিথ্যা, বিভ্রান্তি ও মানহানিকর সংবাদ প্রচার করে। আসামিরা এই সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ায় মেয়র ও তাঁর পরিবার সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। এতে সমাজে অস্থিরতা, ঘৃণা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি আসামিরা প্রচারিত সংবাদের ভিডিও ক্লিপ ঝালকাঠি শহরের বারোচলা এলাকায় জনসম্মুখে প্রযুক্তির অপব্যবহার করে প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রচার করে, যা ঝালকাঠির সর্বস্তরের জনগণ দেখে এবং শোনে।
মামলার আসামিরা হলেন, এশিয়ান টেলিভিশনের রিপোর্টার রবিউল ইসলাম ও শামীম হোসেন, ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান মঈন তালুকদার, অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আল আমিন বাকলাই, ঝালকাঠি পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সোয়েবুর মোর্শেদ সোহেল, যুগ্ম সম্পাদক শাহীন খান, জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খসরু নোমান, যুবলীগকর্মী কাজী মারুফ হোসেন ইরান ও বাদল হোসেন।
মামলার বাদীর আইনজীবী মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, বরিশাল সাইবার ট্রাব্যুনালের এই আদেশ ঝালকাঠি থানায় যাওয়ার পরে পুলিশ তদন্ত করে প্রতিবেদন দিবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পরে আদালত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন