মহান স্রষ্টা ও প্রতিপালক আল্লাহ রাব্বুল আলামীন স্বীয় বান্দাহদের অসংখ্য নেয়ামত ও অগণিত বরকত অহরহ প্রদান করছেন। এসকল নেয়ামত ও বরকতের শোকর আদায় করতে হলে দেহ ও মনের নিবিড় সংযোগ একান্ত অপরিহার্য।
মানব দেহ হচ্ছে রূহের বাহন বা প্রজা। রূহ দেহের রাজা এবং আরোহী। রূহ যতক্ষণ পর্যন্ত দেহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত রূহের ইঙ্গিতক্রমেই দেহ পরিচালিত হয়ে থাকে। দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ-হাত, পা, চোখ, নাক, কান স্বেচ্ছায় কোন কিছু করতে পারে না। কারণ এগুলোর মাঝে যে শক্তি ও সামর্থ্যরে বিকাশ দেখতে পাওয়া যায়, তা রূহ কর্তৃক বিচ্ছুরিত শক্তিরই বহি:প্রকাশ মাত্র। তাই সালাত সম্পাদনে দেহকে যথার্থভাবে পরিচালনা করতে হলে দেহকে রূহের সার্বিক নিয়ন্ত্রণে রাখা ছাড়া বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেই। রাসূলে পাক (সা:) ইরশাদ করেছেন-“ হে লোক সকল! সালাত আদায় করার সময় আদায়কারী আল্লাহ পাকের সাথে গোপনে কথা বার্তা বলে। এমতাবস্থায় সালাত আদায়কারীর উচিৎ কি সব কথা বার্তা সে বলছে তৎপ্রতি খেয়াল রাখা।” (মুসনাদে আহমাদ)
সালাত আদায়কারীর এই সতর্কতার বিশ্লেষণ করে আল-কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে-“আর সালাত কায়েম কর অবশ্যই সালাত লজ্জাহীনতা ও গর্হিত কাজ হতে বিরত রাখে এবং আল্লাহর স্মরণই সর্বোত্তম বস্তু।” (সূরা আনকাবুত) এই আয়াতে সালাতের তিনটি হিকমত সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। প্রথমত : সালাত লজ্জাহীনতা ও গর্হিত কার্যকলাপ হতে বিরত রাখে। দ্বিতীয়ত : সালাত হচ্ছে আল্লাহর স্মরণ। তৃতীয়ত : আল্লাহর স্মরণ হতে উত্তম বস্তুু আর কিছু নেই। বস্তুুত : লজ্জাহীনতা ও গর্হিত কার্যকলাপ হতে বেঁচে থাকার নাম পবিত্রতা বা সাফাই। সালাত আদায়কালে যে কোনরকম আবিলতা মনের মাঝে ভীড় জমালে প্রকৃতপক্ষে মঞ্জিলে মাকসুদে উপনীত হওয়া যায় না। এই মঞ্জিলে মাকসুদে উপনীত হওয়ার প্রধান অবলম্বন হলো আল্লাহর স্মরণ বা সালাত। সালাতে বান্দাহর দেহ এবং রূহ একাতœ হয়ে যখন অগ্রসর হয় তখন আল্লাহর স্মরণ ছাড়া আর কিছুই তাঁর নিকট উত্তম বলে বিবেচিত হয় না। এই অবস্থার বিশ্লেষণ করে আল-কুরআনে আরও ইরশাদ হচ্ছে, “সে অবশ্যই কামিয়াবী হাসেল করেছে যে পবিত্রতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে এবং স্বীয় প্রতিপালকের নাম স্মরণ করেছে এবং সালাত আদায় করেছে। (সূরা আ’লা) লজ্জাহীনতা ও গর্হিত কার্য-কলাপ পরিহারের মাধ্যমেই সত্যিকার পবিত্রতা অর্জিত হয় এবং আল্লাহর স্মরণের দুয়ার পবিত্রতা ছাড়া কিছুতেই উন্মুক্ত করা যায় না। এমনকি আল্লাহর স্মরণের দুয়ার উন্মুক্ত না হলে সালাতও যথার্থভাবে আদায় হয় না।
দেহের সাথে জাগতিক বস্তুনিচয়ের যোগাযোগ অবিচ্ছেদ্য। দেহ যেমন আগুন, বাতাস, পানি ও মাটির সমন্বয়ে গঠিত তেমনি এ সকল উপাদানের প্রতিক্রিয়া দেহের সর্বত্রই পরিলক্ষিত হয়। পানির অভাব দেখা দিলে পিপাসা পায়, প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে পড়ে। বাতাসের অভাব হলে শ্বাসকষ্ট উপস্থিত হয়। চলৎশক্তি রহিত হয়ে আসে। আগুনের অভাব হলে দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ শিথিল হয়ে আসে। কর্মশক্তি লোপ পেতে থাকে। মাটি বা মাটি জাতীয় পদার্থের অভাব হলে দেহের ওজন কমে যায়, খর্বাকার ধারণ করে এবং দেহ কর্মক্ষম থাকে না। সুতরাং এ সকল উপাদানের জটিলতা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হয়ে পূর্ণ আন্তরিকতাসহ সালাত আদায় করাকেই কামিয়াবীর মানদন্ড হিসেবে আল-কুরআনে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে, “আপনি অবশ্যই তাদের সতর্ক করতে পারেন যারা না দেখেই স্বীয় পরওয়ারদিগারকে ভয় করে এবং সালাত কায়েম করে, আর যে আত্মিক পবিত্রতা অর্জন করে সে নিজের জন্যই তা করে থাকে এবং পরিশেষে আল্লাহর দিকেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে।” (সূরা ফাতের) এতে স্পষ্টত:ই প্রমাণিত হয় যে, সালাত চারিত্রিক দুর্বলতা থেকে বিরত রাখে এবং মানসিক আবিলতা হতেও মুক্ত রাখে এবং রূহানী পবিত্রতার পথকে সহজ ও সুগম করে তোলে। দেহ এবং দেহস্থ উপাদানরাজির দ্বারা মূখ্য যে তিনটি প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়, তা হলো অধৈর্য হওয়া, বিপদে অধীর হওয়া এবং প্রাচুর্যের সময় কৃপণতা প্রকাশ করা। কিন্তু যারা যথার্থভাবে সালাত আদায় করে এবং দৃঢ়তার সাথে তা অবিরত পালন করে যায়, তাদের মাঝে উপরোক্ত তিন প্রকার প্রতিক্রিয়ার প্রভাব পড়তে পারে না। যেমন আল-কুরআনে ইরশঅদ হচ্ছে, “অবশ্যই মানুষকে ধৈর্যহীন করে পয়দা করা হয়েছে, যখন সে মসীবতে নিপতিত হয়, তখন সে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে এবং যখন সে প্রাচুর্যের অধিকারী হয়, তখন বখিল বা কৃপণ সেজে বসে; কিন্তু সালাত আদায়কারী (এ সকল আবিলতা হতে) পবিত্র ও মুক্ত থাকে যখন সে সর্বদা সালাত আদায়ে আভ্যস্ত হয়।” (সূরা মা’আরিজ)
এই পবিত্রতা ও নির্মলতার স্বরূপ উদঘাটন করে রাসূলে পাক (সা:) ইরশঅদ করেছেন- “যদি কারো গৃহের সম্মুখ দিয়ে নির্মল এক স্রোতস্বিনী নদী প্রবাহিত থাকে, সেখানে সে যদি দৈনিক পাঁচ বার গোসল করে তবে কি তার দেহে কোনরকম ময়লা-আবর্জনা লেগে থাকবে? সাহাবীগণ আরজ করলেন, না, থাকবে না। আল্লাহর হাবীব (সা:) বলেছেন, সালাত অনুরূপভাবেই গোনাহকে ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করে দেয়। যেমন পানি ময়লাকে দূরীভূত করে।” (মুসনাদে হাকেম, মুসনাদে আহমাদ)
একবার একজন গ্রাম্য মুসলমান রাসূলে পাক (সা:)-এর খেদমতে গোনাহ মাফের উপায় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলো। এর উত্তরে আল্লাহ পাক এই আয়াত নাজিল করলেন। ইরশাদ হচ্ছে, “দিনের উভয় প্রান্তে এবং রাতের কিয়দংশে সালাত কায়েম কর অবশ্যই সৎ কর্মসমূহ পাপরাশি দূর করে দেয়, এই নসীহত শুধুমাত্র স্মরণকারীদের জন্যই।” (সূরা হুদ) আল্লাহ পাকের সান্নিধ্য ও নৈকট্য লাভের প্রধান অবলম্বন বা পাথেয় বলতে শুধু কেবল দেহকেই বুঝায় না। বরং দেহের রাজা বা নিয়ন্ত্রক রূহের কার্যক্রমই এখানে মূখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। দেহ অনুগত ভৃত্যের মত রূহের নির্দেশ পালন করতে বাধ্য। তাই রূহানী শক্তির মায়াডোরে দেহকে বশীভূত ও পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রেখে বান্দাহ যখন সালাত আদাযে প্রবৃত্ত হয়, তখনই শুরু হয় মহান আল্লাহর সাথে বান্দাহর কথোপকথনের পালা। এই তত্ত¡কে তুলে ধরে রাসূলে পাক (সা:) ইরশাদ করেছেন- “সালাত আদায়কালে কেউ যেন সামনের দিকে থুথু নিক্ষেপ না করে, কারণ বান্দাহ তখন স্বীয় প্রতিপালকের সাথে মনের গোপন কথা ব্যক্ত করতে ব্যস্ত থাকে।” (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)
সালাত আদায়কারীর রূহানী শক্তি যদি দেহের গতি-প্রকৃতিকে সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমর্থ না হয় কিংবা দেহের চাহিদা রূহানী প্রত্যাশার পথে অন্তরায় সৃষ্টি করে, তাহলে বান্দাহর কোন পথ অবলম্বন করতে হবে এবং কেমন করে রূহানী অবস্থার উন্নয়ন সাধনে তৎপর হতে হবে, এই তথ্যকে তুলে ধরে আল্লাহর হাবীব ইরশাদ করেছেন, তোমরা আল্লাহর ইবাদত এমনভাবে নিষ্পন্ন কর যেন তোমরা আল্লাহ পাককে দেখতে পাচ্ছ, যদি তোমরা দেখতে সক্ষম না-ও হও তবে তিনি অবশ্যই তোমাদের দেখছেন।” (সহীহ মুসলিম) সুতরাং সালাতের রূহানী উদ্দেশ্য ও এর সুষ্ঠু পরিণাম হচ্ছে এই যে, কুল মাখলুকাতের ¯্রষ্টা সার্বভৌম মালিকানার অধিকারী রাব্বুল আলামীনের প্রদেয় সীমাহীন নেয়ামত ও বকশীশের শোকর গুজারী দিলে এবং মুখে একাত্ম হয়ে আদায় করা এবং মনে-প্রাণে, চিন্তা-চেতনায় তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব ও সার্বভৌমত্বের সামনে নিজের দৈন্যতা ও দুর্বলতার কাথা তুলে ধরে সর্বদা অবনত থাকা; আল্লাহর মহব্বতে নিজের মন-প্রাণ দেহকে উজাড় করে বিলিয়ে দেয়া এবং মনের আবেগ তাঁর সন্নিধানে তুলে ধরা এবং কাজে ও কথায় এর যথার্থ প্রতিফলন সাধনে তৎপর হওয়া। যেন মহান রাব্বুল আলামীনের দয়া ও করুণার দুয়ার খুলে যায়, এবং বান্দাহ আল্লাহর নৈকট্যের অসীম সাগরে নিবেদিত প্রাণে বিলীন হয়ে যায়। এই নি:সীম আত্মবিলুপ্তির রূপরেখাকে তুলে ধরে জনৈক পার্সিয়ান কবি কত সুন্দরই না গেয়েছেন, “এত্তেছালি বে তাকাইয়্যুফ বে কিয়াস, হাস্ত রাব্বুন্নাসি রা বা জানি নাস।” রাব্বুন নাস অর্থাৎ মানুষের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা জানি নাস অর্থাৎ মানুষের রূহ বা প্রাণের সাথে কেমন করে মিশে যান, তার স্বরূপ ও ধারণা বস্তুলব্দ উপাদান বা উপকরণের দ্বারা অনুধাবন করা মোটেই সম্ভব নয়। যেহেতু মিলন হয় রূহের সাথে, সেহেতু রূহানী শক্তিই এর মূর্ত বিকাশ অনুধাবনে সক্ষম।
মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাত আদায় করা একান্ত অপরিহার্য। তাছাড়া সপ্তাহে একদিন শুক্রবারে জুমার সালাত আদায় করাও ফরজ। অধিকতন্ত মৃতের জন্য সালাতে জানাযা আদায় করা ফরজে কে’ফায়া। ফরজ সালাত ছাড়া সুন্নাত এবং নফল সালাতও রয়েছে। অনুরূপভাবে বছরে দুই ঈদের সালাত ওয়াজিব হিসেবে পরিগণিত। মোটামুটিভাবে হিসেব করলে দেখা যায়, সালাতের শ্রেণীভেদ চারটিভাবে বিভক্ত। যথাÑ ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত ও নফল। ফরজ সালাতের সাথে সন্নিহিত আছে ফরজে কেফায়া সালাত এবং সুন্নাত সালাতের সাথে জড়িত আছে সুন্নাতে মোয়াক্কাদাহ সালাত ও সুন্নাতে যায়েদাহ সালাত। দেখা যায়, ওয়াজিব এবং নফল সালাত আপন আপন পরিমন্ডলে সুপ্রতিষ্ঠিত আছে এবং একজন মুসলমান ব্যবহারিক জীবনে এ সকল সালাত প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে সর্বদাই তৎপর থাকেন। এমনকি অন্যকেও সালাত প্রতিষ্ঠায় অনুপ্রাণিত করেন। পবিত্র কুরআনে বার বার সালাত প্রতিষ্ঠার তাগিদ করা হয়েছে। এবং রাসূলে পাক (সা:) সালাতের ব্যবহারিক দিকটি হাতে-কলমে শিক্ষা দিয়েছেন। অতএব এহেন গুরুত্বপূর্ণ সালাতের অন্তর্নিহিত মর্ম উপলব্ধি করা, অনুধাবন করা এবং তদনুসারে আমল করা প্রত্যেক বিশ্বাসী মুসলমানের একান্ত দরকার।
এ লক্ষ্যে উপনীত হওয়ার জন্য আমরা সে পথে অগ্রসর হতে চাই সংখ্যা-তত্তে¡র ভিত্তিতে। একটি নির্দিষ্ট সংখ্যাকে অবলম্বন করে ও উপাত্ত হিসেবে ধরে নিয়ে সালাতের পূর্ণাঙ্গ চিত্রের মৌলিক সমন্বয় সাধন করার এই প্রচেষ্টা নতুন কিছু নয়। তা আল্লাহ পাকের দেয়া শাশ্বত বিধানমালারই একটি দিক মাত্র। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে, ‘ওয়া আহছা কুল্লা শাই-ইন আদাদা’ অর্থাৎ আমি প্রতিটি জিনিসকেই সংখ্যা ও পরিমাণের মাধ্যমে বিন্যস্ত করেছি। মোট কথা, এই পৃথিবীর সকল পদার্থেরই একটি নির্দিষ্ট সীমা ও পরিমন্ডল আছে। এই সীমারেখার মাঝে সবকিছুই নির্দিষ্ট সংখ্যায় বিচরণ করে পরিপুষ্ট হয় এবং পরিপূর্ণতার লক্ষ্যে এগিয়ে চলে। তাই বিশ্বাসী বান্দাহদের ফরজ ইবাদত সালাতের বেলায়ও এর ব্যতিক্রম নেই।
পরম বিজ্ঞানময় আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সালাতের মাঝে অসংখ্য হেকমত ও নেয়ামত গচ্ছিত রেখেছেন। জেনে-শুনে ও বুঝে এ সকল নেয়ামতের শোকর আদায় করা সকল মুমেন মুসলমানেরই দরকার।
হাকীকতে সালাত কি, কেমন, এবং কি রূপে তা বিশ্লেষণ করার আগে সালাত কার জন্য নিবেদিত হতে হবে, এ নিয়ে আজ আমরা আলোচনা করতে প্রয়াস পাব। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেছেন, “ইন্না ছালাতী ওয়া নুছুকী, ওয়া মাহ্ ইয়া-ইয়া ওয়া মামাতী, লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন” অর্থাৎ নিশ্চয়ই আমার সালাত, আমার কুরবানী, আমার জীবন, আমার মরণ, বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহরই জন্য নিবেদিত। এক কথায় বলা যায়, সালাত আল্লাহরই জন্য। সকল সালাত আল্লাহপাকের দরবারেই নিবেদিত হতে হবে। সুতরাং সংখ্যাতত্তে্বর ভিত্তিতে এর সুষ্ঠু সমাধান পেতে হলে আমাদের নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর প্রতি গভীরভাবে তাকাতে হবে।
(ক) সালাত কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য। আরবী ‘আল্লাহ’ শব্দে চারটি বর্ণ রয়েছে। আলীফ, লাম লাম এবং হা। তাই দেখা যায়, সালাত অনুষ্ঠানের প্রতিটি অবস্থা চার সংখ্যার সাথে ওৎপ্রোতভাবে জড়িত। সালাতের কোন অংশ চার সংখ্যা হতে বেশীও নয় কমও নয়। যেমন (১) সালাত শব্দে চারটি বর্ণ রয়েছে ; যথা-সোয়াদ, লাম, ওয়াও এবং তা।
(চলবে)
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন