রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম

শিশুদেরকে কুরআনি শিক্ষা থেকে দূরে রাখতে নাস্তিক এনজিওরা কাজ করছে

আলোচনা সভায় পীর সাহেব চরমোনাই

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০১৯, ৪:০৪ পিএম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, কুরআনি শিক্ষা না থাকায় মানুষ উগ্রবাদে ধাবিত হচ্ছে। কুরআনের আলো ছড়িয়ে দিয়ে নৈতিকতা বিবর্জিত জাতিকে সৎপথে ফিরিয়ে আনতে হবে। কুরআনি শিক্ষা না থাকায় সমাজে ঐশীর মতো নৈতিকতাহীন মেয়ে সৃষ্টি হচ্ছে। সন্তানের হাতে বাবা-মাকে খুন হতে হচ্ছে, মায়ের দ্বারা শিশু হত্যার মত ঘটনাও ঘটছে। তাই ৬৮ হাজার গ্রামে কুরআনী মক্তব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কুরআন থেকে দূরে থাকা জাতিকে কুরআনের পথে ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য শিক্ষার সকলস্তরের সিলেবাসে কুরআনি শিক্ষা বাধ্যতামূলকভাবে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ড সারাদেশে এ কাজ করে যাচ্ছে। এ থেকে মুক্তি পেতে কুরআনের শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করতে হবে।

আজ বুধবার বিকেলে ঢাকার নয়াবাজার এলাকায় বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ড ঢাকা মহানগরের নিজস্ব অফিস উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব এসব কথা বলেন। বোর্ডের ঢাকা মহানগর সভাপতি হাফেজ মাওলানা খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বোর্ডের নির্বাহী মহাসচিব মুফতী সৈয়দ নূরুল করীম, যগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুজিবুর রহমান কালিশ্বরী, আলহাজ্ব ডা, মুখতার হোসাইন, আলহাজ্ব মনির হোসেন। বক্তব্য রাখেন বোর্ডের ঢাকা মহানগরীর সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, সেক্রেটারী মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, আলহাজ্ব আবুল বাশার, আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলমসহ বোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, শিশুদেরকে কুরআনী শিক্ষা থেকে দূরে রাখতে কতিপয় এনজিও কাজ করে যাচ্ছে। কারণ কুরআনি শিক্ষা থাকলে মানুষকে বিপথগামী করা যায়না। তিনি বলেন, ধর্মহীন শিক্ষানীতির মাধ্যমে আমাদের সন্তানদেরকে বিপথগামী করতে সরকারের ভিতর ও বাইরে একটি নাস্তিক্যবাদী চক্র কাজ করছে। এদের চক্রান্তের কারণেই নাস্তিক্যবাদী সিলেবাস সংশোধন করা হয় না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
সাইফ ৬ মার্চ, ২০১৯, ৭:৫৮ পিএম says : 0
শুধু নাস্তিক এন জি ও রাই নয় হুজুর আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, এমনকি শিক্ষক বৃন্দ ও দায়ী। আগে আমরা সকালে আগে মক্তবে গিয়ে কোরআন আমপারা শিখতাম এখন কোন শুযোগ নেই, কেননা, সকাল হলেই ইস্কুলে যেতে হবে, কোছিং প্রাইভেট, ইস্কুলের আট দশ ঘন্টা ক্লাস করা, দেখা যায় একটা ছাত্র ছাত্রী যদি এতক্ষন সকাল থেকে সন্ধ্যা অবদি বিদ্যালয়েই থাকতে হয় তবে সে কোরআন শিখবে কি ভাবে। আর এর পর এস এস সি/ এইচ এস সি পাশ করে সে কোন চাকরি করার যোগ্য হয়না.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন