চট্টগ্রামের বাজারে মাছ গোশতের পর এবার সবজির দামও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। আলু ছাড়া বেশিরভাগ সবজির দাম সাধারণের নাগালের বাইরে। গ্রীষ্মকালীন সবজি বাজারে আসলেও দাম চড়া। গোশতের দামের ঊর্ধ্বমুখী অব্যাহত আছে। ডিমের ডজন এখনও ১১০-১১৫ টাকায় ঘুরপাক খাচ্ছে। গতকাল শুক্রবার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতের সবজির সরবরাহ কমে এসেছে। বাড়ছে গ্রীষ্মকালীন সবজি। প্রতিকেজি বরবটি ৮০-৯০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০-৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৮০-৯০ টাকা, পটল ৯০-৯৫ টাকা, তিতা করলা ৮০-৯০ টাকা, ঢেড়স ৮০-৮৫ টাকা এবং শসা ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সজনে ডাটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০টাকা।
শীতকালীন সবজির মধ্যে বাঁধাকপি ২৫-৩০ টাকা, ফুলকপি ৪০-৪৫ টাকা, বেগুন ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিষ্টি কুমড়া ৩৫-৪০ টাকা, লাউ ৩০-৩৫ টাকা, শিম ৪০-৫০ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শিম বিচি প্রতিকেজি ৮০-৯০ টাকা, গাজর ২০-২৫ টাকা, ক্ষিরা ৩০ টাকা, টমেটো ১৫-২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। লাল শাক ও পালং শাকের পাশাপাশি পাট শাক ও পুঁই শাকও মিলছে। এক আঁটি পুঁই শাক ২৫-৩০ টাকা আর পাট শাক ২০-২৫ টাকা।
বাজারে মাছের সরবরাহ প্রচুর। সামুদ্রিক মাছের সাথে বাজারে মিলছে প্রচুর দেশি মাছও। তবে দাম কমছে না। প্রতিকেজি রুই মাছ ২৮০-৩৫০ টাকা, কাতলা ৩০০-৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৭০-২২০ টাকা, মৃগেল ২৫০-৩০০ টাকা, পোয়া ৩০০-৩৫০ টাকা, লইট্টা ১৫০-১৭০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৪০০-৬০০ টাকা, বড় চিংড়ি ৮০০-১০০০ টাকা, ইলিশ মাছ ৯০০-১০০০ টাকা, রুপচাঁদা ৭০০-১০০০ টাকা, পাবদা ৪৫০-৬০০ টাকা, কোরাল ৩৫০-৪০০ টাকা, বাটা ৪০০-৪৫০ টাকা, কৈ মাছ ৬০০-৭০০ টাকা, শিং মাছ ৬০০-৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সব ধরনের গোশতের দাম এখনও ঊর্ধ্বমুখী। হাড় ছাড়া গরুর গোশত ৭০০ টাকা, হাড়সহ ৬০০-৬৫০ টাকা এবং খাসি ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি প্রতিকেজি ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকা, সোনালিকা ২৭০-২৯০ টাকা, ব্রয়লার ১৬০-১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের ডজন ১১০-১১৫ টাকায় স্থির রয়েছে। পেঁয়াজ-রসুন-আদার দাম স্থিতিশীল রয়েছে।