শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ভেজাল রুখবে কে?

কুমিল্লায় পণ্যের মান পরীক্ষার সুযোগ নেই

মুন্সী কামাল আতাতুর্ক মিসেল, চান্দিনা (কুমিল্লা) থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

রমজানকে সামনে রেখে ভেজাল চক্রের দৌরাত্ম্য শুরু হলেও প্রতিরোধে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) ও জেলা প্রশাসনের অভিযান চলছে ধীর গতিতে। ভেজাল হিসেবে সন্দেহ হলেও পানিসহ (ড্রিংকিং ওয়াটার) নিত্যপ্রয়োজনীয় ৯৮টি পণ্যের মান পরীক্ষার সুযোগ কুমিল্লা জেলা শহরেতো দূরের কথা চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়েও নেই। এছাড়াও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে যে ৫৬টি পণ্যের মান পরীক্ষা করা যায় জনবল ও লোডশেডিংয়ে সেগুলোর রিপোর্ট পেতে সময় লাগে ১৫ দিন।
ঢাকা থেকে রিপোর্ট আসতে সময় লাগে এক মাস পর্যন্ত। এসব সীমাবদ্ধতা ও আইনি জটিলতায় ভেজাল চক্র এবারো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন বিএসটিআই সংশ্লিষ্টরা। তবে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, রমজানের আগে খাদ্যপণ্য ভেজালের বিরুদ্ধে বিএসটিআই আর জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে মাত্র ২টি মোবাইল কোর্ট অভিযান হয়েছে। তবে ভেজাল, দূষণ, পরিবেশসহ সব ধরনের অপরাধে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালিত হয়ে আসছে বলে জেলা প্রশাসন দাবি করে।
বিএসটিআই কুমিল্লার সহকারী পরিচালক শাহিনুর ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বাজারজাতের আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় ১৫৪টি পণ্যের মান পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কুমিল্লায় পরীক্ষার মান যাচাইয়ের ব্যবস্থাপনা না থাকায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে পরীক্ষা করা যায় ৫৬টি পণ্য। বাকিগুলো পরীক্ষার জন্য ঢাকা পাঠাতে হয়। তিনি বলেন, বিএসটিআই ভেজাল বিরোধী অভিযানের জন্য কুমিল্লায় জনবলের সঙ্কট থাকায় অভিযান পরিচালনা দ্রুত গতিতে করা যাচ্ছে না। তবে রমজানের প্রথম সপ্তাহ থেকে কুমিল্লায় ভেজাল বিরোধী অভিযান ঘন ঘন পরিচালনা করবেন বলে আশ্বাস দেন ওই কর্মকর্তা।
বিএসটিআই সূত্র জানায়, সাধারণত শবে বরাতের পর রমজানকে সামনে রেখে বিএসটিআইয়ের ভেজাল বিরোধী অভিযান শুরু হয়। তবে বিএসটিআই অভিযানে প্রাথমিকভাবে ভেজাল প্রমাণ হলেও ওই প্রতিষ্ঠানের বিপণনকৃত পণ্য তাৎক্ষণিকভাবে জব্দ করার ক্ষমতা নেই মান নিয়ন্ত্রণকারী এই সংস্থার হাতে। ঢাকা থেকে ল্যাবরেটরি রিপোর্ট পেলে তবেই পণ্য জব্দ করা যায়। কিন্তু নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকা পাঠানো হলে রিপোর্ট পেতে অনেক সময় ১০ দিন থেকে এক মাস পর্যন্ত সময় লাগে। ভেজাল সন্দেহে জব্দকৃত ঘিয়ের নমুনা চট্টগ্রামে পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও লোডশেডিং ও জনবল সঙ্কটে এই রিপোর্টও ১০ দিনের আগে পাওয়া যায় না। এই অবস্থায় বিএসটিআইকে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে।
জানা যায়, বিএসটিআই কুমিল্লা জেলায় ১৭টি উপজেলা থাকলেও অভিযান পরিচালনার মতো লোক আছে মাত্র ৩ জন। যদিও অভিযানের জন্য অনুমোদিত জনবল ১১ জন ইন্সপেক্টর ও ১১ জন ফিল্ড অফিসার মিলিয়ে মোট ২২ জন। সীমিত জনবলের কারণে কখনোই তাদের পক্ষে একটির বেশি অভিযান চালানো সম্ভব হয় না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন