শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা

১২০৫৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ডের দাবি মন্ত্রণালয়ের, রমজানকে সামনে রেখে ভুক্তভোগীদের শঙ্কা

পঞ্চায়েত হাবিব | প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৩ এএম | আপডেট : ১২:০৯ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০১৯

গত ২৪ এপ্রিল রাত ৮টায় দেশে সর্বোচ্চ রেকর্ড পরিমাণ ১২,০৫৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন ১২ হাজার মেগাওয়াটের মাইলফলক বলে দাবি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৬২৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছিল। এর আগের বছর ৭ জুলাই দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রথমবারের মত ১১ হাজার মেগাওয়াটের মাইলফলক অতিক্রম করে। ওইদিন ১১ হাজার ৫৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছিল।
চাহিদার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা থাকলেও বিদ্যুৎ বিভাগ মানসম্মত বিতরণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে না পারায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সারাদেশের লাখ লাখ গ্রাহক। কিছুদিন থেকে রাজধানীর অনেক এলাকাতেই দিন-রাতে দুই-তিনবার বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। হঠাৎ করে মধ্যরাতে লোডশেডিং সাধারণ মানুষকে হতাশ করছে। এত বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরও অফপিক আওয়ার-এ লোডশেডিং নিয়ে গ্রাহকদের মনে প্রশ্ন জাগছে। লোডশেডিং আর বিদ্যুৎবিভ্রাট বিদ্যুৎ বিভাগের এ দুটি শব্দের অর্থ এখনো সাধারণ গ্রাহক পর্যায়ে পরিস্কার হয়নি। রাজধানীর বাইরে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকেও লোডশেডিংয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সারাদেশের বেশির ভাগ জেলা-উপজেলায় প্রায় প্রতিদিনই দু’বার থেকে তিনবার চলে বিদ্যুৎ যায়। আবার কোনো জেলা-উপজেলায় ঝড়-বৃষ্টিতে লাইন ছিঁড়ে গেলে তা ঠিক করার জন্য বার বার অভিযোগ দেয়ার পরের দিন কখনো বা এরও পরের দিন লাইন ঠিক করার জন্য কেউ আসে না। দিনের পর দিন চলে যায় বিদ্যুতহীন অবস্থায়। ভুক্তভোগিদের আশঙ্কা সামনের রমজান মাস নিয়ে। তখন এরকম লোডশেডিং হলে প্রচন্ড গরমে মানুষকে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হবে।
গত ১১ এপ্রিল আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে ও আসন্ন রমজান মাসে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির সার্বিক বিষয়ে আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম বলেছেন, আসন্ন রমজান ও চলতি গ্রীষ্ম মৌসুম লোড শেড মুক্ত রাখা হবে। কারিগরি কারণে মাঝে মাঝে বিভ্রাট হতে পারে কিন্তু কিছুতেই লোড শেড করার প্রয়োজন হবে না। বাসাবাড়িতে যে সব ইলেকট্রিশিয়ান কাজ করে তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সনদ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রমজান মাসে দোকানপাট, মার্কেট ও বিপণী বিতানসমূহ খোলা রাখার বিষয়ে বিদ্যমান আইন অনুসরণ করা এবং চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে ও আসন্ন রমজান মাসে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধিকরণ, সুপার মার্কেট, প্রেট্রোল পাম্প ও সিএনজি গ্যাস ষ্টেশনে প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাতি ব্যবহার না করা, ইফতার ও তারাবীর সময় এসি ব্যবহার সীমিত রাখা, বিদ্যুতের অপচয় রোধে সিএফএল বাল্বের পরিবর্তে এলইডি বাল্ব প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহন করা, কোন এলাকায় লোডশেড করতে হলে লোডশেডিং সম্পর্কে গ্রাহককে পূর্বেই অবহিত কর এবং টেকনিক্যাল কারণে বা অন্য কোন কারণে যেন লোডশেড না হয় সেদিকে সজাগ থাকা, ইফতার, তারাবীর নামাজ ও সেহেরীর সময়ে লোডশেড না করা, পিক আওয়ারে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ইনকিলাবকে বলেন, আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ২৪,০০০ এবং ২০৩০ সালে ৪০,০০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হচ্ছে। প্রায় ৬ হাজার কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন এবং ১ লক্ষ কিলোমিটার বিতরণ লাইন ও প্রয়োজনীয় উপকেন্দ্র নির্মাণ/ ক্ষমতা বর্ধন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাথমিক জ্বালানির সরবরাহ নিশ্চিত করা বিদ্যুৎ উৎপাদনে বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা। সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০২১ সালের মধ্যে প্রায় ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সংস্থান করা। ২০২১ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ন্যূনতম ১০% নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে উৎপাদন হবে। আমরা আগমিী ২০২২ সালের মধ্যে প্রায় ২,০০০ মেগাওয়াট নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনে এগিয়েছি।
জানাগেছে, কুড়িগ্রাম জেলা সদর, উলিপুর, চিলমারী, রংপুরের মিঠাপুকুর, বদরগঞ্জ, গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ, পলাশবাড়ী, বগুড়া সদর, নাটোরের লালপুর উপজেলা, মুন্সিগঞ্জ, সাভারসহ রাজধানী ডেমরা, খিলগাঁও, বাসাবো, রামপুরা, বনশ্রী, মুগদা, বনগ্রাম, ওয়ারীসহ পুরান ও নতুন ঢাকার অনেক এলাকা থেকেই গত এক মাসে দিন-রাতে কয়েকবার বিদ্যুৎবিভ্রাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দেশের বিভিন্ন জেলা পর্যায়ের গ্রাহকদের অভিযোগ বেশি। বিদ্যুৎ বিভাগের দাবি, স¤প্রতি বেশ কয়েকটি কালবৈশাখীর কারণে কোন কোন এলাকায় বিদ্যুৎবিভ্রাটের ঘটনা ঘটেছে। এখন পরিস্থিতি ঠিক হয়ে গেছে। তবে গ্রাহকদের অভিযোগ, ঝড়-বৃষ্টি ছাড়া ভালো আবহাওয়াতেও বিদ্যুৎ যাওয়ার ঘটনা ঘটছে।
ঢাকা সাভারে বাসিন্দা সাব্বির আহমেদ বলেন, গত কয়েক দিন ধরে ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যায়। সে কারণে রাত সাড়ে ১১টায় সানের লেখাপড়া শেষ করে ঘুমানো হচ্ছে। প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষার পর বিদ্যুৎ আসে। তিনি বলেন, আগে তুলনায় স¤প্রতি ওই এলাকায় প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার বিদ্যুৎ চলে যায়। কখনো ১০-১৫ মিনিট পর চলে এলেও কখনো আবার আসতে দেরি হয়। একই ধররে অভিযোগ সারাদেশে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের।
পুরান ঢাকার সোহেল বলেন, সব সময় বাসায় থাকা হয় না। তাই ২৪ ঘণ্টার হিসাব নেই। তবে সকাল ও রাত মিলিয়ে যেটুকু সময় বাসায় থাকা হয়, মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে আগের মতো নয়। মতিঝিল এলাকার রানা হানিফ বলেন, বিদ্যুৎ আগের চেয়ে দিনে দু’বার থেকে তিন বার যায়। বিদ্যুৎ গেলেও বেশিরভাগ সময় তাড়াতাড়ি চলে আসে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার জাহাঙ্গীর আলাম বলেন, দিনই বিদ্যুৎ যাওয়ার ঘটনা এখন প্রতিদিনে ঘটছে। কখনো ১৫ মিনিট পর আবার কখনো আধা ঘণ্টা, কখনো এক ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ আসে।
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার কৃষক আব্দুল মালেক জানান, এখন বিদ্যুতের লাইন সংযোগ বেশি দিয়েছে। কিন্তু এলাকায় বেশি বেশি বিদ্যুৎ থাকে না। সকালে গেলে বিকালে আসে। সন্ধ্যায় গেলে রাত ১২টায় আসে। তিনি বলেন, আর যদি এলাকায় ঝড়-বৃষ্টি হয়ে লাইন নষ্ট হয় তা হলে ভাল হতে দিন থেকে দুই দিন সময় লাগে।তার পরও পল্লী বিদ্যুতের লোককে টাকা দিতে হয়। মুন্সীগঞ্জের বাসন্দিার কামাল হোসেন বলেন, প্রায় প্রতিদিনই কয়েকবার বিদ্যুৎ চলে যায়। এক- দেড় ঘণ্টার আগে আসে না। বিদ্যুৎ অফিসে বার বার ফোন দিতে হয়। এর পরে বিদ্যুৎ আসে।
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) পরিচালক (অপারেশন) প্রকৌশলী এটিএম হারুন অর রশীদ ইনকিলাবকে বলেন, রাজধানীর অধিকাংশ বিতরণ লাইন দীর্ঘদিনের পুরনো। এছাড়া লাইনের ওপর গাছপালা রয়েছে। ঝড় হলে বা অনেক সময় একটু বেশি বাতাস হলেও ডালপালা এসে লাইনের ওপর পড়ে। তখন বিদ্যুৎবিভ্রাটের ঘটনা ঘটে। সিস্টেম অটোমেটিক না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা খুঁজে পেতে বিলম্বের কারণে অনেক সময় গ্রাহক ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। এরপরও নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়ার বিষয়ে এ খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজধানীসহ সারাদেশের বেশিভাগ জেলা শহরে পুরনো ও জরাজীর্ণ লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। তাই বড় ধরনের ঝড় হলে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হয়। অনেক এলাকায় সামান্য বাতাস হলেও নিরাপত্তার স্বার্থে স্থানীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়। গ্রামাঞ্চলে নতুন লাইন হলেও অনেক স্থানেই ওভারলোড। জরাজীর্ণ লাইনের পরিবর্তন ও ওভারলোড এলাকায় হেভি ট্রান্সফরমার স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎবিভ্রাট নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। এ জন্য বিপুল পরিমান টাকার প্রয়োজন।
বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে জানা গেছে, গত এক দশকে (২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত) দেশে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা ও বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা- দুটিই প্রায় চারগুণ বেড়েছে। ২০০৯ সালে বিদ্যুৎকেন্দ্র ছিল ২৭টি। ১০ বছরে (২০১৯ সাল) ১০৩টি বিদুৎকেন্দ্র স্থাপিত হয়ে বর্তমানে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩০এ। ২০০৯ সালে ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা থেকে বর্তমানে ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৩৪০ মেগাওয়াটে।বর্তমানে দেশে প্রতিদিন গড় বিদ্যুৎ চাহিদা প্রায় ১০ হাজার মেগাওয়াট। তা ‘অফপিক’ ও ‘পিক’ সময়ে কখনো ৮ হাজার থেকে ১১ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত ওঠানামা করে। গত ১০ বছরে দেশে ৩ হাজার ৪৯৩ সার্কিট কিলোমিটার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন বেড়েছে। এর আগে ২০০৯ সালে সঞ্চালন লাইনের পরিমাণ ছিল ৮ হাজার সার্কিট কিলোমিটার। তা এখন হয়েছে ১১ হাজার ৪৯৩ সার্কিট কিলোমিটার। একই সময়ে গ্রিড সাব-স্টেশনের ক্ষমতা বেড়েছে ২৪ হাজার ১০৬ মেগাভোল্ট অ্যাম্পিয়ার (এমভিএ)। ২০০৯ সালে তা ছিল ১৫ হাজার ৮৭০ এমভিএ। এখন বেড়ে হয়েছে ৩৯ হাজার ৯৭৬ এমভিএ। বিদ্যুৎ বিতরণ লাইনের পরিমাণও এই সময়ে ২ লাখ ৪৮ হাজার কিলোমিটার বেড়েছে। ২০০৯ সালে তা ছিল ২ লাখ ৬০ হাজার কিলোমিটার। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৮ হাজার কিলোমিটারে।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, এর সাথে ভয়াবহ বিদ্যুৎ সংকট পানি সরবরাহসহ চিকিৎসা ব্যবস্থাকেও বিপন্ন করে তুলছে। চলমান এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের চরম বিড়ম্বনায় ফেলছে বিদ্যুৎ সংকট। দক্ষিণাঞ্চলের অনেক এলাকাতেই রাত ১২টার পরেও লোডশেডিং অব্যাহত রয়েছে। সোমবারও সকাল থেকে দফায় দফায় নগরীর কাশিপুর ৩৩কেভি সাব-স্টেশনের আওতাভূক্ত এরাকায় বিদ্যুৎ সংকট অব্যাহত ছিল। সন্ধ্যা ৭টার দিকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হলেও এর পরে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে লোডশেডিং।
বিদ্যুৎ বিতরন ও সরবরাহ ব্যবস্থার মত অতি স্পর্শকাতর বিষয়টির কাঙ্খিত উন্নয়নে ওজোপাডিকো’র দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের দায়িত্ববোধ বৃদ্ধিরও তাগিদ দিয়েছেন মহলটি। তবে কাশীপুর সাব-স্টেশনের ট্রান্সফর্মারের সমস্যা সমাধানে আজকালের মধ্যেই সেখান থেকে হাতেম আলী কলেজ ফিডারটি আলাদা করে রূপাতলী থেকে ফিড করার ব্যবস্থা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওজোপাডিকোর কর্মকর্তাগন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন