রকি মাহমুদ
অনামিকা মানবী
অতলান্তিক ছুঁয়ে যাবো হৃদয়ের অণু-পরামাণু
স্পর্শের সৌরভে পূর্ণ করে দেবো জীবনের অলিগলি
ওষ্ঠের স্পর্শে ঝরাবো শিশির শরীরের দুর্বাতে
কুড়িয়ে নেবো শিশির সিক্ত রজনীগন্ধ্যার উন্মাতাল গন্ধ
মিশে যেতে চাই তোমার অনিন্দ্য শরীর সৌধে
হতে চাই দ্রবণ ৪টি চোখের বিলাসী চাহনির ঝিলিকে
পৌঁছে যেতে চাই সুখের স্টেশনে, মনের জংশনে
কীর্তিমান যৌবনের সাক্ষী সেই অনামিকা মানবীতে
অনন্ত দিনের সমর্পিত ঠোঁট রাঙাতে চাই উষ্ণ্যোষ্ঠে
অথবা জ্বলে যেতে চাই দৃশ্যের বাইরে থেকে
অদৃশ্যের সমান্তরালে, ধুপের মতো নীরবে নিভৃতে।
এস এম রাকিব
জ্যোস্নারা টুপ্ টাপ্ ঝরে পড়ে
জ্যোস্নারা টুপ্ টাপ্ ঝরে পড়ে
পাহাড়ের গায়, বাতাসে
রুপালী স্পন্দন জাগে।
স্বপ্নেরা সপ্ত আকাশ বিচরণ করে
পরীদের ডানায়, কৃষ্ণচূড়ার রঙ লাগে
জ্যোস্নারা পুলকিত হয়
শোড়ষীর অপলক দৃষ্টির মতো।
ওরা শহর ছেড়ে পালিয়েছে
অনেক আগে, মাটিতে নামতে পারে না
কারো রঙিন বুকে আরো কিছুটা
রঙ ছড়াতে পারে না। এখানে
সর্বত্র পড়ে আছে বিদ্যুতের আলোর কঠিন প্রলেপ, গ্রামেও আজ ওদের
বড় দুঃসময়। এক সময় ওরা দেশান্তরিত হবে,
বনে বাঁদাড়ে ফুল পাখি আর প্রজাপতিদের মাঝে হারিয়ে যাবে বেওয়ারিশ স্বপ্নের মতো।
আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখার সময় নেই
হয়ত চাঁদের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে।
আমাদের অকৃতজ্ঞ মনটাকে আর কখনো
ফিরিয়ে আনতে পারবো কি?
চাঁদের জগতে, জ্যোস্নার জগতে,
যেখানে নিজেকে পাওয়া যায়-
একান্ত আপন করে।।
এনাম রাজু
পৃথিবী আমাকে সাজায়
মুচিদের কাছ থেকে শিখি জীবন মেরামত
যেভাবে ছেঁড়া-ফাড়া জুতোকে দেয় নহলযৌবন
ধোপার কাছে পাঠ করি ময়লার ইতিহাস
পরিচ্ছন্ন করতে এক থালায় ভোজন।
মেথরের কাছে প্রতিদিন পাই কর্মের ফর্দি
সমাজকে দিতে সুরভী সুবাস।
পাখির কণ্ঠে শুনি কথনের কৌশল
শব্দাস্ত্রে যেনো কেউ না ক্ষত।
প্রকৃতির কাছ থেকে আসে বদলের গান
তারই মতো বদলাই প্রয়োজনে চেনা-জানা সুখ।
এভাবেই বৈভবে ভরে উঠে শিখনের চোখ
এভাবেই পৃথিবী আমাকে সাজায়...
ষ শিল্পী ভেনগঘ
লুৎফুন নাহার লোপা
ত্রæটি
একবার মনে পড়ে গেল
যাদের একদা ভালোবাসতাম আমি,
নতুন প্রেম সংগ্রহ করতে গিয়ে
অনেকেই সময় অতীত হওয়ার আগেই
দাহ করে ফেলছে নিজেকে, তারপর
নতুন হাত-পা গজানোর সাথে সাথে
পরিচিত হচ্ছে সদ্য অঙ্কুরিত চারার মত।
খুঁজে দেখি
গাছেরা প্রতিবাদ করছে না তাতেও।
অথচ নিজের ত্রæটিগুলো আকাশে ছড়িয়েই
আমি নিজেকে মানুষ ভাবতে শিখেছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন