নিঃশব্দ আহামদ
অবসন্ন দিনের কাছে আততায়ি বিকেল
এই দীর্ঘ আলাপ
ভেবে নিতে পারো কোনো পথচারির
যে পথভুলে ডেকে ছিলো কাছে,পাš’সখা
তারপর অনেকটা দ‚র হেঁটেছিলাম
বিকীর্ণ পথ ধরে৷
দলিত ঘাসের উপর রোদের আল্পনা
সবুজ জীবন দ্যাখে দ্যাখে আরও অনতিদ‚র
কুয়াশার ভেতর হেঁটে যেতে যেতে গুম হয়ে গেছি কবে
আততায়ি ছিলো ঠিক কে?তুমি না এই অন্ধকার৷
আরও বিকেল ,প্র¯’ানের বিষাদ লেপ্টে থাকে দিনান্তে
মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে কোথাও এক নগর
ভেজা চোখে আমি শুধু ভাবতে থাকি সে সব কথকতা
আমাদের আর হাঁটা হবেনা ,কতোটা ক্লান্ত তুমিও অবশেষে৷
সব সকালে আমি থাকবো ঘুমের ভেতর
অনুশীলনের নামে আড়মোড়া ভাঙে কোথাও সঙ্গপ্রিয় হাত-দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে ভোরের গানে নিখোঁজ হয়ে যাবে
একদিন পৃথিবীর সমস্ত গল্প ৷
হায় সখা!জলেভেজা এ চোখ ,সংবরণ রেখো এইসব উৎসবি
উলাসের ভেতর,এখানেই এঁকে যাবো অন্তিম সুখ৷
খান রোকনুজ্জামান
দ্রোহপুত্র
হঠাৎ চাপা কান্নায় - অন্তু আজও জেগে ওঠে,
ঘুম জড়ানো চোখ কচলাতে কচলাতে-
পাশে টাঙানো ছেঁড়া কাঁথায় ঘেরা নির্মমতা-
তার কাছে নিত্যকার নিদ্রা সংহারী।
স্বপ্ন বিলাসী কচি মনের রঙিন দুনিয়ার আশায়
ঘোর লাগা ছোট্ট স্বপ্নটাও অবিরত পালিয়ে বেড়ায়।
এক জোড়া ছায়া শরীরের জৈবিক পাশবিকতা
ছোট্ট অন্তুকেও দ্রোহপুত্র হতে শেখায়।
পৃথিবী যে আজ দু’ভাগে বিভক্ত-
এই অল্প সময়েই সে বেশ ভালো বুঝে গেছে।
যুদ্ধ আজ শুধু তেপান্তর প্রান্তরেই নয়-
জীর্ণ কুটিরেও অবলীলায় তার অনুপ্রবেশ।
অথচ নোনতা মাংসের ওপরে হলদে দাঁতের -
অবিরাম নিষ্ঠুরতায় - অস্ফুট সলজ্জ বাঁচার আকুতি -
উর্বরায় আরও একটি অমানুষের বীজ বোনে।
বীথি রহমান
পলাতক
যদি আমাদের এক হয়ে যাওয়ার গল্প ওদের কানে পৌঁছায়
যদি ঘুণাক্ষরেও খোঁজ পেয়ে যায় আমাদের আবাসস্থলের;
তবে আগুনের লাভায় ধ্বংস করে দেবে সব
বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে দেবে শহরময়!
রাস্তাঘাটে পয়েন্টে পয়েন্টে বসিয়ে দেবে চেকপোস্ট
আমাদের ধরিয়ে দিতে ঘোষিত হবে পুরস্কার ;
একবার যদি পেয়ে যায় সামান্য নিশান
তবে ওরা হুলুস্থুল বাঁধিয়ে দেবে শান্তির রাতে।
তাই বলি, এসো চুপ করে থাকি এসো চুপেচুপে ভালবেসে যাই
এসো ঘরছাড়া হয়ে ঘর করি পথের ধারে!
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন