মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

অর্ধলাখ মানুষের ভরসা বাঁশের সাঁকো

সাতচল্লিশ বছরেও সেতু নির্মাণ হয়নি

পাবনা থেকে মুরশাদ সুবহানী | প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

পাবনা সদর উপজেলাধীন সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের কামারডাংগা-চরপাড়া এলাকায় ইছামতির নদীর শাখা বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে ১০টি গ্রামের প্রায় অর্ধ লাখ মানুষকে। যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হলো বাঁশের সাঁকো। বর্ষাকালে দুর্ভোগ আরও বাড়ে। নদীতে পানি থাকায় পারাপারে বাঁশের সাঁকো তখন একমাত্র ভরসা হয়। বর্ষার প্রারম্ভেই এলাকার মানুষ বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদা তুলে নিজেদের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন। প্রতি বছর এই সময় সাঁকো তৈরি করতে হয়। বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গ্রামের মানুষজন, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের চলাচল করতে হয়। এই স্থানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের ।

সদর উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের কামারডাংগা, ঢালিপাড়া, মোল্লাপাড়া, চরপাড়া, দাসপাড়া, বেড়পাড়া, তেলীগ্রাম, মুন্সীপাড়া, ফারাদপুর, শাঁখারীপাড়ার জনগণেকে গ্রাম থেকে শহরে আসতে হলে ইছামতীর শাখা ছোট নদীটি পার হতে হয়। নদীতে সেতু না থাকায় এসব গ্রামের মানুষজন ১২০ ফুট লম্বা বাঁশের সাঁকো দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন।

এলাকার কৃষকরা তাদের কৃষিপণ্য নিয়ে হাটে যাওয়ার জন্য সাঁকোর ওপর দিয়ে মাথায় ধানের বস্তা ও অন্যান্য কৃষি পণ্য নিয়ে সাঁকো পার হন। ভার বহনের ফলে যে কোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

কৃষকরা জানান, বেশ কয়েকবার বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হওয়ার সময় নদীতে পড়ে আহত হয়েছেন অনেকেই, সেই সাথে নষ্ট হয়েছে কৃষিপণ্য। চরপাড়া গ্রামের আব্দুল গফুর জানান, স্বাধীনতার পর থেকে আজ বাঁশের সাঁকো দিয়ে গ্রামের মানুষজন পারপার হচ্ছেন।

পাবনার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিম জানিয়েছেন, ঐ স্থানের সড়ক ও সাঁকো নির্মাণ এলজিইডির আওতাভুক্ত নয়। যে কারণে এই দপ্তর এখানে সেতু ও এ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণ করতে পারছে না, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়া গেলে তারা টেন্ডার আহ্বান করে কাজটি করতে পারবেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন