শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

মীরসরাইয়ে কৃষক ব্যস্ত চাষাবাদে

ইমাম হোসেন, মীরসরাই, (চট্টগ্রাম) থেকে : | প্রকাশের সময় : ২ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০০ এএম

মীরসরাইয়ের কৃষক এখন রোপা আমন নিয়েই ব্যস্ত। উপজেলার কৃষক ও কৃষি শ্রমিকরা রোপা আমন নিয়ে ফসলের মাঠে। বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন করে তা জমিতে লাগানোর কাজে মাঠ জুড়ে যেন কর্মব্যস্ততার মহোৎসব।

কৃষকদের যেন নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই, মাঠের পাশে একটু ছায়াতে বসেই সেরে নিচ্ছে কৃষক শ্রমিকের দুপুরের আহার। আর কৃষাণীরা ব্যস্ত কৃষকদের আহারের জোগানে। কয়েকদিনের বৃষ্টির পানিতে আমনের জমি তৈরি, বীজতলা থেকে চারা তুলে তা জমিতে লাগানো চলছে সর্বত্র। বৃষ্টির পানিতে এই ধান ভালো হয় বলে রোপা আমন ধান চাষে খরচও কম লাগে।

মীরসরাই উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এখানে ২০ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর বর্ষায় কিছু কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় এবার ঝুঁকিপূর্ণ জমিগুলো ব্যতিরেকে উত্তম ও ঝুঁকিহীন জমিগুলোতে চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে বলে জানান উপজেলা কৃষি সুপারভাইজার কাজী নুরুল আলম। তিনি আরো জানান উপজেলা ব্যাপি ৩০ হাজার কৃষক এবার আমন চাষাবাদ করছে। অধিকাংশ কৃষকই কয়েকজন করে শ্রমিক নিয়ে মাঠে কাজ করাতে হচ্ছে । কারণ আর মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই আবাদ শেষ করে ফেলার লক্ষ্য সকলের।

খৈয়াছরা গ্রামের ফসলের মাঠে ব্যস্ত নাজিরপাড়ার কৃষক কবির আহমদ (৫৫) বীজতলা থেকে রোপা আমন তুলছিলো বেশ কিছু শ্রমিক নিয়ে। এসময় কর্মব্যস্ততার ফাঁকে কৃষক কবির আহমেদ জানান ৫ কানি জমিতে তিনি প্রতি বছর আমন চাষ করেন। এতে ব্যয় হয় প্রায় ৭০ হাজার টাকা।

নিজের ও পরিবারের সারা বছরের প্রয়োজন সেরে আরো দেড় লাখ টাকার ধান বিক্রি করেন তিনি। এখন দিনে ৫ জন করে শ্রমিক নিয়ে সকল জমিতে রোপা আমন নিয়ে ব্যস্ত তিনি। প্রতিদিন উত্তর বঙ্গ থেকে আসা ১জন শ্রমিককে খাওয়া থাকার ব্যবস্থার পর ও আরো ৫০০ টাকা করে দিতে হয়। তবে কাজের সময় ও পরিমান বাড়িয়ে তা পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন তিনি ও শ্রমিকরা। এভাবেই উপজেলার প্রান্তিক থেকে ছোট বড় সকল কৃষকই ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন।

মীরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ জানান, উফশী, ব্রিধান-৪৮, ব্রিধান-২৮, ব্রিধান-৫৫, পারিজা, জিরাশাইল এবং নেরিকা জাতের আমনই বেশী চাষাবাদ চলছে। আশা করা হচ্ছে প্রাকৃতিক কোন দূর্যোগ ছুঁতে না পারলে প্রায় ৮০ হাজার টন চাল উৎপাদনে সম্ভব হবে পুরো উপজেলায়। যা এলাকার চাহিদা যোগান দিয়ে সরকারি কোষাগারে ও অনেক চাল জমা করা সম্ভব হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন