শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সাহিত্য

এ সপ্তাহের কবিতা

| প্রকাশের সময় : ১৬ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০২ এএম

আশুতোষ ভৌমিক
চতুর্পদী


গোধূলির ধূলি
আর তোমার পদধূলি
পাশাপাশি হাঁটে পথ
উড়ায় জলাঞ্জলি।

বৃষ্টি হচ্ছে সৃষ্টি হচ্ছে
জলভরা জঞ্জাল
মহাকালে মহাকাশ
ধূসরিমা উচ্ছাস।


শোয়েব পাঠান
করতলগত

ধেনুর পালে একটি রাখাল
একটি রাখাল মেষের দলে
যুক্তি করে দুই রাখালে
এক মনিবের কথা-ই বলে

আকাশনীলে একটি পাখি
একটি পাখি মাটির ঘরে
ইচ্ছে করি ধরবো পাখি
ঘুরে বেড়াই বনবাঁদারে


জাফর পাঠান
দোহাই তোমাদের

দোহাই তোমাদের,
ভেবোনা বানভাসিরা ভাসমান খড়কুটো !
কচুরিপানার মত ভেসে বেড়ানো ওদের অভ্যাস
একবেলা খাবে- দুবেলা খাবেনা
চুলায় জ্বলবেনা আগুন !
এরই নাম জীবন !!!

মনুষ্যত্বের দিব্যি দিয়ে বলছি তোমাদের
ভেবোনা- ওদের নাই নিদ- নাই ক্ষিধ
এমনিতেই ওদের সমস্যা বহুবিধ !
সময় হলেই ঠিক হয়ে যাবে ওসব
ধরুক যতই রাষ্ট্রযন্ত্রের উপর জিদ ।

পঞ্চানন মল্লিক
স্পর্শীতাকে স্পর্শের আগে

স্পর্শীতাকে স্পর্শের আগে প্রবল
ভূমিকম্প হচ্ছিল,
জলে ভেসে যাচ্ছিল বাঁধ,মাঠ,গ্রামান্তর।
প্রবল বেগে বয়ে যাওয়া নদীরও
যে জ¦র হতে পারে
জেনেছে তা মাছের বসন্তকাল।
কেবল অমানিশায় অনুচক্রিকার অস্থির রনন,
সময়োপযোগি কিছু স্বপ্ন চাষ,
কদম মোথিত পথে জড়ায়ে যে বৃষ্টির বাস।
তুমুল ফুল ফোঁটাবার লোভে
তলপীতলপাসহ নেমে এসেছিল বাসর রথ,
হতে মগ্নতার বিলাস নিয়ে উয্যাপিত লগন..
স্পর্শীতা (চমনবাহারের কৌঁটায়
মোড়া এক আরাধ্য প্রিয়া)
আঁচলে বেঁধে নিয়ে এসেছিল ইরাঞ্চি ফুল।
বর্ষায় ভেসে যাওয়ার আগে যা
ফুঁটিয়েছিল সুঠাম ভূঁই,
তখন উড়াল নদীর উপাখ্যান
ভেঙেছিল বাগান জুঁই।

জুবায়ের দুখু
খোয়াবনামা

খোয়াবে মধ্যকর্ষ বৃক্ষবিহীন পাতা
পালকে পালকে আহত ক্রোমোজোম।
তুমি সর্বদা চেয়ে থাকো পূর্ব পশ্চিম পবনে। রবির অপেক্ষায় আলোকের খোঁজে।
হতাশার চাদর গুমরাইয়া গুমরাইয়া ঘুমাই নিহত হৃদয়ে। স্পর্শ কাতর যতো বেদনাবোধে।
তুমি কথা কও, যেন হ্যামিলিয়নের বাঁশি বিষণ্ণতার সুর তোলে খোয়াবনামার ফাঁকেফাঁকে। তুমি পাখি অথচ পালকহীন। কোনো বৃক্ষ হারা ঝড়া পাতা।
তন্দ্রাহীন গভীর নিদ্রাবেশে তোমাকে খোয়াবে দেখাও একটি বিষাদ চিহ্ন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন