শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

আলু নিয়ে বিপাকে কৃষক

ইসমাইল খন্দকার, সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে কোল্ড স্টোরে মজুতকৃত আলু বিক্রির মৌসুমের আড়াই মাসে ১৫% বিক্রি হয়েছে। বাকি ৮৫% আলু বিক্রি হচ্ছে না। 

সিরাজদিখান উপজেলার হিমাগারে সংরক্ষিত আলু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকসহ হিমাগার মালিকরা। উৎপাদনের খরচের তুলনায় বাজারে আলুর বিক্রি মূল্য কম থাকায় সংরক্ষিত আলু হিমাগারেই পড়ে আছে। বছর বছর লোকসানের কবলে পরে উপজেলার অধিকাংশ কৃষক আলুতে নি:স্ব হয়ে পড়েছেন।
হিমাগার সূত্রে জানা যায়, ১০টি হিমাগারে মোট প্রায় ৭৮ হাজার ৯৬০ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা থাকলেও চলতি বছরে ৫০ কেজি বস্তায় মোট ৬২ হাজার ৫শ’ মেট্রিক টন আলু মজুত করা হয়। গত আড়াই মাসে খাবার আলু বিক্রি হয়েছে ৯ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন। বর্তমানে হিমাগারে বীজ আলু আছে ৯ হাজার ৮শ’ মেট্রিক টন ও খাবার আলু ৪২ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন যা ২ মাসে বিক্রি করতে হবে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ২ শত ৫০ হেক্টর জমি আলু চাষ কম হয়েছে। কিছুদিন পর উত্তর বঙ্গের নতুর আলু বাজারে নামলে হিমাগারের আলুর চাহিদা ও দাম কমতে শুরু হবে। প্রতিদিন গড়ে ১ শ’ ৮০ থেকে ৯০ মেট্রিক টন আলু দেশে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হলেও নতুন আলুর আসার আগে মাত্র ১০ হাজার ৮শ’ মেট্রিক টন বিক্রয় করা সম্ভব হবে। বাকি ৩১ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন আলু হিমাগারেই থেকে যাবে। যদি প্রতিদিন ১৮০ মেট্রিক টন আলুর দ্বিগুন আলু বিক্রি হয় তাহলেও আলু থেকে যাবে। অপর দিকে হিমাগার মালিকদের প্রায় ৫ কোটি টাকারও বেশি কৃষকদের লোন দেয়া হয়েছে। আলুর দাম কম থাকায় হিমাগার মালিকদেরও টাকা কেউ দিচ্ছে না।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে ৯ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। ২০১৯ সালে ৯ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে।
রামানন্দ গ্রামের আলু চাষি মো. জাকির হোসেন মুন্সী বলেন, এ বছর ১৫ হাজার বস্তা হিমাগারে রেখেছি। ৫৬০ টাকা দরে আলু কিনে বিক্রি করতে হচ্ছে ৪৫০ টাকা। আরো বলেন, এ দেশে আলু নিয়ে লেখে কোন লাভ নেই। আমাদের লোকসানে সরকার কি আমাদের টাকা দিবে? সরকারের কৃষক নিয়ে ভাবার সময় নেই। আলু নিয়ে কথা বলতেও এখন খারাপ লাগে।
পাইকারী আলুর ব্যবসায়ী শবনম কোল্ড স্টোরেজ থেকে মহিউদ্দিন বেপারী বলেন, আমি এবছর ৬ হাজার ৭৭২ বস্তা আলু কিনেছিলাম। সব খরচ বাদ দিয়ে বস্তা প্রতি ২৫০ টাকা করে লোকসান হবে।
নাহার কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজার মো. হারুন অর রশিদ জানান, এ বছর হিমাগারে ৫০ কেজির বস্তা প্রতি ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা ভাড়া। তবে এবছর যারা লোন নিয়েছেন তারা হিমাগারে আসছেন না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় বলেন, গত বছর আবহাওয়া আলু চাষের অনুকূলে থাকায় কৃষকদের বালাইনাশকের খরচ অনেক কম হয়েছে এবং উৎপাদন খুব ভালো হয়েছে। দাম একটু কম হলেও এ উৎপাদিত আলু বিক্রি করতে পারলে কৃষকদের লোকসানটা পুষিয়ে যাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Rayhan ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৫০ পিএম says : 0
Why we are not trying to export ?
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন