বাংলাদেশের অর্থনীতির যে অপার সম্ভাবনা রয়েছে তা এ যাবত অর্জিত সাফল্যের বহুগুণ। বর্তমানে দেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৮% এর উপরে। প্রবৃদ্ধির এই হার সহজেই দুই অংকে উন্নীত করার মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা অপরিহার্য। বিনিয়োগের জন্য আর্থিক চাহিদা মেটাতে পুঁজিবাজারের গুরুত্ব অপরিসীম। পুঁজিবাজার এমন একটি মাধ্যম যাতে দেশের সাধারণ জনগণ (উদ্যোক্তা নয়) তাদের জমানো অলস অর্থ বিনিয়োগ করে, একজন প্রতিষ্ঠিত, অভিজ্ঞ উদ্যোক্তার ব্যবসায়িক অংশীদার হতে পারে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা নিজেদের পেশা ঠিক রেখে এটি বাড়তি উপার্জনের উৎস হিসেবে নিয়ে থাকে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের পুঁজিবাজার কী বিনিয়োগযোগ্য? বিনিয়োগযোগ্য পুঁজিবাজার বলতে টেকসই, স্থিতিশীল, গতিশীল, দক্ষ, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক বাজারকে বোঝায়। এর একটিও আমাদের বাজারে বর্তমানে বা বিগত বছরে ছিল কিনা, সেটা বুঝতে বিশেষজ্ঞ বা বিশ্লেষক হতে হয় না। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারী ছাড়াও দেশের জনসাধারণ যারা নিয়মিত পত্রিকা পড়ে, পত্রিকা খুলেই দেখতে পায় সূচকের পতন এবং এটা এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। একটি প্রবাদ আছে ঋঅঈঊ ওঝ ঞঐঊ ওঘউঊঢ ঙঋ গওঘউ. মুখই অন্তরের প্রতিচ্ছবি, তেমনি সূচকই পুঁজিবাজারের প্রতিচ্ছবি।
পুঁজিবাজারে সকল লিস্টেড কোম্পানির একটি নির্দিষ্ট সময় (মিনিট, ঘণ্টা, দিন, মাস, বছর) অন্তর গড় মূল্য পরিবর্তনই হলো সূচক, যা এখন ৪৪০৮ পয়েন্ট। এই সূচকটিকে বলা হয় ডিএসই ব্রড ইন্ডেক্স। সূচকটির ভিত্তি বছর ২০০৮, বেইজ প্রাইস ইন্ডেক্স ২৯৩১.৯১। প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় ২৮ জানুয়ারি ২০১৩, দিন শেষে সূচকটি ছিল ৪০৯০। বিগত বছরগুলোর যদি সূচকের মুভমেন্ট লক্ষ করি, তাহলে বের হয়ে আসবে পুঁজিবাজারের অস্থিরতার প্রকৃত চিত্র। ২০১৩ সালে সূচকটি চালুর বছর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৪৩৯ এবং সর্বনিম্ন ৩৪৩৮। সর্বনিম্ন স্তর থেকে পরিবর্তন হয়েছিল ২৯.১১ শতাংশ। ২০১৪ সালে সর্বোচ্চ ৫৩৩৪, সর্বনিম্ন ৪২৬৬, পরিবর্তন ২৫ শতাংশ। ২০১৫ সালে সর্বোচ্চ ৪৯৬৯, সর্বনিম্ন ৩৯৫৯, পরিবর্তন ২৫.৫১ শতাংশ। ২০১৬ সালে সর্বোচ্চ ৫০৩৬, সর্বনিম্ন ৪১৭১, পরিবর্তন ২০.৭৩ শতাংশ। ২০১৭ সালে সর্বোচ্চ ৬৩৩৬, সর্বনিম্ন ৫০৮৩, পরিবর্তন ২৪.৬৫ শতাংশ। ২০১৮ সালে সর্বোচ্চ ৬৩১৮, সর্বনিম্ন ৫২০৪, পরিবর্তন ২১.৪০ শতাংশ। ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ ৫৯৫০, সর্বনিম্ন ৪৩৯০, পরিবর্তন ৩৫.৫৩ শতাংশ। প্রতি বছর গড়ে সূচকটি ২৫.৯০ শতাংশ ওঠা-নামা করে অষ্টম বছর সূচকটি সূচনালগ্নের নিচে নেমেছে। উল্লেখ্য, এবছর ১৪ জানুয়ারি সূচক ছিল ৪০৩৬ পয়েন্ট। অথচ ২০১৩ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০০টিরও বেশি নতুন কোম্পানি বাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে এবং নতুন ও পুরাতন কোম্পানিগুলো প্রচুর রাইট, বোনাস শেয়ার দিয়েছে। কিন্তু এর কোনো ইতিবাচক প্রভাব সূচকে নেই। কারণ, শেয়ারের দাম ক্রমাগত কমে সূচক একই অবস্থানে রয়েছে। প্রায় ২৬ শতাংশ সূচকের ওঠা-নামা নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে স্বাভাবিক মনে হলেও সূচকটি অর্থনৈতিক অগ্রগতির সাথে তাল না মিলিয়ে পশ্চাদগামী হওয়া মোটেও স্বাভাবিক বা সুষ্ঠু বাজারের লক্ষণ নয়।
পুঁজিবাজার কতটা অস্থির, তা এই সূচকের গতিপ্রকৃতি দেখেই বোঝা যায়, প্রশ্ন হলো অস্থিরতা কেন? মোটা দাগে উত্তর, আস্থা নেই। এই আস্থাহীনতার বাজারে আমরা কীভাবে বিনিয়োগ করব বা আমাদের করণীয় কী? আমরা জানি, পুঁজিবাজারে সাধারণত তিন শ্রেণির বিনিয়োগকারী থাকে যথা: ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বিদেশি বিনিয়োগকারী। আমাদের দেশে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী সেভাবে গড়ে ওঠেনি। আর বিদেশি বিনিয়োগকারীদেরও আচরণ ‘দেশ বুঝে বেশ নেওয়া’র মতো পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলে বাজারের এই করুণ চিত্র। এই মুহূর্তে পুঁজিবাজারের প্রতি তথা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির প্রতি আস্থা থাকুক বা না থাকুক, আমরা যে কোম্পানিতে বিনিয়োগ করব তার প্রতি আস্থা আছে কিনা সেটা হলো বিবেচনার বিষয়। আস্থা বাড়াতে হলে কোম্পানি সম্পর্কে জানাশুনার পরিধি বাড়াতে হবে। আমাদের বুঝতে হবে, শিল্পায়নের এই যুগে একেক দেশের অগ্রগতি একেকভাবে হয়ে থাকে। একটি দেশের সব খাতই যে সমানভাবে প্রবৃদ্ধি হয়, এমন নয়। আবার প্রবৃদ্ধি একইভাবে অব্যাহত থাকে না। তাই আমাদের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের উচিত, কোন খাত দেশে গতিশীল তা বুঝে, সেই খাতের কোম্পানির মৌলভিত্তি বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া। যেহেতু পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ একটি জটিল প্রক্রিয়া এবং এই প্রক্রিয়ায় নিজস্ব একটা দর্শন থাকতে হবে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানি থাকে, সব কোম্পানি বিশ্লেষণ করা সম্ভব না, তাই অল্প কিছু কোম্পানি লক্ষ্য করে, গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে, নিজেদের আর্থিক সক্ষমতা বিবেচনায় রেখে বিনিয়োগ করতে হবে। উল্লেখ্য, বিশ্বে বড় বড় সফল বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিওতে কিন্তু খুব অল্পসংখ্যক কোম্পানি থাকে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে শুধু কোম্পানির ইপিএস, পিই বা এনএভি দেখলেই হবে না। আমাদের কোম্পানির ভ্যালু বা মূল্য খুঁজে বের করতে হবে। প্রাইস বা দামের চেয়ে কোম্পানির ভ্যালু বোঝাটা গুরুত্বপূর্ণ। ভ্যালু বুঝতে হলে কোম্পানির বার্ষিক প্রতিবেদন পড়তে হবে। বিগত পাঁচ-দশ বছরের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে, যে পণ্য বা সেবা উৎপাদন করে তার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বাজার, রপ্তানি বাজার, অন্য প্রতিযোগী কোম্পানি অথবা ঝুঁকির ব্যাপারগুলি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এটা চিরন্তন সত্য কথা, শেয়ার ব্যবসা ঝুঁকিপূর্ণ। শুধুই ঝুঁকি না, স্বল্প মেয়াদে এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে ঝুঁকি মুক্ত করে প্রচুর মুনাফা করা যায়। স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য যে ধরনের টেকনিক্যাল জ্ঞানের প্রয়োজন হয়। তার চেয়ে অধিকতর সহজ দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ। শুধু প্রয়োজন বিশ্লেষণী জ্ঞান ও ধৈর্য্যরে। বিনিয়োগ মানেই দীর্ঘমেয়াদি, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ যত দীর্ঘ হয় ঝুঁকির পরিমাণ তত কম। অপরদিকে স্বল্পমেয়াদিতে লাভ কম, ঝুঁকি বেশি। পুঁজিবাজার সবসময় ধৈর্য্যের পরীক্ষা করে এবং শেষে দীর্ঘমেয়াদে ধৈর্যশীলকে পুরষ্কৃত করে।
একটি ব্যাপার লক্ষণীয়, ২০১০-২০১১ সালে ধসের পরে যারা ২০১২-২০১৩ সালে ভালো মৌলভিত্তি কোম্পানিতে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করেছে, তারা এই বাজারেও লাভে রয়েছে। এর একমাত্র কারণ হলো চক্রবৃদ্ধি। চক্রবৃদ্ধি বিনিয়োগ অবিশ্বাস্য মুনাফা দিতে পারে, যা একটি গ্রোথ কোম্পানি তার মুনাফার টাকা পুনরায় বিনিয়োগের মাধ্যমে করে থাকে এবং বিনিয়োগকারী নিজ উদ্যোগেও লভ্যাংশের টাকা পুনর্বিনিয়োগ করে চক্রবৃদ্ধির সুফল নিতে পারে। তাই সর্বকালের সেরা বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন এটাকে পৃথিবীর অষ্টম আশ্চার্যের সঙ্গে তুলনা করেছেন। মেয়াদ যত বেশি হবে মুনাফার পরিমাণ তত বেশি হবে। একটি নির্দিষ্ট সময় পর, গড়ে শেয়ারের দাম কমে, উচ্চ ডিভিডেন্ড ইল্ড হয়ে থাকে। আমাদের পুঁজিবাজারে শত অব্যবস্থাপনার মধ্যেও উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক কোম্পানি রয়েছে, যেখানে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে ভালো মুনাফা পাওয়া যায়। শুধু ব্যর্থ নিয়ন্ত্রক সংস্থার দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজেদের বিশ্লেষণী জ্ঞান দিয়ে ভালো শেয়ার খুঁজে বের করতে হবে। আশার কথা হলো, বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসির এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ কোম্পানি আগামী বছর ভালো প্রবৃদ্ধি আশা করছে এবং বিশ্ব বিখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বস-এর বিশ্লেষণে এশিয়ার সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হবে বাংলাদেশের। সুতরাং এই প্রবৃদ্ধির সুফল পেতে হলে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের বিকল্প নেই। মনে রাখতে হবে, একমাত্র সময়ই ভালো কোম্পানির বন্ধু বিপরীতভাবে খারাপ কোম্পানির জন্য শত্রু হয়ে থাকে।
একটি প্রশ্ন প্রায়ই শোনা যায়, পুঁজিবাজার কি পেশা হিসেবে নেওয়া যায়? না, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে বিনিয়োগ পেশা হিসেবে নেওয়ার সেই সময় এখনো তৈরি হয়নি। কিছু লোকে বলে, ‘এটা এখন মানুষ পেশা হিসেবে নিয়েছে, যা ভালো লক্ষণ’ কিন্তু একথা যারা বলে এখানে তাদের স্বার্থ রয়েছে। একটু লক্ষ করলেই তা স্পষ্ট। পুঁজিবাজারকে পেশা হিসেবে নেওয়ার সেই আর্থিক সক্ষমতা আমাদের বাজারের নেই এবং সেই দক্ষতাও আমাদের বিনিয়োগকারীদের নেই। আমাদের বাজার ক্ষুদ্রবিনিয়োগকারী নির্ভর এবং তারা গুজবে বিনিয়োগ করে থাকে। ভেবে দেখার বিষয় হলো, বাজারে গুজব ছড়ায় কারসাজি চক্র, তারা নিজেরা ম্যানুপুলেট করার জন্য উপযুক্ত সময়ে, নিজেদের স্বার্থে গুজব ছড়ায়, ফলে ক্ষুদ্রবিনিয়োগকারীরা না বুঝে, অতি লোভে, প্রভাবিত হয়ে, তাদের কারসাজির অংশ হয়ে নিঃস্ব হয়। ভাগ্যক্রমে দুই/চারজন ঝড়ের মধ্যে পালতুলে পার পেয়ে গেলেও নিজেদের স্মার্ট ভাবার কোনো কারণ নেই। কারণ, বছর শেষে অতি লোভে তারাও তীরে এসে তরী ডোবায়। আমরা মাঝে মাঝে বিভিন্ন মাধ্যমে একটি আকুতি দেখতে পাই, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটু এগিয়ে আসুন, আমাদেরকে রক্ষা করুণ’, যা বিনিয়োগকারী হিসেবে এক প্রকার নির্লজ্জতা। কারণ, পুঁজিবাজার স্থিতিশীল ও টেকসই করা যেমন সরকারের দায়িত্ব, তেমনি বিনিয়োগকারী হিসেবে আমাদেরও বিনিয়োগ আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। পুঁজিবাজার কখনো সরল রেখায় চলে না, তাই অহেতুক আতঙ্কিত না হয়ে আমাদের বিনিয়েগের মানসিকতা রাখতে হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা আমাদেরকে মুনাফা দেবে না, এটা তাদের কাজও না, তাদের কাজ হলো একটি সুষ্ঠু, স্বাভাবিক, গতিশীল বিনিয়োগ ক্ষেত্র তৈরি করা, যেখানে তারা ব্যর্থতার রেকর্ড করেছে।
তাই আমাদের বুঝতে হবে, মুনাফা পাব আমরা কোম্পানির কাছ থেকে, লভ্যাংশ আকারে, যার মালিকানার অংশ আমরা ক্রয় করেছি। এখন ভেবে দেখার সময়, আমরা কী আমাদের সেই অংশীদারি কোম্পানির সঙ্গে ধৈর্য্য সহকারে লেগে থাকি? দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করার মানসিকতা কি আমাদের আছে? আমরা কী বিনিয়োগকারী না ফাটকা-কারবারী? পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে কেউ আমাদের বাধ্য করে না। বিনিয়োগকারীরা নিজেদের স্বার্থে বাড়তি উপার্জনের আশায় নিজ দায়িত্বে বিনিয়োগ করে থাকে। তাই বিনিয়োগে ঝুঁকির বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কৌশলী হতে হবে, দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে, পুরানো হলে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে হবে, ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে, সু-স্থির থাকতে হবে, জ্ঞানী ও সাহসী ব্যক্তিত্বের অধিকারী হতে হবে, আশাবাদী থাকতে হবে, কেননা, অজ্ঞ ব্যক্তির জন্য পুঁজিবাজার নয়। আবার পাশাপাশি মনে রাখতে হবে, পুঁজিবাজারে ভুল বা ইমোশনের কোনো জায়গা নেই, একটি ভুল পদক্ষেপ বিনিয়োগকে নিঃস্ব করে দিবে। তাই ভেবে চিন্তে কোম্পানির অতীত ইতিহাস পর্যালোচনা করে, বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, খাত, খাতের ঝুঁকি, আর্থিক ভিত্তি এবং অডিটর বিবেচনায় রেখে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করলে অবশ্যই পুঁজিবাজার থেকে মুনাফা করা সম্ভব এবং তা যে কোনো মানদন্ডে শ্রেয়।
লেখক: পুঁজিবাজার বিশ্লেষক
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন