ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউল করিম রাসেলর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা), পৌরসভার মেয়র এবং ৩ জন উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য স্বাক্ষরিত একটি র্যজুলেশনসহ অনাস্থা প্রস্তাব জানিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমশিনার বরাবরে লিখিত আবেদন জমা দেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান ও অন্য সদস্যরা এ অনাস্থা প্রস্তাব দেন।
অনাস্থা প্রস্তাবে বলা হয়, ফুলপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউল করিম রাসেল একজন স্বেচ্ছাচারী, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ব্যক্তি। তিনি রাষ্ট্রের হানিকর কাজে জড়িত এবং স্বজনপ্রীতি করে ইচ্ছাকৃত কুশাসন চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা পরিষদের সকল সদস্যগণের সাথে অসদাচরণ করে চলেছেন। সরকারি উন্নয়ন কাজে অহেতুক বাধা প্রদান করে চলছেন যাহা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার শামিল এবং প্রকাশ্যে কটুক্তি করেন। তার লোকজন দিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদেরকে প্রকাশে শারীরিক নির্যাতনসহ লাঞ্চনা করে যাচ্ছেন তিনি। এছাড়াও ইতিমধ্যে তিনি নিজে উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ একাধিক কর্মকর্তার সাথে অসদাচরন করেছেন। তার দ্বারা অত্র উপজেলা পরিষদ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
সার্বিক বিবেচনায় ফুলপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউল করিম রাসেলকে অপসারন করা একান্ত আবশ্যক মর্মে উপজেলা পরিষদের সদস্যগণ গত ২৯/০১/২০২০ তারিখে এক জরুরী সভায় তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রদানের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সেই সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ৬ ফেব্রæয়ারি দুপুরে বিভাগীয় কমশিনার বরাবরে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন।
এ ব্যাপারে ফুলপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউল করিম রাসেল বলেন, আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব প্রদানের বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। তবে কি কারণে আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন তা আমার জানা নেই। তিনি আরও বলেন, অনাস্থা দেয়ার মতো কোন কাজ আমি করিনি। এটা আমার বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র। এই বিষয়ে যে কোন স্থানে আলোচনায় বসে আমার সামনে কেউ যদি স্বেচ্ছাচারী, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী এবং রাষ্ট্রের হানিকর কাজ করেছি প্রমাণ করতে পারে তাহলে আমি পদত্যাগ করবো। দোষী হলে আমি নিজেই আমার ফাঁসি চাই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন