শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

বাঁশের চারাটেই পারাপার

চরম জনদুর্ভোগ

আফতাব হোসেন, চাটমোহর (পাবনা) থেকে | প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

পাবনার চাটমোহর উপজেলার ধানকুনিয়া গ্রামে গুমানী নদীতে একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগে পড়েছেন দুই পাড়ের ১৫টি গ্রামের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। দীর্ঘদিন সেতু নির্মাণ না হওয়ায় স্থানীয়রা নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে বাঁশের চারাট তৈরি করেছেন। সেই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন হাজারো মানুষ। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের চারাট দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্কুল-কলেজ, মাদরাসা শিক্ষার্থী, অসুস্থ রোগী ও এলাকার সাধারণ মানুষ। যাতায়াতের পথ না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের চারাট দিয়ে অনেক কষ্টে প্রতিদিন যাতায়াত করে সবাই। এলাকাবাসী জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে প্রশাসনের কাছে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসলেও কোনো কাজ হয়নি। এতে সবার মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। গুমানী নদীর তীরে রয়েছে একটি হাট, ধানকুনিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ধানকুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি কিন্ডার গার্ডেন স্কুল, একটি মাদরাসা ও কমিউনিটি ক্লিনিক। এছাড়া দুই পাড় মিলিয়ে রয়েছে প্রায় ১৫টি গ্রাম। সবগুলো গ্রাম মিলিয়ে ওই এলাকায় বসবাস করেন প্রায় ষাট হাজার মানুষ। সেতুর অভাবে বিন্যাবাড়ি, গৌরনগর, বরদানগর, লাঙলমোড়া, চরনবীণ, কুকড়াগাড়ি, কাটেঙ্গা, উত্তর সেনগ্রাম, দক্ষিণ সেনগ্রাম, নটাবাড়িয়া, মামাখালিসহ প্রায় পনেরটি গ্রামের মানুষ বর্ষকালে খেয়া নৌকায় নদী পারাপার হলেও শুকনো মৌসুমে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের চারাটে পারাপার হয়ে থাকেন। বিপদে পড়তে হয় স্কুল-কলেজ ও মাদরাসায় যাতায়াতকারী শিশু শিক্ষার্থীদের। সেতুর অভাবে ওই এলাকায় কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। এদিকে কোনো যানবাহন গ্রামগুলোতে প্রবেশ করতে না পারায় বেশি বিপাকে পড়তে হয় অসুস্থ ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেয়ার সময়। আর উপজেলার বেশির ভাগ কৃষি জমি ওই এলাকায় হওয়ায় কৃষকদেরও আবাদকৃত ফসল হাটে-বাজারে নিয়ে যেতে পারেন না। তাই ঘরে বসেই ফরিয়াদের কাছে কম দামে বিক্রি করতে হয়। আর বাঁশের ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে পারপার হতে গিয়ে পড়ে গিয়ে প্রায়শই বিভিন্ন যানবাহন চালকরা দুর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকেন। দুর্ঘটনার শিকার হয় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকরা সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় থাকেন।
এ ব্যাপারে নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খোকন বলেন, ‘সেতুর অভাবে সত্যিই ওই এলাকার মানুষের খুব কষ্ট হয়। অনেক দিন ধরে চেষ্টা করছি। এলজিইডি অফিসে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। তবে এমপি মহোদয় সেতু নির্মাণের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার মোহাম্মদ রায়হান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ ব্যাপারে জেনে আমি ডিসি স্যারকে জানাবো এবং অতিসত্তর ব্যবস্থা নেব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন