শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ধর্ম দর্শন

জিজ্ঞাসার জবাব

প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

১। মোহাম্মদ লাবীবুল বারী ওসাইদ, উত্তরা, ঢাকা।
জিজ্ঞাসা : সাখাওয়াত বা বদান্যতার মৌলিক গুরুত্ব কতখানি বিশ্লেষণ করুন?
জবাব : ঈমান গ্রহণের পর ইসলামের দুটি স্তম্ভ হচ্ছে নামাজ এবং যাকাত। যাকাতের মূল প্রেরণা হচ্ছে সাখাওয়াত ও বদান্যতা। এতে বুঝা যায় যে, ইসলামের দৃষ্টিতে এই নৈতিক শিক্ষার বিকাশ বুনিয়াদী কর্মকা-বিশেষ। যেভাবে নামাজ ইবাদত সকল প্রকার আল্লাহর অধিকারের বুনিয়াদী স্তম্ভ অনুরূপভাবে সাখাওয়াত এবং বদান্যতা বান্দাদের সকল প্রকার হক ও অধিকারের ভিত্তি। যতক্ষণ পর্যন্ত কারও মাঝে এই গুণের বিকাশ না ঘটবে তার মাঝে সমশ্রেণীর লোকদের প্রতি সহৃদয়তা প্রকাশ করা এবং ভালবাসার অনুপ্রেরণা পয়দা হবে না। এ জন্য ইসলাম যাকাতকে ফরজ করে মানুষের সেই প্রেরণাকে উজ্জীবিত করেছে।
সমগ্র কুরআনুলকারীম গভীর দৃষ্টিতে অধ্যয়ন করলে দান করা ও ব্যয় করা সংক্রান্ত অজ¯্র নির্দেশাবলীর সন্ধান লাভ করা যায়। বিশেষ করে সূরা বাকারাহর মাঝে আল্লাহর পথে দান করার তাকীদ বার বার উল্লেখ করা হয়েছে। কখনও কখনও দানকে জিহাদের অপরিহার্য অংশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে : “হে বিশ্বাসীগণ: আমার প্রদত্ত রিজেক হতে তোমরা দান কর, ঐ দিন আসার পূর্বে যে দিন বেচাকেনা বন্ধুত্ব ও সুপারিশ কোন কাজে আসবে না। আর অধিশ্বাসীরাই সীমালঙ্ঘনকারী।’
(সূরা বাকারাহ : রুকু-২৪)
এই পবিত্র আয়াতের শেষ অংশ অর্থাৎ কাফেররাই সীমালঙ্ঘনকারী অত্যন্ত গুরুত্ববহ। এই অংশের অন্তর্নিহিত মর্মের প্রতি লক্ষ্য করলে বুঝা যায় যে, যে ব্যক্তি প্রতিফল দিবসের উপকারিতার খেয়াল না করে আল্লাহর পথে নিজের মাল-সম্পদ ব্যয় করে না সে কুফর ও অবিশ্বাসের দ্বার প্রান্তে পৌঁছে যায় অথবা সে আল্লাহর নেয়ামতের অস্বীকারকারী। যে কারণে আল্লাহর প্রদত্ত রুজি ও নেয়ামত লাভ করার পর এর কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য সামান্যতম বস্তুও আল্লাহর পথে ব্যয় করে না।
উত্তর দিচ্ছেন : মোহাম্মদ খায়রুল বাশার মানিক

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন