করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এক বছরের জন্য অলিম্পিক পিছিয়ে যাওয়ায় সামনে আসতে শুরু করেছে অনেক প্রশ্ন। ২০২০ সালের আসরকে সামনে রেখে অলিম্পিক ফুটবল দল সাজানো দেশগুলো পড়েছে সঙ্কটের মুখে। ঠিক করে দেওয়া বয়সসীমা অতিক্রম করে যাবেন বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই। তাই দল ঠিক রাখতে বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) কাছে একই সঙ্গে স্কোয়াডে খেলোয়াড় সংখ্যা বাড়ানোরও আহবান জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
অলিম্পিকে পুরুষ ফুটবল টুর্নামেন্টে বয়সসীমা অন‚র্ধ্ব-২৩ বছর। ১৯৯৭ সালের ১ জানুয়ারি অথবা এর পরে জন্ম নেওয়া ফুটবলারদের অংশ নেওয়ার সুযোগ ছিল ২০২০ অলিম্পিকে। প্রতিটি দল ২৩ বছরের বেশি বয়সী তিনজনকে স্কোয়াডে নিতে পারে।
কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রভাবে এক বছর পিছিয়ে যাওয়া এই টুর্নামেন্টে বয়সসীমা পেরিয়ে যাওয়ার কারণে অনেক ফুটবলারের অংশ নেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এক চিঠির মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানের জন্য ফিফা ও এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনকে (এএফসি) আহবান জানিয়েছে কেএফএ।
গত জানুয়ারিতে এএফসি অন‚র্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে দক্ষিণ কোরিয়া। এই দলটি ১৯৯৭ সালে জন্মগ্রহণ করা খেলোয়াড়দের ওপর অনেকটাই নির্ভারশীল। টুর্নামেন্টটের সেরা খেলোয়াড় হওয়া ওন দু-জে এবং সর্বোচ্চ গোলদাতা সং বুম-কেউন দুজনই রয়েছেন এই তালিকায়। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে মেক্সিকো। তাদের ২০ ফুটবলার এই বয়সসীমা ছাড়িয়ে যাবে।
অলিম্পিক বাছাইয়ের ছাড়াও ফিফা ও প্রদেশিক সব টুর্নামেন্টে ২৩ জন ফুটবলার নিয়ে স্কোয়াড গঠন হয়। তবে অলিম্পিক টুর্নামেন্টের স্কোয়াড হয় ১৮ জনের, যাকে সেকেলে বলেছে কেএফএ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন