করোনাভাইরাস পরিস্থিতি যদি এই রকমই থাকে, তা হলে সামনের বছরও অলিম্পিক হবে না। টোকিও অলিম্পিক গেমেমর প্রেসিডেন্ট ইয়োশিরো মোরি বলেন, ‘সামনের বছরও যদি এই পরিস্থিতি থাকে, তা হলে অলিম্পিক বাতিল করা হবে। অতীতেও অলিম্পিক বাতিল হয়েছে। আমরা দু’টো বিশ্বযুদ্ধের সময় অলিম্পিক বাতিল দেখেছি। বর্তমানে আমরা অদৃশ্য এক শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হই, তা হলেও বলতে হবে অলিম্পিক খুবই আশঙ্কার মধ্যে হতে চলেছে। আমরা ধরে নিচ্ছি অলিম্পিক সামনের বছর হবে। সেটা ধরে নিয়েই এগোচ্ছি। কিন্তু সবই নির্ভর করছে পরিস্থিতির উপর।
তবে, মোরি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, উপযুক্ত ভ্যাকসিন ছাড়া অলিম্পিকের মতো বড় আসর করা অসম্ভব। সম্প্রতি, বিশ্বের বেশ কিছু দেশের বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসক এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। একই কথা জাপানের মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ওসিটাকে ইকোকুরার মুখেও, ‘আমরা বলছি না জাপান অলিম্পিকের আয়োজন করবে না। কিন্তু, সামনের বছর যে সময় অলিম্পিকের কথা ভাবা হয়েছে, সে সময় ভ্যাকসিন বের হলেও তা কত মানুষের কাছে পৌঁছবে, আমরা বুঝতে পারছি না। তাই মনে হচ্ছে, ওই সময় অলিম্পিক না হওয়া ভালো।’
জাপানের আয়োজক কমিটির তরফে একটি বিবৃতি বলছে, ‘করোনাভাইরাস রুখতে কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তা আমরা আইওসি এবং ডব্লিউএইচওকে জানাচ্ছি। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
মোটকথা, কোনও রকম ঝুঁকি নিয়ে অলিম্পিক আয়োজন করতে চাইছে না জাপান, তা মোরির কথাতে স্পষ্ট। সামনের বছর গ্রীষ্মে অলিম্পিক হলেও ঝঁকি থেকে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত গেমস বাতিল হওয়ার দিকেই পাল্লা ভারী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন