১। শেখ মোহাম্মদ মোহাইমিনুল ইসলাম মাহির, পাড়া ডগার, ঢাকা।
জিজ্ঞাসা : ইন্দ্রিয়ানুভূতির সীমারেখা কতটুকু, জানতে চাই?
জবাব : এটা অত্যন্ত স্পষ্ট যে ইন্দ্রিয়ানুভূতির মাঝে তারতম্য আছে। সবার ইন্দ্রিয়ানুভূতি এক রকম হয় না। বেশি কম হয়। আর এমনটি হওয়াই স্বাভাবিক।
দৈনন্দিন জীবনের সব উদাহরণের দ্বারা স্পষ্টতই বোঝা যায় যে, ইন্দ্রিয়ানুভূতির কার্যকারণ সংযোগ ও বিভাজন এবং প্রভাব ও প্রতিক্রিয়ার সীমারেখা খুবই ব্যাপক। কোনো সীমার বাঁধনে একে আটকানো যাবে না। আবদ্ধ করা যাবে না। আর এ কথাও সম্ভব যে, কোনো মানব শ্রেণীর ইন্দ্রিয় শক্তি যতই তীক্ষè, সতেজ ও শক্তিশালী হবে এবং তারা যা কিছু দর্শন করতে সক্ষম হবে তা আমরা প্রত্যক্ষ করতে পারব না এবং তারা যা শুনবে আমরা তা শুনতে পাব না। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “নামাজরত অবস্থায় আমি জান্নাত ও দোজখ প্রত্যক্ষ করেছি।” হযরত ইয়াকুব (আ.) কিনানের ময়দানে বসে সুদূর মিসরে অবস্থানরত হযরত ইউসুফ (আ.)-এর জামার সুগন্ধ পেয়েছিলেন। মাওলানা রুমী এই ধারণাকে নিজের কাব্যে পরিস্ফুট করে বলেছেন, “একটি ইন্দ্রিয় শক্তির তেজস্বিতা অপর একটি ইন্দ্রিয়কেও তেজস্বী করে তোলে।” মসনভী কাব্যে তিনি উল্লেখ করেছেন, “পঞ্চ ইন্দ্রিয় একটি অপরটির সাথে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত মূলত এই পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের মূল একই, যা হতে এগুলো বেরিয়ে এসেছে। একটি ইন্দ্রিয় অপর একটি ইন্দ্রিয়ের শক্তি রূপে কাজ করে। চক্ষু-দর্শন মহব্বতকে উন্নত করে এবং মহব্বত অন্তরে সত্যতার উম্মেষ ঘটায়। সততা প্রতিটি ইন্দ্রিয়ের সচেতনতার কারণ হয়, এতে করে উপলব্ধিকে উৎসাহ ও অনুধাবনের সাথে মিশিয়ে দেয়। এতে করে ইন্দ্রিয়ানুভূতির মাধ্যমে একজন সচেতন মানুষ মূল সত্যকে খুঁজে পায়।
উত্তর দিচ্ছেন : মোহাম্মদ খায়রুল বাশার মানিক
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন