আমপানের তন্ডব চলছে সাতক্ষীরায়। বিকেল পাঁচ টার দিকে ভারতের কলকাতায় আঘাত হানার পর আমপানের আংশিক অংশ সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরপর সন্ধ্যে ৭ টার দিকে আমপান পুরোপুরি ভাবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে ঢুকে তাণ্ডব চালাতে থাকে। ঝড়ের গতিবেগ রয়েছে ঘন্টায় ১১০ থেকে ১২৫ কিলোমিটার। ফলে বনের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া কপোতাক্ষ, খোলপেটুয়া নদীতে তুফান চলছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চাইতে ৬ থেকে ৭ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা,পদ্মপুকুর,বুড়িগোয়ালীনি,মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নসহ উপকূলীয় এলাকার অধিকাংশ দূর্বল বেড়িবাঁধগুলো রাতের জোয়ারে ভেঙে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এসব বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যেতে পারে বহু গ্রাম,মাছের ঘের।
এদিকে, আমপানের তান্ডবে সুন্দরবনসহ উপকূলীয় এলাকা আশাশুনি -শ্যামনগরের বহু গাছ ও ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ছে। বিকাল থেকেই গোটা জেলা বিদ্যুৎবিহীন অন্ধকারে।
সাতক্ষীরা অবহাওয়া অফিস জানিয়েছে শহরে বাতাসের গতিবেগে রয়েছে ঘন্টায় ১০০ কিমিঃ। আর সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় রয়েছে ১১০ থেকে ১২৫ কিমিঃ। কখনো কখনো তা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড ১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের জানান, উপকূলীয় এলাকায় ৩৫ কিমিঃ বেড়িবাঁধ খুব ঝুঁকিতে রয়েছে। যেকোন সময় এটি ভেঙে যেতে পারে।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মোস্তফিজুর রহমান জানান,শ্যামনগর, আশাশুনি,দেবহাটা, কালিগঞ্জের আশ্রয় কেন্দ্র ও স্কুলগুলোতে মানুষজন ও তাদের গৃহপালিত পশু নিয়ে আসা হয়েছে। জেলা পুলিশ সার্বক্ষণিক তাদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ,কোস্ট গার্ড, বিজিবি,নৌবাহিনীর সদস্যরা। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী ও উদ্ধার কাজে অংশ গ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, যতোটা সম্ভব স্বাস্থ্য বিধি মেনে আশ্রয় কেন্দ্রের মানুষদের খাবার ও ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন