ভোলায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে উপকূলে তেমন বড় ধরনের কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। রাতভর ঝড়ো বাতাস আর থেমে থেমে ভারী আবার কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। আতঙ্ক আর উৎকন্ঠা কেটে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জনজীবন।
ঝড়ে আউশ, পাট, চিনা বাদান ও সয়াবিনের ফসলের রবি শস্যের ক্ষতির আশঙ্কা করলেও কৃষি বিভাগ বলছে, যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তাতে ফসলের কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণের করে বলা যাবে। জানা গেছে, জেলা সদর ও চরফ্যাশনের,লর্ডহাডিঞ্জ, তজুমুদ্দিন, ঢালচর, মনপুরা সহ নিম্নাঞ্চলে বেশ কিছু এলাকায় কাচা ঘর, বিধ্বস্ত হয়েছে।বেড়ীবাঁধের ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) সকাল থেকে ফের জোয়ারে পানিতে ফের প্লাবিত হয়েছে বাঁধের বাইরের নিচু এলাকাগুলো। এর মধ্যে রয়েছে চরফ্যাশনের ঢালচর, চর পাতিলা, চর নিজাম, মহাজনকান্দি, কলাতলীরচর, মদনপুরসহ বেশ কিছু এলাকা। তবে পানির চাপ কিছুটা কম।
চর কুকরি মুকরির ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন বলেন আম্পানের কারণে তার এলাকার অনেক কাচা বাড়ী ঘড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে,অতিরিক্ত পানির কারণে পুকুর মাছের ঘেড় ডুবে গিয়ে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।, সকাল জোয়ারে এসেছে এতে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়ে পুরো এলাকা তলিয়ে যাওয়ার পর আবার নতুন করে জোয়ার এসে প্লাবিত হচ্ছে এলাকা।মনপুরা, ঢালচর,তজুমুদ্দিন, লর্ড বেড়ীবাঁধের ক্ষতি হয়েছে বলে জানান স্থানীয় জনগণ।
মনপুরার বাসিন্দা জানান দ্বীপচরের সব মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলেন। সকালে ওইসব মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে গেছে। স্বাভাবিক হতে শুরু করছে জনজীবন।
এদিকে বুধবার রাতে জেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে খাবার দিয়েছেন জেলা প্রশাসন সহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।ভোলা - ৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন গতকাল থেকেই নিজে উপস্থিত হয়ে লালমোহন ও তজুমুদ্দিন এর মানুষের মাঝে শুকনো খাবার ও রাতের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান সহ ভোলা সদরের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ভোলার নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানিয়েছেন ভোলা জেলার ২০ টি স্থানে পানি বৃদ্ধির কারণে আংশিক ক্ষতি হয়েছে। আমরা বিভিন্নস্থানে কাজ করছি ক্ষয়ক্ষতি কি হয়েছে তা পরে আরো জানা যাবে ।
ভোলা জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে জেলায় ট্রলার ডুবি ও গাছচাপা পড়ে নিহত দুই পরিবারকে নগদ ২০ হাজার করে ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
চরফ্যাশনে গাছচাপা পড়ে ছিদ্দিক ও ট্রলার ডুবিতে বোরহানউদ্দিনের রফিকুল ইসলামের পরিবারকে এ টাকা দেয় প্রশাসন।
তিনি আরও বলেন, সকাল থেকেই আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়ছে মানুষ এবং জনজীবন স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। অতিদ্রুত ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন